<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী এবং নোয়াখালী ও যশোরের দুই সাবেক সংসদ সদস্যের (এমপি) বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে অনুসন্ধানের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদক সূত্র কালের কণ্ঠকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। সাবেক দুই এমপি হলেন নোয়াখালী-৬ আসনের আয়শা ফেরদৌস ও যশোর-৪ আসনের রনজিত কুমার রায়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ডা. সেলিনা হায়াত আইভী : অভিযোগে বলা হয়, সেলিনা হায়াত আইভী সিটি মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে আবুল হোসেনকে নিয়োগ দেন। আবুল হোসেন ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভয়ভীতি দেখিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে চাঁদাবাজি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। তাঁর নামে নারায়ণগঞ্জ মহানগরে চার-পাঁচটি ফ্ল্যাট রয়েছে। আইভীর আরেক ব্যক্তিগত সহকারী আরিফ হোসেনকে একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে পদায়ন করা হয়। তাঁর গাড়িচালকের নামে নারায়ণগঞ্জ মহানগরে দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে। সিটি করপোরেশনের সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলে কঠিন বর্জ্য সংগ্রহ এবং অপসারণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ রয়েছে সাবেক মেয়রের দুই ভাই আলী রেজা রিপন ও আহম্মদ আলী রেজা উজ্জ্বলের বিরুদ্ধে। নারায়ণগঞ্জ জেলায় তাঁদের সাততলার একটি বিশাল বাড়ি রয়েছে। ডা. আইভী মেয়র থাকাকালে ঐতিহ্যবাহী চিত্ত বিনোদন ক্লাব ভেঙে সেখানে একটি মার্কেট নির্মাণ এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের ১৮ একর জমি দখল করে সেখানে শেখ রাসেল পার্ক নির্মাণ করা হয়। এতে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ সেলিনা হায়াত আইভী তাঁর নামে ও তাঁর ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের নামে রেখেছেন। অবৈধ সম্পদের একাংশ তিনি তাঁর নিকট আত্মীয়দের নামেও রেখেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আয়শা ফেরদৌস : অভিযোগে বলা হয়, নোয়াখালী-৬ আসনের সাবেক এমপি আয়শা ফেরদৌসের সম্পদের মধ্যে রয়েছে হাতিয়া বাজারে বহুতল ভবন, ভূইয়ার হাট এলাকায় তিনতলা বাড়ি ও পুশালী বাজারে চারতলা মার্কেট। তাঁর স্বামীর নামেও বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ, ব্যাংকে টাকা, গাড়ি এবং মৎস্য ব্যবসাসহ নানা সম্পদ রয়েছে। ২০০৯ সালের আগে আয়শা ফেরদৌস একজন সাধারণ গৃহিণী ছিলেন। তাঁর আয়ের কোনো উৎস ছিল না। পরে তিনি এমপি নির্বাচিত হয়ে নিজ নামে ও নির্ভরশীলদের নামে দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রনজিত কুমার রায় : অভিযোগে বলা হয়, যশোর-৪ আসনের সাবেক এমপি রনজিত কুমার রায়ের নামে ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল চার লাখ ১০ হাজার টাকা। তাঁর স্ত্রীর নামে ছিল ৭০ হাজার টাকা ও ১৫ হাজার টাকা মূল্যের পাঁচ তোলা স্বর্ণ। পরে ২০২৩ সালে তা বেড়ে হয় চার কোটি ৪৯ লাখ আট হাজার টাকা এবং স্ত্রীর নামে এক কোটি ৪৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা। এমপিপুত্র রাজিব কুমার রায় প্রতি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি কাজের জন্য ৫ শতাংশ হারে কমিশন নিতেন। তাঁর নিজ ও ছেলের নামে ভারতের সল্টলেক এলাকায় বাড়ি রয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে জমি দখল, মানি লন্ডারিং, নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা দুর্নীতি করে দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ গড়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।</span></span></span></span></p>