<p>আয়াতের অর্থ : ‘এবং আমি তোমার প্রতি আরো একবার অনুগ্রহ করেছিলাম। যখন আমি তোমার মাকে জানিয়েছিলাম যা ছিল জানাবার।...তুমি এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছিলে; অতঃপর আমি তোমাকে মর্মপীড়া থেকে মুক্তি দিই, আমি তোমাকে বহু পরীক্ষা করেছি। অতঃপর তুমি কয়েক বছর মাদায়েনবাসীদের মধ্যে ছিলে, হে মুসা! এরপর তুমি নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত হলে।’ (সুরা : ত্বহা, আয়াত : ৩৭-৪০)</p> <p>আয়াতগুলোতে মুসা (আ.)-এর প্রতি আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহগুলো বর্ণনা করা হয়েছে।</p> <p><strong>শিক্ষা ও বিধান</strong></p> <p>১. আল্লাহর নির্দেশ মেনে চলার মধ্যেই মানুষের কল্যাণ ও মুক্তি নিহিত; যদিও তা মানবীয় বুদ্ধি ও যুক্তির বিরোধী হয়। যেমন—মুসা (আ.)-কে সমুদ্রে ভাসিয়ে দেওয়ার নির্দেশ।</p> <p>২. আল্লাহ মুসা (আ.)-এর মধ্যে এমন মায়া সৃষ্টি করেছিলেন যে শত্রু-মিত্র সবাই মুগ্ধ হয়ে যেত। এমনকি ফেরাউনের মতো কঠোরহৃদয় ব্যক্তিরও মন গলে যায়।</p> <p>৩. অনিচ্ছাকৃত হত্যার কারণে মুসা (আ.) অনুতপ্ত ছিলেন। ফলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন। আর নির্বাসিত জীবনযাপনের মাধ্যমে তার জাগতিক প্রতিবিধান হয়।</p> <p>৪. আয়াত দ্বারা বোঝা যায়, মানুষ যতই ষড়যন্ত্র করুক, শেষ পর্যন্ত আল্লাহর সিদ্ধান্তই প্রতিফলিত হবে।</p> <p>৫. ‘যাতে তুমি আমার তত্ত্বাবধানে পালিত হও’ বাক্য দ্বারা প্রমাণ হয়, জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত নবী-রাসুলদের পুরো জীবন আল্লাহর নিরাপত্তায় আবৃত থাকে। (বুরহানুল কুরআন : ২/৪২০)</p> <p> </p>