<p>আয়াতের অর্থ :  ‘আমি তোমার কাছে তাদের বৃত্তান্ত সঠিকভাবে বর্ণনা করছি। তারা ছিল কয়েকজন যুবক, তারা তাদের প্রতিপালকের প্রতি ঈমান এনেছিল এবং আমি তাদের সৎপথে চলার শক্তি বৃদ্ধি করেছিলাম। ...আমাদেরই এই স্বজাতিরা, তাঁর পরিবর্তে অনেক উপাস্য গ্রহণ করেছে। তারা এসব উপাস্য সম্পর্কে স্পষ্ট প্রমাণ উপস্থিত করে না কেন? যে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা উদ্ভাবন করে তার চেয়ে অধিক জালিম আর কে?</p> <p>(সুরা : কাহফ, আয়াত : ১৩-১৫)</p> <p>আয়াতগুলোতে কোরআনে বর্ণিত ঘটনাবলির বৈশিষ্ট্য বর্ণিত হয়েছে।</p> <p><strong>শিক্ষা ও বিধান</strong></p> <p>১. কোরআনের ঘটনা বর্ণনার স্বতন্ত্র পদ্ধতি রয়েছে। তাহলো এর শব্দ-বাক্য হবে সংক্ষিপ্ত, মর্ম হবে বিস্তৃত; যাতে বাহুল্যের কোনো স্থান নেই।</p> <p>২. ঘটনা বর্ণনায় কোরআন ধারাক্রমের চেয়ে মানুষের কল্যাণ, আসমানি হিদায়াত, জুলুম ও পাপের পরিণতি ইত্যাদি বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।</p> <p>৩. কোরআনের বর্ণনাভঙ্গি থেকে স্পষ্ট হয়, আসহাবে কাহফের ঘটনা মানুষ আগেও জানত। তবে তাতে মিথ্যা, বিকৃতি ও বিস্মৃতি ছিল।</p> <p>৪. আয়াত দ্বারা বোঝা যায়, ঈমান রক্ষার চেষ্টা ও সংগ্রাম ঈমানকে দৃঢ় করে এবং তা বাড়িয়ে দেয়।</p> <p>৫. মুফাসসিররা বলেন, আসহাবে কাহফের ঘটনা থেকে দ্বিন প্রতিষ্ঠায় যুগে যুগে যুবকদের অবদান ও দ্বিনি কাজে তাদের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার কথা জানা যায়। (তাফসিরে শারভি, পৃষ্ঠা-৮৮৫২)</p> <p> </p>