<p>আয়াতের অর্থ : ‘আর স্মরণ করো আইয়ুবের কথা, যখন সে তার প্রতিপালককে আহ্বান করে বলেছিল, আমি দুঃখ-কষ্টে পড়েছি, আর তুমি সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু। তখন আমি তার ডাকে সাড়া দিলাম, তার দুঃখ-কষ্ট দূর করে দিলাম, তাকে তার পরিবার-পরিজন ফিরিয়ে দিলাম এবং তাদের সঙ্গে তাদের মতো আরো দিলাম আমার বিশেষ রহমতরূপে এবং ইবাদতকারীদের জন্য উপদেশস্বরূপ।’</p> <p>(সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ৮৩-৮৪)</p> <p>আয়াতদ্বয়ে আইয়ুব (আ.)-এর পরীক্ষা ও পুরস্কারের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।</p> <p><strong>শিক্ষা ও বিধান</strong></p> <p>১. দোয়ার একটি শিষ্টাচার হলো ভাগ্য ও ভাগ্য নির্ধারক আল্লাহর প্রতি অভিযোগ না করা। কেননা আপতিত বিপদের মধ্যেও বান্দার জন্য কল্যাণ থাকে।</p> <p>২. দোয়ার আরেকটি শিষ্টাচার হলো সুনির্দিষ্ট সমাধান না চেয়ে আল্লাহর দয়া, অনুগ্রহ ও কল্যাণ চাওয়া। যেমনটি আইয়ুব (আ.) করেছেন।</p> <p>৩. দোয়ার সময় আল্লাহর গুণাবলি ও প্রশংসামূলক বাক্য পাঠ করা উত্তম। প্রাজ্ঞ আলেমরা বলেন, এটা দোয়া কবুলে সহায়ক।</p> <p>৪. আইয়ুব (আ.)-কে আল্লাহ ধৈর্যের প্রতীক বানিয়েছিলেন। আল্লাহ তাঁকে সম্পদ ও সন্তানে প্রাচুর্য দান করেছিলেন। অতঃপর তা কেড়ে নিয়ে এবং রোগ দিয়ে দীর্ঘ পরীক্ষা নেন।</p> <p>৫. বিপদ-আপদে যারা ধৈর্যের পরীক্ষা উত্তীর্ণ হয়, তাদেরকে আল্লাহ যা হারিয়েছে তার চেয়ে উত্তম কিছু দান করেন। যেমন আইয়ুব (আ.)-কে দিয়েছিলেন। (তাফসিরে আবি সাউদ : ৬/৮১)</p> <p> </p>