<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বৃষ্টি কমে এলেও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে রংপুর বিভাগের তিন নদ-নদীর পানি বেড়েছে। দুটি পয়েন্টে বিপৎসীমাও অতিক্রম করেছে তিস্তার পানি। এতে তিস্তাসংলগ্ন লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে সাময়িক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তবে আজ থেকে পানি কমে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এরই মধ্যে রংপুর বিভাগের চার জেলায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে অন্তত ৭০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে রংপুরের চার উপজেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়ছে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। উপজেলাগুলো হচ্ছে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছা। এ ছাড়া হারাগাছসহ মিঠাপুকুরের কিছু অংশে পানি ঢুকে পড়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গাইবান্ধার তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট, করতোয়া নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। জেলার সুন্দরগঞ্জের তিস্তা নদীতে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনের মুখে রয়েছে আরো শতাধিক বিঘা ফসলি জমি। একই সঙ্গে গত কয়েক দিনে উপজেলার কাপাসিয়া, হরিপর, শ্রীপুর ও চণ্ডীপুর ইউনিয়নে অন্তত ৩৫ থেকে ৪০টি বসতবাড়ি তিস্তায় বিলীন হয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমারের পানি বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তার তীরবর্তী রাজারহাট, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার ছয় ইউনিয়নের চর ও নিম্নাঞ্চলের বসতভিটা ও কয়েক শ হেক্টর ফসলের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বগুড়ায় যমুনার পানি বাড়ায় জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার চরাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চরাঞ্চলের কর্নিবাড়ি, চালুয়াবাড়ি, তেকানি চুকাইনগর, কাজলা ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকেছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার অন্তত ১২টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। গতকাল দুপুর থেকে লালমনিরহাট-রংপুর রেলপথের তিস্তায় রেললাইনের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে থাকে। তবে সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। পাঁচ উপজেলার ১০ হাজার পরিবারের ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে নীলফামারীতে তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রমের পর কমতে শুরু করেছে। এতে তিস্তাপারের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মূলত উজান থেকে নেমে আসা ঢলেই রংপুর বিভাগে তিস্তা, ধরলা, দুধকুমারসহ নদ-নদীর পানি বেড়েছে। (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, বৃষ্টিপাত কমে আসায় আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত পাঁচ জেলার বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। এরপর তিস্তার পানি কমে পরিস্থিতির ক্রমে উন্নতি হতে পারে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পাউবো জানিয়েছে, গতকাল রবিবার সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তার পানি রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে ধরলা ও দুধকুমার নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছিল।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান গতকাল সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিস্তা অববাহিকায় পাঁচ জেলার নিম্নাঞ্চলে সাময়িক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তিস্তায় পানি এরই মধ্যে কমা শুরু হয়েছে। আগামীকাল (আজ) সকাল থেকে পুরো তিস্তা অববাহিকায়ই পানি কমবে।  এরই মধ্যে উজানে পানি কমতে শুরু করেছে। সোমবারের মধ্যেই বেশির ভাগ নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নেমে যেতে পারে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">[প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও রংপুর; বগুড়া অফিস এবং লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, সিরাজগঞ্জ, পীরগাছা (রংপুর) ও গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি]</span></span></span></span></p>