<p>আয়াতের অর্থ : ‘তুমি মনে করবে তারা জাগ্রত, কিন্তু তারা ছিল নিদ্রিত। আমি তাদেরকে পার্শ্ব পরিবর্তন করাতাম ডান দিকে ও বাঁ দিকে এবং তাদের কুকুর ছিল সম্মুখের পা দুটি গুহাদ্বারে প্রসারিত করে। তাকিয়ে তাদের দেখলে তুমি পেছন ফিরে পলায়ন করতে এবং তাদের ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়তে।’ (সুরা : কাহফ, আয়াত : ১৮)</p> <p>আয়াতে আল্লাহ গুহায় আশ্রয় নেওয়া যুবকদের নিরাপত্তা কিভাবে নিশ্চিত করেছেন তা বর্ণনা করা হয়েছে।</p> <p><strong>শিক্ষা ও বিধান</strong></p> <p>১. বেশির ভাগ তাফসিরবিদের মতে, গুহার ভেতর ঘুমানো যুবকদের চোখ খোলা ছিল। ঘুমের কারণে তাদের শরীরে ঢিলেঢালা ভাবও আসেনি।</p> <p>২. আল্লাহ ঈমানদার যুবকদের ঘুমের প্রভাব থেকে মুক্ত রেখেছিলেন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য। যেন ঘুমন্ত দেখে মানুষ বা পশু কেউ তাদের ওপর আক্রমণ না করে।</p> <p>৩. রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ঘরে কুকুর ও (প্রাণীর) ছবি থাকে তাতে (রহমতের) ফেরেশতা প্রবেশ করে না।</p> <p>৪. শিকার ও সম্পদ পাহারার মতো প্রয়োজন ছাড়া ইসলামে কুকুর পালন নিষিদ্ধ। হয়তো আসহাবে কাহফের কুকুর এমনই ছিল বা তাদের শরিয়তে তা বৈধ ছিল।</p> <p>৫. আবুল ফজল জাওহারি (রহ.) বলেন, নেক লোকের সান্নিধ্য মানুষের মর্যাদা বৃদ্ধি করে। এমনকি নেক লোকের সান্নিধ্যের বরকতে আসহাবে কাহফের কুকুরের নাম কোরআনে স্থান পেয়েছে।</p> <p>(মাআরেফুল কোরআন : ৫/৫৬৪)</p>