<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সড়কে এত মানুষ মারা গেলেও এটাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে না। বিষয়টিকে যেভাবে সমাধান করা দরকার ছিল, সে রকম কোনো উদ্যোগ নেই। যেভাবে কাজ করা দরকার, সেটা কেউ করছে না। এমনকি বর্তমান সরকারও সড়ক নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দিচ্ছে না। অন্যান্য বিষয়বস্তু নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার যতটা আগ্রহী, এটা নিয়ে এমন আগ্রহ নেই। সরকার চাইলে সড়কে মৃত্যু কমানোর বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে পারত। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আবার এই সরকারের একার পক্ষে সব কিছু খেয়াল রাখাও কঠিন। একজন উপদেষ্টার হাতে সড়ক, রেল ও জ্বালানির মতো বড় তিনটি মন্ত্রণালয়। তিনি কিভাবে এসব দেখভাল করবেন? একটা রাজনৈতিক সরকার থাকলে এখানে একাধিক মন্ত্রী থাকত। বর্তমান সরকার হিমশিম খাচ্ছে। তাই এসব মন্ত্রণালয়ে মূলত কাজ করছেন সচিবরা। এখন সচিবরা কি নিজ উদ্যোগে সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়টির সমাধান করবেন?     </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে হলে সড়ক নিয়ে যাঁদের ভালো জ্ঞান আছে, তাঁদের নিয়ে একটি কমিটি করতে হবে। স্বাধীনভাবে পরিচালিত হওয়ার জন্য সেই কমিটির ক্ষমতা থাকতে হবে। কমিটি সড়ক আইন থেকে শুরু করে নির্মাণ</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সব কিছুতে পরামর্শ দেবে, সুপারিশ প্রস্তাব করবে। কোন সড়কে কেমন গাড়ি চলতে পারবে</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সেটিও সেই কমিটি নির্ধারণ করবে। এর পরও কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে এক ঘণ্টার মধ্যে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। একটি নির্ধারিত ফোন নম্বরের মাধ্যমে সর্ব সাধারণ কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আমি দেশে-বিদেশে যেসব জায়গায় অংশ নিয়েছি, সেখানে দেখেছি বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের ব্যক্তিরা অংশ নিয়েছেন। কিন্তু আমি গত ১০ বছর বলেও আমাদের দেশের মন্ত্রীকে কোনো সেমিনারে নিতে পারিনি। এমনকি মন্ত্রণালয়ের সচিবকেও নিতে পারিনি। ওই সব সভায় অংশ নিলে সরকারের কোনো পয়সা খরচ হতো না; কিন্তু পলিসি লেভেলের অনেক কিছু শেখা যেত। যেগুলো আমরা দেশে বাস্তবায়ন করতে পারতাম। কিন্তু কোনো ইচ্ছাই নেই। অথচ যেসব দেশে সড়ক দুর্ঘটনা কম, তারাও শিখতে চাচ্ছে দুর্ঘটনা আরো কিভাবে কমানো যায়। আসলে সড়কে মৃত্যু কমাতে হলে রাজনৈতিকভাবে এবং সরকারের দিক থেকে আগ্রহী হতে হবে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সড়কে মৃত্যু কমাতে জাতিসংঘের সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে। ২০১০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত  সময়টাতে সড়ক দুর্ঘটনা অর্ধেকে নামিয়ে আনতে বলেছিল। কিন্তু আমরা সেটা পারিনি। অনেক দেশ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি সফলতা অর্জন করেছে। সুইডেন সড়ক দুর্ঘটনা শূন্যে নামিয়ে এনেছে। পলিসি ঠিক করার মধ্য দিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা এবং দুর্ঘটনায় মৃত্যু অবশ্যই কমানো সম্ভব। সড়ক দুর্ঘটনা কোনো রোগ না। ২০১০ সাল থেকে এটাকে </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রোড অ্যাক্সিডেন্ট</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> বলার কথা না। বলতে হবে  </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রোড ক্রাশ</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">। অ্যাক্সিডেন্ট হলো দৈব কাজ, যা মানুষের পক্ষে রোধ করা সম্ভব না। কিন্তু রোড ক্রাশ আমরাই তৈরি করি। যেহেতু মানুষ তার ভুলের কারণে এটা করে, ফলে চাইলেই রোড ক্রাশ কমানো সম্ভব।   </span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">লেখক : চেয়ারম্যান, নিরাপদ সড়ক চাই  </span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p> <p> </p>