<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সকাল ঠিক ৯টা ১০ মিনিটেই কক্সবাজার সাগরপারের লাবণী পয়েন্ট থেকে বাসটি ছেড়ে যায়। আমি এবং আমার স্ত্রী ছিলাম ছাদখোলা বাসের ওপরের যাত্রী। দরিয়ানগরের পাহাড় আর ঝাউবীথি</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> এরপর হিমছড়ি ঝরনা পার হওয়ার পরই নামতে হলো। রেজুখালের লোহার পাতের ব্রিজ পেরিয়ে চড়লাম আরেক ছাদখোলা বাসে। যাত্রা শুরু হলো মেরিনড্রাইভ সড়ক ধরে। যাচ্ছি আশি কিলোমিটার দূরের টেকনাফ সীমান্তের সাবরাং জিরো পয়েন্টে। </span></span></span></span></span></p> <p><img alt="সৈকতে মুগ্ধ আকর্ষণ" height="418" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/09.September/27-09-2024/12312/888999.jpg" style="float:left" width="343" /><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কক্সবাজার দেখেছি এর আগে অনেকবার। কিন্তু মেরিন ড্রাইভ ভ্রমণ এই প্রথম। বাস চলছে মাঝারি গতিতে। মেরিন ড্রাইভের পূর্বে সবুজ পাহাড় সারি। পশ্চিম দিকে দিগন্তজোড়া সাগর। মেরিন ড্রাইভ ছোঁয়া সাগরের উথাল-পাতাল ঢেউয়ের আছড়ে পড়ার খেলা। মেরিন ড্রাইভকেন্দ্রিক প্রকৃতির এমন সৌন্দর্য কোনটা রেখে কোনটা উপভোগ করব</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ভেবে কূলকিনারা যেন পাই না। ছাদখোলা ট্যুরিস্ট বাসে মেরিন ড্রাইভ ভ্রমণ না করলে অনুধাবন করতে পারতাম না, বাস্তবে এত সুন্দর কক্সবাজার! </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">২২ সেপ্টেম্বর কালের কণ্ঠকে এমন বিবরণ দিয়ে অনুভূতি প্রকাশ করলেন রাজধানী ঢাকার গাবতলীর বাসিন্দা মো. নাসির উদ্দিন নাহিদ। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার চাকরিজীবী মীর সিফাত উল্লাহ সানি এবং নরসিংদীর কলেজছাত্র আনিসুর রহমানও ট্যুরিস্ট বাসে মেরিন ড্রাইভ ভ্রমণের চমৎকার উপভোগের কথা ব্যক্ত করলেন। তাঁরা তিন ভ্রমণকারীই গত শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) মেরিন ড্রাইভ ভ্রমণ করেছেন। তাঁরা জানালেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগের ট্যুরিস্ট বাস সার্ভিস এখানকার পর্যটনে নতুন দিগন্তের সৃষ্টি করেছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কক্সবাজারের পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান, আগে সৈকতে হাঁটা বা ছাতার নিচে বসে থাকা ছাড়া উপভোগের আর তেমন কোনো সুযোগ ছিল না। এখন মেরিন ড্রাইভের ট্যুরিস্ট বাস ভ্রমণ পুরো একটি দিনের উপভোগ করার সুযোগ হওয়ায় ভ্রমণকারীদের কাছে বিনোদনের বাড়তি মাত্রাও যোগ হয়েছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইয়ামিন হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভে গত জানুয়ারিতে প্রথমবারের মতো যাত্রা শুরু করেছে ছাদখোলা ট্যুরিস্ট বাস। এই বাসে চড়ে ভ্রমণপিপাসুরা উপভোগ করছেন পাহাড়, সাগর ও প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> তিনি জানান, ছাদখোলা ট্যুরিস্ট বাস কক্সবাজার ভ্রমণকে অন্যমাত্রায় নিয়ে যাবে। আর ট্যুরিস্ট বাস সংযোজনের মধ্য দিয়ে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের কর্মকর্তারা জানান, পর্যটকদের বিনোদনের পরিধি বাড়াতে বিআরটিসির সঙ্গে জেলা প্রশাসনের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি মতে বিআরটিসি কর্তৃপক্ষের চারটি ছাদখোলা বাস, নিজস্ব চালক ও জ্বালানি খরচ নিজেরাই বহন করবে। আর জেলা প্রশাসন ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করবে। প্রতি মাসে বিআরটিসি কর্তৃপক্ষকে নির্ধারিত একটি অঙ্কের টাকা পরিশোধ করবে জেলা প্রশাসন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">প্রতিটি বাসের ওপরে ছাদে ২৭ সিট এবং নিচে রয়েছে ৩২ সিট। সব মিলে ৫৯ জন যাত্রী পরিবহনের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিজনের ভাড়া নিচে ৬০০ টাকা এবং ছাদে ৭০০ টাকা। প্রতিদিন সকাল ৯টায় সাগরপারের লাবণী পয়েন্ট থেকে বাস ছেড়ে যায় মেরিন ড্রাইভে। কক্সবাজার থেকে টেকনাফের সাবরাং জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত যাওয়ার সময় হিমছড়ি ঝরনা পয়েন্টে ২০ মিনিটের বিরতি। তারপর রেজুখাল পর্যন্ত গিয়ে যাত্রীদের নামতে হয়।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p>