<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কোটা সংস্কার ও সরকার পতনের আন্দোলনে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারিক কার্যক্রম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শুরু হচ্ছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান ও দুই সদস্য ট্রাইব্যুনালে এলে তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. তাজুল ইসলাম। তিনি জানান, আজ বুধবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানসহ অন্য বিচারপতিদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে।  </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত ৯ অক্টোবর হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে শপথ নেওয়া মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারকে চেয়ারম্যান করে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে গত ১৪ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত ৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তাজুল ইসলাম। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তিনজন বিচারক যোগ দিয়েছেন। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পূর্ণাঙ্গভাবে গঠিত হলো। বৃহস্পতিবার স্বাভাবিক নিয়মে উনারা (বিচারকরা) এজলাশে বসবেন। হয়তো সেদিনই বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হবে। প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে আমাদের কোনো চাওয়া থাকলে সেটি নিয়ে আমরা আদালতের কাছে যাব।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ট্রাইব্যুনাল বসলে শেখ হাসিনাসহ আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়া হবে কি না জানতে চাইলে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কী চাওয়া হবে সেটি আদালতকক্ষে ঢোকার পর আপনারা জানতে পারবেন। সে পর্যন্ত আপাতত কিছু জানাচ্ছি না। আদেশ হলে সব কিছু জানতে পারবেন। তবে যেদিন ট্রাইব্যুনাল বসবেন, সেদিন নতুন মামলার বিষয়ে অবশ্যই কিছু আবেদন থাকবে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে। কী কী আবেদন থাকবে তা আদালতের কার্যক্রম শেষে আপনাদের বলা যাবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আসামিসংক্রান্ত এক প্রশ্নে তাজুল ইসলাম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কে পালিয়ে গেছে, তা তো আমরা এখন বলতে পারছি না। এখনো আমরা আসামির তালিকা ট্রাইব্যুনালের কাছে দেইনি। সুতরাং কে পালিয়ে গেছে বা যায়নি সেটি ট্রাইব্যুনালের কাছে তালিকা দাখিল করলেই বুঝা যাবে। পলাতকদের বিষয়ে আইনের বিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের যেসব মামলা বিচারাধীন, সেসব মামলার বিচারকাজ চলবে কি না জানতে চাইলে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যেসব মামলা বিচারাধীন, সে বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের দায়দায়িত্ব আছে। প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে আমরা চিন্তা করেছি যে অনেক মামলা আছে যেগুলো একেবারে চলার মতো না। সেসব মামলার বিষয়ে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় আদেশ চাইব। ট্রাইব্যুনাল পর্যালোচনা করে আদেশ দেবেন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট পতন ঘটে শেখ হাসিনা সরকারের। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে ৮ আগস্ট গঠন করা হয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারে আইন উপদেষ্টার দায়িত্ব নিয়ে আসিফ নজরুল ঘোষণা দেন ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করা হবে। সে ঘোষণা অনুযায়ী প্রথমে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন, তদন্ত সংস্থা পুনর্গঠনের পর সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাতে ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চলছে পুরনো ভবনের সংস্কারকাজ</span></span></strong></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে যে ভবনটিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা হয়েছিল, সেই ভবনটি পুরনো হাইকোর্ট ভবন নামে পরিচিত। বিচার চলার মধ্যেই ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শত বছরের পুরনো ভবন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় ট্রাইব্যুনাল। পুরনো এই ভবনের পাশেই টিনশেডের স্থাপনা তৈরি করে সেখানে স্থানান্তর করা হয় ট্রাইব্যুনাল ও প্রসিকিউশন। এর পর থেকে নতুন স্থাপনাতেই চলে আসছিল ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ট্রাইব্যুনাল ফের প্রাসঙ্গিক হলে পুরনো ভবনটির সংস্কারে সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। সে ধারাবাহিকতায় কিছুদিন সংস্কারকাজ শুরু হয়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>