<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বিভিন্ন দাবির অজুহাতে ঢাকার সাভার ও আশুলিয়ার পোশাক শিল্পাঞ্চলে বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা অস্থিরতা তৈরি করেছেন। শিল্প এলাকার ওই অস্থিরতা দূর করে সেখানে শৃঙ্খলা ফেরাতে যৌথ বাহিনীর অভিযানের সিদ্ধান্ত হয়। এরই অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার রাতে সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে সাভার থেকে ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে। একই সঙ্গে গাজীপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক হয়েছে একজন। আটকের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদ।  </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তিনি বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সাভার ও আশুলিয়ার বেশ কিছু কারখানার শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে টানা কয়েক দিন গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এক পর্যায়ে তাঁরা বেশ কিছু পোশাক কারখানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুর চালান। এতে জনদুর্ভোগের পাশাপাশি শিল্প এলাকার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ শিল্প এলাকার স্থিতিশীলতা ফেরাতে যৌথ বাহিনীর অভিযানের সিদ্ধান্ত নেয়। পরে সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশ বিভিন্ন সময়ে শিল্পাঞ্চল সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকে আটক করে। এর মধ্যে ১১ জনকে আশুলিয়া এবং তিনজনকে সাভার থেকে আটক করা হয়েছে। তাঁরা ওই শিল্প এলাকায় শ্রমিক অসন্তোষের সঙ্গে জড়িত কি না তা জানার চেষ্টা চলছে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Arial Unicode MS Bold""><span style="color:black">’</span></span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আটক ব্যক্তিরা হলেন নেত্রকোনা জেলার মো. ইসমাইল (২৪), আলম (২৪), টাঙ্গাইল জেলার ফরহাদ মিয়া (২৪), দিনাজপুর জেলার মনির হোসেন (২১), ময়মনসিংহ জেলার মোস্তাফিজুর রহমান জুলহাস (১৮), আশুলিয়ার গোরাট এলাকার মো. শাকিল (২৩), ঘোষবাগ এলাকার আসমা আক্তার (২৮), নিশ্চিন্তপুর এলাকার শিমু আক্তার, কুলসুম বেগম, আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকার মোখলেছুর রহমান (৫০)। আশুলিয়া থেকে আবু হানিফ নামের একজনকে আটক করা হলেও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় গতকাল শুক্রবার বিকেলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে সাভার থেকে আটক হওয়া ব্যক্তিদের নাম জানা যায়নি।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গাজীপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ১</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গাজীপুরে পোশাকশিল্প কারখানায় অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির অভিযোগে মো. মনিরুজ্জামান মনির (৪৬) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মহানগরীর কোনাবাড়ী বিসিকের ১ নম্বর গেট থেকে তাঁকে আটক করা হয়। গতকাল দুপুরে তাঁকে গার্মেন্টস কারখানায় অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির অভিযোগে করা একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গাজীপুর মহানগর আদালতে পাঠানো হয়।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গ্রেপ্তার মনির কোনাবাড়ী বিসিকের সিকিউরিটি ইনচার্জ এবং কোনাবাড়ী থানার দেওয়ালিয়াবাড়ি এলাকার মৃত হযরত আলীর ছেলে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোনাবাড়ী থানার ওসি মো. শাহ আলম জানান, পোশাকশিল্প কারখানায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার অভিযোগে মনিরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী থানায় সোপর্দ করে। গতকাল আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী সময়ে রিমান্ডে এনে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। </span></span></span></span></span></p> <p> </p>