<p>আয়াতের অর্থ : ‘যে তার প্রতিপালকের কাছে অপরাধী হয়ে উপস্থিত হবে তার জন্য আছে জাহান্নাম, সেখানে সে মরবেও না, বাঁচবেও না। এবং যারা তাঁর কাছে উপস্থিত হবে মুমিন অবস্থায় সৎ কাজ করে, তাদের জন্য আছে সমুচ্চ মর্যাদা। স্থায়ী জান্নাত, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে তারা স্থায়ী হবে এবং পুরস্কার তাদেরই, যারা পবিত্র।’</p> <p>(সুরা : তা-হা, আয়াত : ৭৪-৭৬)</p> <p>আয়াতগুলোতে ফেরাউনের প্রতি জাদুকরদের দ্বিনি দাওয়াত তুলে ধরা হয়েছে।</p> <p>শিক্ষা ও বিধান</p> <p>১. জাদুকররা ফেরাউনের ইহকালীন শাস্তির বিপরীতে পরকালীন শাস্তি তুলে ধরেছেন, যা চিরস্থায়ী ও ভয়াবহ। এর মাধ্যমে মূলত তারা দ্বিন প্রচারের দায়িত্ব পালন করেছেন।</p> <p>২. জাহান্নামিরা পরকালে না জীবন দ্বারা উপকৃত হবে, না মৃত্যু তাদের প্রশান্তি দেবে। সেখানে তাদের জীবন হবে যন্ত্রণাদায়ক।</p> <p>৩. জান্নাতের মর্যাদাপূর্ণ স্তর আদন। আল্লাহ তাঁর বিশেষ বান্দাদের তা দান করবেন।</p> <p>৪. যারা আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে নিজেদের দেহ-মনকে পাপ-পঙ্কিলতা ও অবাধ্যতা থেকে পবিত্র রেখেছে আল্লাহ জান্নাতে তাদের উচ্চ মর্যাদা দান করবেন।</p> <p>৫. বিশুদ্ধ নিয়ত ও নিষ্ঠা ঐশী জ্ঞানের দুয়ার খুলে দেয়। এ জন্যই আল্লাহ ইলহামের মাধ্যমে জাদুকরদের পরকাল সম্পর্কে জানিয়ে দেন এবং তারা তা ফেরাউনের সামনে তুলে ধরেন। (তাফসিরে মুনির : ১৪/১০৭)</p> <p> </p>