<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আয়াতের অর্থ : </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যখন তাদের কাছে আসে পথনির্দেশ, তখন লোকদের ঈমান আনা থেকে বিরত রাখে তাদের এই কথা, আল্লাহ কি মানুষকে রাসুল করে পাঠিয়েছেন? ...তাদের আবাসস্থল জাহান্নাম; যখনই তা স্তিমিত হবে আমি তখনই তাদের জন্য অগ্নিশিখা বৃদ্ধি করে দেব। এটাই তাদের প্রতিফল, কারণ তারা আমার নিদর্শন অস্বীকার করেছিল এবং বলেছিল, অস্থিতে পরিণত ও চূর্ণবিচূর্ণ হলেও আমরা কি নতুন সৃষ্টিরূপে পুনরুত্থিত হবো?</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> (সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৯৪-৯৮)</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আয়াতগুলোতে দ্বিনের ব্যাপারে হঠকারিতার শাস্তি বর্ণনা করা হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শিক্ষা ও বিধান</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১.  যারা মহানবী (সা.)-কে মাটির তৈরি মানুষ বলে স্বীকার করতে পারে না, তারা সেসব মুশরিকের মতো, যারা বলেছিল, আল্লাহ মানুষকে রাসুল হিসেবে পাঠিয়েছেন!</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২. মানুষের জন্য ফেরেশতা নয়, মানুষই নবী হওয়ার অধিক যোগ্য। কেননা মানুষ ফেরেশতাদের দেখতে পারে না এবং তাদের অনেক কিছুই মানুষের বোধগম্য নয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৩. সাক্ষী ও ন্যায়বিচারক হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট। কেননা তিনি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী, সব বিষয়ে অবগত এবং সবচেয়ে ন্যায়পরায়ণ।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৪. দুনিয়ায় মানুষের আচরণ এবং কাজের অনুরূপ আচরণ পরকালে করা হবে। যেমন সত্যবিমুখদের অন্ধ, মূর্খ ও বধির করে ওঠানো হবে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৫. পরকালে শাস্তি ও পুরস্কার মানুষের পাপ-পুণ্যের অনুপাতে হবে। পাপের চেয়ে বেশি শাস্তি কাউকে দেওয়া হবে না।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">(তাফসিরে তাবারি : ৫-৬৮)</span></span></span></span></p>