<p>আয়াতের অর্থ : ‘তাদের পরে এলো অপদার্থ পরবর্তীগণ, তারা নামাজ নষ্ট করল ও লালসা-পরবশ হলো। সুতরাং তারা অচিরেই কুকর্মের শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে, কিন্তু তারা নয়, যারা তাওবা করেছে, ঈমান এনেছে এবং সত্ কাজ করেছে। তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদের প্রতি কোনো জুলুম করা হবে না।’</p> <p>(সুরা : মারইয়াম, আয়াত : ৫৯-৬০)</p> <p>আয়াতগুলোতে নামাজের গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে।</p> <p><strong>শিক্ষা ও বিধান</strong></p> <p>১. পৃথিবীর সবচেয়ে সৌভাগ্যবান মানুষ নবী-রাসুল (আ.)। নবী-রাসুলদের পর সৌভাগ্যবান তাঁদের সান্নিধ্যপ্রাপ্ত তাঁদের মুমিন অনুসারীরা। অতঃপর যারা তাঁদের ওপর ঈমান আনে এবং আল্লাহ প্রদত্ত দ্বিন মেনে চলে।</p> <p>২. নামাজ দ্বিনের স্তম্ভ এবং সবচেয়ে উত্তম আমল। তাই কেউ নামাজে অবহেলা করলে তার পুরো দ্বিনদারিতে অবহেলা চলে আসে। আর নামাজে যত্নবান হলে অন্য ইবাদতেও যত্ন চলে আসে।</p> <p>৩. নামাজ নষ্ট করার অর্থ হলো তা সময়মতো আদায় না করা এবং তা ত্যাগ করা। অবশ্য হাদিসে নামাজ ত্যাগ করাকে কুফরি বলা হয়েছে।</p> <p>৪. মাসরুক (রহ.) বলেন, যে ব্যক্তি নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে তাকে গাফিল ও অলসদের অন্তর্ভুক্ত করা যায় না।</p> <p>৫. মুজাহিদ (রহ.) বলেন, কিয়ামতের আগে মানুষ তাদের নামাজ নষ্ট করবে এবং প্রবৃত্তির বশীভূত হয়ে অলিগলিতে পশুর মতো ছোটাছুটি করবে। (তাফসিরে ইবনে কাসির : ৭/৯১)</p> <p> </p>