<p>আয়াতের অর্থ : ‘তারা বলল, আমাদের কাছে যে স্পষ্ট নিদর্শন এসেছে তার ওপর এবং যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন তাঁর ওপর আমরা তোমাকে কিছুতেই প্রাধান্য দেব না। সুতরাং তুমি করো যা ইচ্ছা তুমি করতে চাও। তুমি তো কেবল এই পার্থিব জীবনের ওপর কর্তৃত্ব করতে পার। আমরা নিশ্চয়ই আমাদের প্রতিপালকের প্রতি ঈমান এনেছি, যাতে তিনি ক্ষমা করেন আমাদের অপরাধ।...’ (সুরা : তাহা, আয়াত : ৭২-৭৩)</p> <p>আয়াতদ্বয়ে ফেরাউনের মোকাবেলায় জাদুকরদের ঈমানি দৃঢ়তা বর্ণিত হয়েছে।</p> <p><strong>শিক্ষা ও বিধান</strong></p> <p>১. প্রকৃত মুমিন কখনো জাগতিক ক্ষয়ক্ষতির ভয়ে ঈমান-ইসলাম ত্যাগ করে না। যেমন ফেরাউন কর্তৃক হত্যার হুমকি পেয়েও জাদুকররা ঈমানের ওপর অটল ছিল।</p> <p>২. ইকরামা (রহ.) বলেন, যখন জাদুকররা সিজদাবনত হয়েছিল, তখন আল্লাহ জান্নাতের উঁচু মর্যাদা ও নিয়ামতগুলো তাদের সামনে দৃশ্যমান করেন। ফলে তাদের ঈমানি দৃঢ়তা বৃদ্ধি পায়।</p> <p>৩. মুমিন পরকালীন আজাবের তুলনায় পার্থিব শাস্তিকে মামুলি জ্ঞান করে।</p> <p>৪. খাঁটি ঈমানে পূর্ববর্তী গুনাহ মাফ হয়।</p> <p>৫. বাধ্য হয়ে করা পাপ দুই প্রকার। যথা : ক. যা অসহনীয় নির্যাতনের মুখে মানুষ করতে বাধ্য হয়। এমন পাপ তাওবা ছাড়াই মাফ হয়; খ. যা নির্দেশ ও হুমকির কারণে করতে বাধ্য হয়। এমন পাপ তাওবা ছাড়া ক্ষমা হয় না। (বুরহানুল কুরআন : ২/৪৩২)</p> <p> </p>