<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বৃষ্টি ও বন্যার কারণে সরবরাহ সংকটের অজুহাত দেখিয়ে বাজারে সব ধরনের সবজির দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর খুচরা বাজারে কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়িয়ে বেশির ভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। সবজির এই বাড়তি দামের কারণে সাধারণ মানুষ আমিষে ঝুঁকছে। এতে ডিম ও মুরগির ওপর বাড়তি চাপ পড়ায় বেড়ে গেছে এই দুটি পণ্যের দামও। এক সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা এবং ডিম ডজনে ১০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ব্যবসায়ীরা বলছেন, কিছুদিন আগে টানা বৃষ্টি ও বন্যার কারণে কৃষকের সবজিক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে বাজারে সবজির সরবরাহ কমে গেছে। আবার চাহিদার তুলনায় ডিম ও মুরগির সরবরাহ কম হওয়ায় সেখানেও দাম বাড়ছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তবে সাধারণ ভোক্তারা ব্যবসায়ীদের এ ধরনের অজুহাত মানতে নারাজ। তাঁরা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকার সড়কে চাঁদাবাজি কমিয়ে আনলেও এখনো বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে পারেনি। নানা অজুহাত দেখিয়ে বাজার সিন্ডিকেট চাল, সবজি, ডিম ও মুরগির দাম বাড়াচ্ছে। এতে চাপে থাকা সাধারণ ভোক্তারা আরো বেশি চাপে পড়ছেন। বাজারে প্রয়োজনীয় তদারকি না থাকার সুযোগ নিচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালী কাঁচাবাজার, রামপুরা, বাড্ডা ও জোয়ারসাহারা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেঁপে, পটোল ও আলু ছাড়া বাজারে ৮০ টাকার নিচে কোনো সবজি মিলছে না। মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, করলার কেজি ১০০ টাকা, ঢেঁড়স কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকা, চিচিঙ্গা কেজি ৮০ টাকা, কাঁকরোল কেজি ১০০ টাকা, ঝিঙা কেজি ১০০ টাকা, বরবটি কেজি ১২০ টাকা, কাঁচামরিচ কেজি ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা, টমেটো কেজি ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, চায়না গাজর কেজি ১৮০ টাকা, শিম কেজি ২৬০-২৮০ টাকা, কচুমুখী কেজি ৮০-৯০ টাকা, পেঁপে কেজি ৫০ টাকা, চালকুমড়া প্রতি পিস ৬০ টাকা, লম্বা লাউ প্রতি পিস ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পটোল কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, আলু কেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রাজধানীর বাড্ডা কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা মো. মাহাদী কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পাইকারি বাজারে বর্তমানে আগের তুলনায় কম সবজি আসছে। যার কারণে আমাদের এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি দামে সবজি কিনতে হচ্ছে। ফলে খুচরা পর্যায়ে দাম না বাড়িয়ে উপায় নেই।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Arial Unicode MS Bold""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এদিকে বাজার নিয়ন্ত্রণে গত ১৬ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকার ডিম ও মুরগির দাম বেঁধে দেয়। কিন্তু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে বেঁধে দেওয়া দামের সুফল পাচ্ছে না ভোক্তা সাধারণ। খুচরা পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে প্রতি ডজন ডিম ২৮ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে। সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম প্রতি ডজন ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা। অথচ বর্তমানে রাজধানীর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়। যদিও এক সপ্তাহ আগে প্রতি ডজন ডিম ১৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে মুরগিও। রাজধানীতে ব্রয়লার মুরগি কেজি ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা এবং সোনালি মুরগি মানভেদে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সরকার নির্ধারিত ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা এবং সোনালি মুরগির দাম ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রাজধানীর জোয়ারসাহারা বাজারের মেসার্স ভাই ভাই স্টোরের বিক্রেতা মো. নজরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এখন আমাদেরই কিনতে সব মিলিয়ে প্রতি ডজন ডিমে খরচ পড়ে ১৬৫ টাকা, যার কারণে এক ডজন ডিম ১৭০ টাকার নিচে বিক্রি করার সুযোগ নেই। খোলা পাম অয়েলের দামও অনেক বেড়েছে। আগে এক ড্রাম (২০০ কেজি) পাইকারিতে কিনতে ২৩ হাজার টাকা খরচ হতো, এখন এক ড্রাম কিনতে খরচ হচ্ছে ২৯ হাজার টাকা।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Arial Unicode MS Bold""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীর বাজারগুলোয় দেশি পেঁয়াজের পাশাপাশি আমদানি করা প্রচুর পেঁয়াজের সরবরাহ রয়েছে। তবু কমছে না দাম। বর্তমানে খুচরায় প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ মানভেদে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি রসুন কেজি ২২০ থেকে ২৪০ টাকা এবং আমদানি করা বড় সাইজের রসুন কেজি ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি আদা মানভেদে ২২০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা চিনি কেজি ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।</span></span></span></span></span></p> <p> </p>