<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে বন্ধন সুদৃঢ় করতে উৎসাহিত করে ইসলাম। ইসলাম আত্মীয়- স্বজনের সঙ্গে সদাচারের নির্দেশ দিয়েছে। এটি ইসলামের সামাজিক শিক্ষার একটি মৌলিক দিক। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেছেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আর তোমরা নিকটাত্মীয়, মিসকিন ও মুসাফিরদের হক আদায় কোরো এবং অপচয় কোরো না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">(সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ২৬)</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নবীজি (সা.) বলেন যে, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি বিশ্বাস রাখে সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">(সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬১৩৬)</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আত্মীয়তা রক্ষার পুরস্কার</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কোরআন ও হাদিসে আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখার একাধিক প্রতিদান ও সুফলের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি সুফল হলো : </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১. রিজিক বৃদ্ধি : আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে আন্তরিক হৃদ্যতা মুমিনের রিজিক বৃদ্ধি করে। নবীজি (সা.) বলেন, যে আকাঙ্ক্ষা করে তার ধন-সম্পদে সমৃদ্ধি আসুক এবং জীবনেরও দীর্ঘ হোক সে যেন আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">(সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৯৮৬)</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২. আয়ু বৃদ্ধি : মহানবী (সা.) বলেন, যাকে আনন্দ দেয় তার রিজিকের সমৃদ্ধি এবং জীবনের দীর্ঘ আয়ু সে যেন আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৬৩৯)</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৩. দ্রুত সওয়াব লাভ : আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সদাচারের প্রতিদান দ্রুত লাভ করেন একজন মুমিন, দুনিয়ায় অথবা আখিরাতে। জাবের (রা.) বলেন, নবীজি (সা.)-এর আশপাশে একবার আমরা জড়ো হয়ে আছি। তিনি বললেন, হে মুসলমানরা! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সদাচার করো। কেননা আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষার চেয়ে দ্রুত পুণ্য লাভ হয় এমন আমল নেই। (মাজমাউজ জাওয়িদ : ৫/১২৫)</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৪. অপ্রীতিকর বিষয়াদি থেকে রক্ষা : এই উত্তম অভ্যাস রক্ষা করলে রোধ হয় অপমৃত্যু, দূর হয় বিপদ-আপদ। নবী কারিম (সা.) বলেন, নিশ্চয়ই সদকা ও আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করলে আল্লাহ রিজিক বৃদ্ধি করেন, অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং অপ্রীতিকর বিষয়াদির মুখোমুখি হওয়া থেকে রক্ষা করেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">(মুসনাদে আবু ইয়ালা, হাদিস : ৪৪০৪)</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নবী (সা.) আরো ইরশাদ করেন, যাকে আনন্দ দেয় তার জীবনের আয়ু বৃদ্ধি হওয়া ও রিজিক প্রশস্ত হওয়া এবং তার থেকে অপমৃত্যু রোদ হওয়া সে যেন আল্লাহকে ভয় করে এবং আত্মীয়তার বন্ধন বজায় রাখে। (মুস্তাদরাকে হাকেম : ৪/১৬০)</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৫. পারস্পরিক ভালোবাসা তৈরি : আত্মীয়তার বন্ধন বজায় রাখলে পারস্পরিক ভালোবাসা তৈরি হয়। নবীজি (সা.) বলেন, নিজ বংশ (আত্মীয়-স্বজনের) সম্পর্কে জ্ঞান রাখো, যাতে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করতে পারো। কেননা আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা নিকটজনদের ভালোবাসা তৈরি হওয়ার মাধ্যম। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">(সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ১৯৭৯) </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষায় দ্বিন ও দুনিয়া উভয় জাহানের সাফল্য রয়েছে। আল্লাহ তাআলা আমাদের তা রক্ষা করার তাওফিক দিন। আমিন।</span></span></span></span></p>