<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আমাজন অববাহিকার অনেক নদীর পানির স্তর ক্রমাগত খরার মধ্যে রেকর্ড সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। ব্রাজিলের ভূতাত্ত্বিক পরিষেবা (এসজিবি) এ তথ্য জানিয়েছে। আমাজনের প্রধান উপনদী মাদেইরার পানির স্তর গত মঙ্গলবার পোর্তো ভেলহো শহরে রেকর্ড ৪৮ সেন্টিমিটার নিচে নেমে গেছে। গড় সর্বনিম্নের চেয়েও নিচে নেমে গেছে পানির স্তর। কলম্বিয়ার সঙ্গে ব্রাজিল সীমান্তে তাবাটিঙ্গায় সোলিমোয়েস নদীর পানির স্তরও রেকর্ড সর্বনিম্ন হয়েছে। ব্রাজিলের প্রাকৃতিক দুর্যোগ পর্যবেক্ষণ সংস্থা সেমাডেন সে দেশের বর্তমান খরাকে সবচেয়ে তীব্র ও প্রকট হিসেবে বর্ণনা করেছে, যা রেকর্ড পরিমাণ।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ঘটনাটি একই সঙ্গে উদ্বেগেরও। কারণ শুষ্ক মৌসুমে আমাজনের পরিস্থিতি তুলনামূলক খারাপ হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে জীববৈচিত্র্যসমৃদ্ধ আমাজনের পরিস্থিতি কয়েক মাস ধরেই উল্লেখযোগ্যভাবে খারাপ রয়েছে। বনাঞ্চলটি আগামী দিনে ঝুঁকিতে পড়ার শঙ্কাও রয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">খরা ও বৈশ্বিক উষ্ণতার মধ্যে যেমন সম্পর্ক রয়েছে, আরো দুটি উপায়ে জলবায়ু পরিবর্তন শুষ্ক আবহাওয়ার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে জুলাই থেকে নভেম্বরের মধ্যে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অনেক কমে যেতে পারে। খরার কারণে গাছ এবং মাটি থেকে পানি বেশি পরিমাণে বেরিয়ে যায়, ফলে আরো পানির ঘাটতি তৈরি হয়। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এর আগে ৪৫ বছরের রেকর্ড ভেঙে ২০২৩ সালে আমাজনে তীব্র খরা দেখা গেছে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এটি ঘটেছে। এল নিনোর প্রভাবে পরিস্থিতি বেশি খারাপ হয়েছে সেখানে। ফলে গত বছর আমাজনে বেশি গরম ও শুষ্ক ছিল। তবে এল নিনোর প্রভাব কেটে গেলেও খরা কমছে না সেখানে। আমাজনে খরার আরেক কারণ বন উজাড় করা। গত ৫০ বছরে প্রায় এক-পঞ্চমাংশ রেইনফরেস্ট হারিয়ে গেছে। গাছগুলো থাকার কারণে বৃষ্টিপাত বেশি হতো। বন উজাড়ের প্রভাবে খরা তীব্রতর হয়ে পরিস্থিতি আরো জটিল হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। সূত্র : বিবিসি</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p>