<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">হুমকি পেয়েছিলেন আগেই। ভয়ে এক ক্যাম্প থেকে আরেক ক্যাম্পে ছুটছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। অচেনা আততায়ীদের হাতে প্রাণ দিতে হয়েছে উখিয়া রোহিঙ্গা শিবিরের একই পরিবারের তিনজনকে। বাবা আহমদ হোসেন (৬০), ছেলে সৈয়দুল আমিন (২৮) ও মেয়ে আসমা বেগম (১৩)। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তাঁরা সবাই উখিয়ার আলোচিত রোহিঙ্গা শিবিরের ১৭ নম্বর ক্যাম্পে থাকতেন। ভয়ে ২০ নম্বর ক্যাম্পে পালিয়ে গিয়েছিলেন আহমদ হোসেন। কিন্তু আততায়ীরা তাঁকে ছাড়েনি। সোমবার (২১ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">২০ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরে দায়িত্বরত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (১৪ এপিবিএন) অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইকবাল সংবাদমাধ্যমকে জানান, ভোরে অজ্ঞাতপরিচয় ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী আহমদ হোসেনের অস্থায়ী শেডে ঢুকে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই আহমদ হোসেন ও তাঁর ছেলে সৈয়দুল আমিন মারা যান। আহত মেয়ে আসমাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">উখিয়া থানার ওসি মো. আরিফ হোছাইন জানান, উখিয়ার লাল পাহাড়সংলগ্ন ২০ নম্বর ক্যাম্পের এক্স-ব্লকের এস/৪, বি/৬ ব্লকে ঢুকে একই পরিবারের তিনজনকে গুলি করে অজ্ঞাত পরিচয় ১৫-২০ জন দুর্বৃত্ত। মাথায়, বুকে ও গলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান বাবা-ছেলে-মেয়ে। তিনি জানান, নিহতরা ১৭ নম্বর ক্যাম্প থেকে এসে অস্থায়ীভাবে ২০ নম্বর ক্যাম্পে শেড তৈরি করে বসবাস করছিলেন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ক্যাম্প সূত্র মতে, নিহত রোহিঙ্গা সৈয়দুল আমিন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরসার সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সম্পৃক্ত ছিলেন</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এমন কথা ক্যাম্পে প্রচলিত আছে। হামলার পর অজ্ঞাত পরিচয় সন্ত্রাসীরা লাল পাহাড়ের এস/৪, বি/৭ ব্লক দিয়ে পালিয়ে যায়। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ওসি আরিফ হোছাইন বলেন, এপিবিএনের সহায়তায় মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p> <p> </p> <p> </p>