<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংসারে অভাবের কারণে প্রায় তিন বছর আগে ঢাকায় আসে ওমর ফারুক (১৭)। রায়েরবাগ এলাকার একটি কয়েল ফ্যাক্টরিতে চাকরি করত সে। গত ১৯ জুলাই দুপুরের খাবার খেতে কারখানা থেকে বের হয়। পথে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয় সে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ফারুকের শরীরে দুটি গুলি লাগে, একটি ফুসফুসে এবং অপরটি বগলের নিচে। তাকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় মহাখালীর জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে। সেখানে ১৩ দিন পর গত শুক্রবার  ভোরে মারা যায় কিশোর ফারুক। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ফারুকের মরদেহ নিয়ে স্বজনরা ভোলার উদ্দেশে রওনা করে বলে নিশ্চিত করেন তাঁর মামা আনোয়ার হোসেন। গ্রামের বাড়িতেই তাকে দাফন করা হবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নিহত ফারুক ভোলার লালমোহন উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাহাদুর চৌমহনী এলাকার ফয়েজউল্যাহ মুন্সির ছেলে। তারা দুই ভাই ও দুই বোন। বাবা ও বড় ভাইয়ের সঙ্গে ঢাকার রায়েরবাগ এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকত সে। বাবা একটি মসজিদের খাদেম এবং বড় ভাই দরজির কাজ করতেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বড় ভাই এমরান জানান, সংসারে অভাবের কারণে ফারুক বেশি লেখাপড়া করতে পারেনি, যার জন্য ঢাকায় এসে চাকরি নেয়। সে আন্দোলনকারী ছিল না। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এমরান জানান, ফারুকের জন্য স্বজনদের অনেককেই হাসপাতালে কাটাতে হয়েছে টানা ১৩ দিন। অবশেষে সবাইকে কাঁদিয়ে না-ফেরার দেশেই চলে গেল সে। শুক্রবার ভোরে মারা গেলেও আইনি জটিলতার কারণে হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরে দেরি হয়।</span></span></span></span></p>