<p>আয়াতের অর্থ : ‘তুমি তাদের কাছে পেশ করো দুই ব্যক্তির উপমা। তাদের একজনকে আমি দিয়েছিলাম দুটি আঙুর বাগান। এই দুটি আমি খেজুরগাছ দ্বারা পরিবেষ্টিত করেছিলাম এবং এই দুইয়ের মধ্যবর্তী স্থানকে করেছিলাম শস্যক্ষেত। উভয় বাগানই ফল দান করত... আমি মনে করি না যে কিয়ামত হবে। আর আমি যদি আমার প্রতিপালকের কাছে ফিরে যাই, তবে আমি নিশ্চয়ই এর চেয়ে উত্তম জায়গা পাবো।’ (সুরা : কাহফ, আয়াত : ৩২-৩৬)</p> <p>আয়াতগুলোতে পৃথিবীর ধন-জন নিয়ে অহংকার করার নিন্দা করা হয়েছে।</p> <p><strong>শিক্ষা ও বিধান</strong></p> <p>১. কোরআনে এই ঘটনা বর্ণনার উদ্দেশ্য সেসব ব্যক্তিকে সতর্ক করা, যারা সম্পদের ঘোরে অহংকার করে। যেমন করত কুরাইশ নেতারা।</p> <p>২. কাতাদা (রহ.) বলেন, একজন পাপীর আশাই থাকে তার ধন ও জন অধিক হোক। তারা এগুলো নিয়ে গর্ব বোধ করে।</p> <p>৩. জ্ঞান-বুদ্ধির অভাবে অবিশ্বাসীরা মনে করে তাদের পার্থিব শক্তি ও সম্পদ কখনো ধ্বংস হবে না। আর হলেও তা পরকালে সব ফেরত পাবে।</p> <p>(তাফসিরে ইবনে কাসির : ৬/৪৩৩)</p> <p>৪. সম্পদ ও পরিবার-পরিজন নিয়ে অহংকার করা নিন্দনীয়। এমন অহংকার ধ্বংস ডেকে আনে।</p> <p>৫. পৃথিবীতে ধন-সম্পদের মালিক হওয়া আল্লাহর কাছে প্রিয় হওয়ার প্রমাণ নয় যে কেউ পৃথিবীতে পেলে পরকালেও পাবে। (বুরহানুল কুরআন : ২/২৪৯)</p>