<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ঢাকার মিরপুরে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত পারভেজ হোসেন (২২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় পারভেজ মারা যান। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে নিহত পারভেজের চাচা মহিন উদ্দিন এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। গতকাল শুক্রবার সকালে চন্দ্রগঞ্জের কামারহাট ঈদগাহ ময়দানে জানাজা শেষে পারভেজের মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পারভেজ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ধন্যপুর গ্রামের মিন্নত আলী হাজি বাড়ির মো. নবী উল্যা ও ফাতেমা বেগম দম্পতির বড় ছেলে। তিনি ঢাকার মিরপুর ১০ নম্বরে সেনপাড়া থাই গ্লাসের দোকানে কাজ করতেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পারিবারিক সূত্র জানায়, ৪ আগস্ট আন্দোলন চলাকালে মিরপুর ১০ নম্বর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পারভেজের মাথায় গুলি লাগে। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই দিন রাতেই ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস হাসপাতালে তাঁর মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক মাস আট দিন পর পারভেজ মারা যান।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পারভেজের চাচা মহিন উদ্দিন বলেন, পারভেজ কর্মঠ ছিলেন। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। তাঁর বাবা মানসিক রোগী। এ জন্য চতুর্থ শ্রেণিতেই তাঁর পড়ালেখা শেষ হয়ে যায়। এরপর এলাকায় বিভিন্ন কাজকর্ম করে পরিবারের হাল ধরেন। সাত বছর ধরে মিরপুরে গিয়ে তিনি থাই গ্লাসে কাজ করতেন। তাঁর উপার্জনের টাকায় তাঁদের সংসার চলত। পারভেজের মৃত্যুতে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে পরিবারটি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঢাকার কাফরুল থানার ওসি কাজী গোলাম মোস্তফা বলেন, পারভেজের মাথার বাম পাশে গুলি লাগে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে তাঁর মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। পারভেজের মরদেহটি পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</span></span></span></span></p>