<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পবিত্র রমজান মাসে মুসলমানের দৈনন্দিন রুটিনে পরিবর্তন আসে। পরিবারের প্রয়োজন মেটাতে নারীকেও আনতে হয় তার দৈনন্দিন কর্মসূচিতেও পরিবর্তন। আগে থেকে প্রস্তুত হলে রমজানে নারীরা পারিবারিক কাজগুলো সামাল দিয়ে ইবাদত-বন্দেগিতেও মনোযোগী হতে পারবে। রমজানের সময়টুকু ইবাদতমুখর করতে নিম্নের কাজগুলো করা যেতে পারে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১. স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করা : রমজান মাসকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করুন। নিজের প্রতি এত বেশি প্রত্যাশা রাখবেন, যা আপনি পূরণ করতে পারবেন না অথবা যা পূরণ করতে গেলে আপনি ইবাদতের সুযোগ হারাবেন; বরং বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণ করুন, যা বাস্তবায়নে পরিবার আপনাকে সাহায্য করবে। যেমন ইফতারে অনেক খাবারের আয়োজন না করে, স্বাস্থ্যসম্মত পুষ্টিকর খাবারের দিকে মনোযোগ দিন। যা আপনার কাজের চাপ হালকা করবে এবং পরিবারের উপকারে আসবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২. লক্ষ্য নির্ধারণ করা : রমজানে মুমিন অন্য মাসগুলোর জন্য আল্লাহভীতি ও দ্বিনদারির পাথেয় সংগ্রহ করে। এই পাথেয় নারীর জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। রমজান মাস শুরু হওয়ার আগেই ভালো কাজের একটি  লক্ষ্য নির্ধারণ করে নেওয়া প্রয়োজন। যেন সে অনুযায়ী একটি উপযুক্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করা যায়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৩. কাজের পরিকল্পনা করা : রমজানের সময় কাজে লাগাতে সঠিক কর্মপরিকল্পনার কোনো অভাব নেই। এ জন্য প্রথমে দরকারি কাজের তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। এরপর সেগুলোকে সাজিয়ে নিতে হবে। কর্মপরিকল্পনায় প্রয়োজনীয় বিশ্রামের পাশাপাশি নামাজ, তিলাওয়াত, জিকির, মুনাজাতের অবকাশও রাখতে হবে। যেন পরিবারের প্রয়োজন পূরণ, নিজের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও ইবাদত-বন্দেগি সুচারুভাবে করা যায়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৪. রান্নাঘরের কাজ গুছিয়ে রাখা : রমজানের আগেই রান্নাঘরের ছোট ছোট কাজগুলো গুছিয়ে রাখা ভালো। যেন রমজানে সহজেই খাবার প্রস্তুত করা যায়। যেমন মসলা প্রস্তুত করা, ফ্রিজের খাবারগুলো বিন্যস্ত করা, প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো সংগ্রহ করা, প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো গুছিয়ে রাখা। ঘরের অন্য কাজগুলোও এগিয়ে রাখা যায়। যেমন বাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৫. নিজেকে প্রাধান্য দেওয়া : বহু নারীকে দেখা যায় তাঁরা ঘরের কাজে এত বেশি ব্যস্ত থাকেন যে রমজান মাসেও সময়মতো ইবাদত করতে পারেন না। তাঁরা ভুলে যান রমজান নারীদের জন্য রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের বার্তা নিয়ে আসে। নারীদের উচিত ইবাদতের ক্ষেত্রে নিজেকে প্রাধান্য দেওয়া। যেন ইবাদতের সুযোগ তাদের হাত ছাড়া হয়ে না যায়। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও বিশ্রামের ক্ষেত্রে নিজের প্রয়োজনটুকু মাথায় রাখা প্রয়োজন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৬. পরিবারের সহযোগিতা নেওয়া : বাঙালি মুসলিম নারীরা সাধারণত সংসারের কাজে পরিবারের পুরুষ ও বয়োজ্যেষ্ঠদের সহযোগিতা গ্রহণ করে না। কিন্তু ইসলামের শিক্ষা হলো পুরুষরা ঘরের কাজে নারীকে সাহায্য করবে। বিশেষত রমজান মাসে পরিবারের পুরুষ সদস্যরাও নারীদের সহযোগিতা করবে। এমনকি পরিবারের শিশুরাও ঘরের কাজে বড়দের সহযোগিতা করতে পারে। যেন নারীর বেশি কষ্ট না হয় এবং সবাই ইবাদতের সুযোগ পায়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৭. শিশুদের প্রতি মনোযোগ দেওয়া : রমজান মাসে শুধু পরিবারের বড়রাই ইবাদত করবে না; বরং শিশুরাও দ্বিনচর্চায় মনোযোগী হবে। কেননা শৈশব থেকে শিশুরা ভালো কাজে অভ্যস্ত না হলে বড় হয়ে দ্বিন পালন করা কঠিন হবে। তাই মায়েদের উচিত রমজানে শিশুকেও ইবাদত-বন্দেগিতে শরিক করে নেওয়া।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আল্লাহ সবাইকে সুন্দরভাবে রমজান উদযাপনের তাওফিক দিন। আমিন</span></span></span></span></p> <p> </p>