<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পুনর্লিখন নয়, সংবিধান সংশোধন; তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল, ক্ষমতার ভারসাম্য এনে নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ ও আইনসভাকে সম্পূর্ণ আলাদা করার মতামত উঠে এসেছে এক সেমিনারে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গণতান্ত্রিক শাসনে উত্তরণের জন্য সাংবিধানিক সংস্কার</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পলিসি স্টাডিজ (বিআইপিএস)। সেমিনারে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, আইনজীবী, সংবাদপত্রের সম্পাদক, আইনের শিক্ষকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা বক্তব্য দেন। মতবিনিময়সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো. আবদুল মতিন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয় উল্লেখ করে বিচারপতি মতিন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পাঁচ বছর পর হলেও গণতন্ত্রের একটু স্বাদ পেতাম। (আগে) নির্বাচনের ব্যবস্থা ছিল না। একটি ব্যবস্থা করা গেল ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে যে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় দু-তিনটি নির্বাচন ভালোই করলাম। পরে সেটি আবার বেহাত হয়ে গেল।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থারও অপপ্রয়োগ (অ্যাবিউজ) হয়েছে উল্লেখ করে সাবেক এই বিচারপতি বলেন, এটি মেরামত করা যেত। কিন্তু এটি এমনভাবে বাধাগ্রস্ত (ব্যারিয়ার) করা হলো, নির্বাচন বলতে কিছুই থাকল না। ২০১৪ সালে একটি নির্বাচন হলো, প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলো না, ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য হয়ে গেলেন। এরপর ২০১৮ সালে দেখা গেল, রাতের বেলায় ভোট হয়ে গেল। আর ২০২৪ সালে দেখা গেল </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ডামি নির্বাচন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">। ত্রয়োদশ সংশোধনী যদি থাকত, অন্তত মন্দের ভালো একটি নির্বাচন হতে পারত। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল হওয়া দরকার।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, যেগুলো স্বীকৃত বা মীমাংসিত বিষয়, এগুলোতে মনে হয় হাত দেওয়া ঠিক হবে না। যেগুলো না করলেই নয়, সেগুলোর সংস্কার করা দরকার।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সংবিধানে শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা ঘোষণা করে সব অফিস-আদালতে তাঁর প্রতিকৃতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। একটি জাতির একজন জাতীয় নেতা বা রাষ্ট্রনায়ক থাকতে পারে। কিন্তু তিনি জাতির পিতা হতে পারেন না।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম যুক্ত করার সমালোচনা করে সাবেক এই বিচারপতি তাঁর ধারণাপত্রে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যদি সংবিধানটি নতুন করে লিখতে হয় তবে সংবিধানের ২ক অনুচ্ছেদ বাদ দেওয়া যেতে পারে। ১৯৮৮ সালে সামরিক শাসক এরশাদ এই অনুচ্ছেদ যুক্ত করেছিলেন। সামরিক সরকারের অনেক কিছু বাদ দিলেও শেখ হাসিনা সরকার তা ধরে রেখেছিল। রাষ্ট্র একটি প্রতিষ্ঠান, প্রতিষ্ঠানের কোনো ধর্ম থাকতে পারে না। এ ছাড়া এই বিধান সংবিধানের সমতার নীতিকেও লঙ্ঘন করেছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য আনার গুরুত্ব তুলে ধরে বিচারপতি মতিন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য আনতে হবে। প্রধানমন্ত্রী দুই মেয়াদের বেশি সরকারপ্রধান হিসেবে থাকতে পারবেন না, এই বিধান রাখা যেতে পারে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ছাড়া রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতির নিয়োগ ছাড়া কিছুই করতে পারেন না। অর্থাৎ এই কাজ ছাড়া রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে কাজ করতে বাধ্য। এই বিধান দূর করা উচিত।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো বক্তব্য দেন ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‌</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ফুজ আনাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন, আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পলিসি স্টাডিজের সভাপতি সি এ এফ দৌলা, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী উত্তম কুমার দাস, গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"> </p>