<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আয়াতের অর্থ : </span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বলে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> দাও, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যারা বিভ্রান্তিতে আছে তাদের পরম করুণাময় প্রচুর অবকাশ দেবেন, যতক্ষণ না তারা যে বিষয়ে তাদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে তা প্রত্যক্ষ করবে, চাই তা আজাব হোক অথবা কিয়ামত। তখন তারা জানতে পারবে কে মর্যাদায় নিকৃষ্ট ও দলবলে দুর্বল। এবং যারা সৎপথে চলে, আল্লাহ তাদের হিদায়াত বৃদ্ধি করেন আর স্থায়ী সৎকর্মগুলো তোমার রবের কাছে পুরস্কারপ্রাপ্তির দিক দিয়ে শ্রেষ্ঠ এবং পরিণতি হিসেবেও শ্রেষ্ঠ।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> (সুরা : মারইয়াম, আয়াত : ৭৫-৭৬)</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আলোচ্য দুটি আয়াতে অবিশ্বাসী ও পাপীদের সাময়িক অবকাশ এবং নেককারদের বিশেষ প্রতিদান দেওয়ার বিষয়ে বর্ণনা করা হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শিক্ষা ও বিধান</span></span></strong></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১. কাফির-মুশরিকদের অবাধ্যতার পরও আল্লাহ তাআলা তাদের অবকাশ দেন। তারপর সময়মতো তাদের ঠিকই পাকড়াও করেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২. পাপের কিছু শাস্তি কখনো কখনো দুনিয়ায় দেওয়া হয়। আবার কখনো কখনো তা কিয়ামতের মাঠ পর্যন্ত বর্ধিত হয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৩. ভালো-মন্দের পার্থক্য ওই সময় সূচিত হবে, যখন আমলের অবকাশ সময় শেষ হয়ে আজাব এসে পড়বে কিংবা কিয়ামত এসে পড়বে। কিন্তু ওই সময়ের জ্ঞান ও ঈমান কোনো উপকারে আসবে না। ওই সময় শুধরে নেওয়া বা সংশোধনের কোনো সুযোগ থাকবে না।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৪. এর বিপরীতে যারা ঈমানদার, যারা সৎপথের সন্ধান করে, আল্লাহ তাদের হিদায়াত ও ঈমান বৃদ্ধি করে দেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৫. সৎকর্ম চিরকাল বাকি থাকবে। দুনিয়া ও আখিরাতে এর সুফল মিলবে। মহান আল্লাহর কাছে অবশ্যই এর সুফল পাওয়া যাবে। (তাফসিরে কাসেমি)</span></span></span></span></p> <p> </p>