<p>আয়াতের অর্থ : ‘আমি তোমার প্রতি যা প্রত্যাদেশ করেছি তা থেকে তারা পদস্খলন ঘটানোর চেষ্টা প্রায় চূড়ান্ত করেছিল, যাতে তুমি আমার সম্পর্কে তার বিপরীত মিথ্যা উদ্ভাবন করো।...তাহলে অবশ্যই তোমাকে পার্থিব জীবনে দ্বিগুণ ও পরজীবনে দ্বিগুণ শাস্তি আস্বাদন করাতাম। তখন আমার বিরুদ্ধে তোমার জন্য কোনো সাহায্যকারী পাবে না।’ (সুরা বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৭৩-৭৫)</p> <p>আয়াতগুলোতে শিরকের ভয়াবহতা বর্ণনা করা হয়েছে।</p> <p><strong>শিক্ষা ও বিধান</strong></p> <p>১. সাঈদ বিন জুবায়ের (রা.) মুশরিকরা তাওয়াফের সময় রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে হাজরে আসওয়াদে চুমু খেতে বাধা দিয়ে বলে, আমাদের উপাস্যদের সমালোচনা ত্যাগ না করলে তুমি চুমু খেতে পারবে না। মহানবী (সা.) অপারগ হিসেবে সম্মত হতে চাইলেন। তখন তাঁকে সতর্ক করা হয়।</p> <p>২. অপারগতা সত্ত্বেও নবী (সা.)-কে আল্লাহ এত কঠোরভাবে হুঁশিয়ার করেছেন। সুতরাং মিথ্যা উপাস্য ও দেব-দেবীর ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা কাম্য।</p> <p>৩. কাতাদা (রা.) বলেন, আয়াত নাজিলের পর রাসুল (সা.) দোয়া করেন, হে আল্লাহ, এক পলকের জন্য আমাকে আমার ওপর ছেড়ে দেবেন না।</p> <p>৪. ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) নিষ্পাপ ছিলেন। তাই এই সম্বোধন দ্বারা উম্মতকেই সতর্ক করা হয়েছে।</p> <p>৫. আয়াত থেকে স্পষ্টত বোঝা যায়, নবীজি (সা.) সমালোচনা ত্যাগের বিষয়টি শুধু মনে মনে ভেবেছিলেন, তা বাস্তবায়ন করেননি। (তাফসিরে কুরতুবি : ১৩/১৩৩)</p> <p> </p>