<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের দ্রুত সংস্কারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ১০০ দিনের বিশেষ কর্মপরিকল্পনা ঘোষণার প্রস্তাব দিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। গবেষণা সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে জ্বালানি উপদেষ্টার কাছ থেকে ১০০ দিনের একটি কর্মপরিকল্পনা প্রত্যাশা করছে তারা। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বিশেষ আইন-২০১০ বাতিলের প্রস্তাবও দিয়েছে সংস্থাটি। একই সঙ্গে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আইন সংশোধন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ারও প্রস্তাব করা হয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল রবিবার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সংস্কার সিপিডির প্রস্তাবনা</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এ আহবান জানান। অনুষ্ঠানে খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম মূল প্রতিপাদ্য উপস্থাপন করেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশে ৪০ শতাংশ উদ্বৃত্ত সক্ষমতা রয়েছে জানিয়ে সিপিডির গবেষণা পরিচালক বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ চাহিদার চেয়ে ৪০ শতাংশ উদ্বৃত্ত উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে। বাড়তি সক্ষমতা থাকার কারণে ২০৩০ সাল পর্যন্ত যদি এক মেগাওয়াটও বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানো না-ও হয়, তার পরও কোনো সমস্যা হবে না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি আরো বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০৪১ সালে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা হতে পারে ২৭ হাজার মেগাওয়াট। ওই সময় দেশে রিজার্ভ মার্জিনসহ ৩৫ হাজার মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র থাকতে পারে। কিন্তু বিদ্যুৎ খাতের মহাপরিকল্পনায় লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার মেগাওয়াট, যা অযৌক্তিক। এই লক্ষ্যকে সংশোধন করে ৩৫ হাজার মেগাওয়াট করা উচিত।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নবায়নযোগ্য জ্বালানির উত্তরণে স্রেডার সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, স্রেডাকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন না রেখে প্রধানমন্ত্রী বা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অধীন নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। স্রেডাকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির বড় বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সক্ষমতা তৈরি করতে হবে। সেই লক্ষ্যে স্রেডার কাঠামো তৈরি করতে হবে। ভারত, চীন ও ইউকেতে যে ধরনের কাঠামো রয়েছে, সেভাবে স্রেডাকে গড়ে তুলতে হবে। বিপিডিবির অধীন থাকা রিনিউ-এবল উইংকে সরিয়ে শুধু স্রেডার কার্যক্রম বাড়াতে গুরুত্ব দিতে বলছে সিপিডি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট নীতিতে বিদ্যুৎ কেনার বিষয়ে সিপিডির পক্ষ থেকে বলা হয়, বিদ্যুৎ খাতে নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট নীতিতে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুৎ নিতে হবে। তাহলেই বিদ্যুৎ খাতের অযৌক্তিক ব্যয় কমে আসবে। ভর্তুকি দেওয়ার চাপও কমে যাবে। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধিরও দরকার হবে না।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা মনে করি একটি সুনির্দিষ্ট রূপরেখার আলোকে যদি এগোনো যায়, তাহলে আগামী দিনে জ্বালানি রূপান্তরে ইতিবাচক পরিবর্তনগুলো দেখতে পাব। বাংলাদেশে জ্বালানি রূপান্তরের জায়গায় ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। সেই আলোকে সরকারের কার্যক্রমকে আমরা তিনটি ফেজে ভাগ করেছি। ফেজ-১ হচ্ছে ছয় মাস, ফেজ-২ হচ্ছে ছয় থেকে ১২ মাস এবং ফেজ-৩ হচ্ছে ১২ থেকে ৩৬ মাস। এটি অন্তর্বর্তী সরকার করবে, নাকি নির্বাচনী সরকার করবে সেটি তাদের বিষয়। কিন্তু আগামী দিনে অব্যাহতভাবে যদি এই পরিবর্তন দেখতে চাই তাহলে কার্যক্রমগুলো নেওয়ার দরকার আছে। বিগত সরকারের আমলে বিদ্যুৎ খাতে নানা অনিয়ম হলেও বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। যেগুলো বাস্তবায়ন জরুরি। তাই অন্তর্বর্তী সরকারকে এগুলো বাস্তবায়নের কাজ অব্যাহত রাখতে হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিভিন্ন সংস্কারের প্রস্তাব তুলে ধরে সিপিডির গবেষণা পরিচালক আরো বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে বড় পরিবর্তন আনতে হবে। কুইক রেন্টালসহ বাড়তি ব্যয়ের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে। গ্রিড সিস্টেমকে আপডেট করে স্মার্ট গ্রিড সিস্টেমে যেতে হবে। বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদকদের সঙ্গে তাদের শুল্ক পুনর্নির্ধারণের জন্য পুনরায় আলোচনা করা, বিশেষ করে যেসব কম্পানিতে সরকারের দীর্ঘমেয়াদি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি রয়েছে এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ ন্যূনতম সময় পার করেছে, যেসব কম্পানি বিদ্যুৎ কেনার চুক্তির জন্য অযাচিতভাবে নির্বাচিত হয়েছে, তাদের লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) বাতিল করতে হবে। বিপিডিবি, বিপিসিসহ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোর গত কয়েক বছরের আর্থিক প্রতিবেদনগুলো আন্তর্জাতিক অডিট ফার্মের মাধ্যমে পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। প্রি-পেইড মিটারে ঝামেলার কারণে রাজধানীর গ্রাহকদের বাড়তি বিদ্যুৎ বিল দিতে হয়েছে। ভূতুড়ে বিদ্যুৎ বিলসংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করারও প্রস্তাব করা হয়েছে সিপিডির পক্ষ থেকে। </span></span></span></span></p>