<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রহমত শব্দটি অনুকম্পা, দয়া, আশীর্বাদ, অনুগ্রহ, ভালোবাসা ইত্যাদি অর্থে ব্যবহৃত হয়। এটি ব্যাপক অর্থবোধক শব্দ। রহমত শব্দ পবিত্র কোরআনে বারবার ব্যবহার করা হয়েছে। গোটা সৃষ্টিজগতের কারো ওপর দুনিয়া কিংবা আখিরাতে মহান আল্লাহর কোনো নিয়ামত, অনুগ্রহ ও দয়া-দান ইত্যাদিকে রহমত শব্দ দিয়ে প্রকাশ করা হয়ে থাকে। সৃষ্টির পরতে পরতে আল্লাহর রহমত বিস্তৃত। পৃথিবীর কেউ বা কোনো কিছু আল্লাহর রহমতের বাইরে নয়। মহান আল্লাহ তাঁর রহমতের ব্যাপ্তি সম্পর্কে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আর আমার দয়া</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তা প্রত্যেক বস্তুতে ব্যাপ্ত। সুতরাং আমি তা তাদের জন্য নির্ধারিত করব, যারা তাকওয়া অবলম্বন করে, জাকাত দেয় এবং আমার নিদর্শনে বিশ্বাস করে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> (সুরা : আরাফ, আয়াত : ১৫৬)</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মহান আল্লাহ ১০০ রহমত সৃষ্টি করেছেন। ৯৯টি তাঁর কাছে রেখে দিয়েছেন এবং একটি রহমত পুরো সৃষ্টির মধ্যে পাঠিয়ে দিয়েছেন। পৃথিবীর যত মায়া, যত বন্ধন, যত প্রেম, যত আবেগ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সব আল্লাহর এই এক ভাগ রহমতের কারণে হয়ে থাকে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তাঁর রহমত ১০০ ভাগে বিভক্ত করেছেন। তার মধ্যে ৯৯ ভাগ তিনি নিজের কাছে সংরক্ষিত রেখেছেন। আর পৃথিবীতে এক ভাগ পাঠিয়েছেন। ওই এক ভাগ পাওয়ার কারণেই সৃষ্টিজগৎ পরস্পরের প্রতি দয়া করে। এমনকি ঘোড়া তার বাচ্চার ওপর থেকে পা উঠিয়ে নেয় এই আশঙ্কায় যে সে ব্যথা পাবে। (বুখারি, হাদিস : ৬০০০)</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মা তাঁর সন্তানের প্রতি এত স্নেহপরায়ণ হয়ে থাকে এই এক ভাগ রহমতের কারণে। বন্য পশু-পাখি একে অন্যের প্রতি অনুরক্ত হয় আল্লাহর এই এক ভাগ রহমতের কারণে। সালমান (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আকাশমণ্ডলী ও জমিন সৃষ্টির সময় আল্লাহ তাআলা ১০০ রহমত সৃষ্টি করেছেন। প্রত্যেক রহমত আকাশ ও জমিনের দূরত্বের সমপরিমাণ। এই ১০০ রহমত থেকে এক ভাগ রহমত দুনিয়ার জন্য নির্ধারণ করেছেন। এর তাগিদে মা তার সন্তানের প্রতি এতটুকু স্নেহপরায়ণা হয়ে থাকে এবং বন্য পশু-পাখি একে অন্যের প্রতি অনুরক্ত হয়। যখন কিয়ামত দিবস হবে, তখন আল্লাহ তাআলা এই রহমত দ্বারা (এক ভাগকে ৯৯ ভাগের সঙ্গে মিলিয়ে ১০০) পূর্ণ করবেন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">(মুসলিম, হাদিস : ৬৮৭০)</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের ওপর দুনিয়া ও আখিরাতে রহমত নাজিল করুন। আমিন।</span></span></span></span></p>