<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে গুলি করা অস্ত্রধারী ও তাদের গডফাদাররা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিভিন্ন ছবি, ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ২০ জন অস্ত্রধারীকে শনাক্ত করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা থাকলেও অনেককেই এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জেলায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কাছে থাকা অবৈধ অস্ত্রও উদ্ধার করা যায়নি। তাই এসব অস্ত্র ব্যবহার করে তারা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আন্দোলন চলাকালে গত ১৬ জুলাই নগরীর মুরাদপুর, ১৮ জুলাই বহদ্দারহাট এবং ৪ আগস্ট নিউ মার্কেট, তিনপুলের মাথা, স্টেশন রোড, কদমতলী, টাইগারপাস, আসকারদিঘির পার, বহদ্দারহাট এলাকায় ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালান আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা। ছাত্রলীগের গুলিতে ও হামলায় শহীদ হন চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র ওয়াসিম আকরাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হৃদয় চন্দ্র তারুয়া, ওমরগণি এম ই এস কলেজের শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমদ, আসবাব তৈরির মিস্ত্রি ওমর ফারুক, দোকান কর্মচারী মাহিন সাইমন, আশেকানা আউলিয়া ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী তানভীর সিদ্দিকী, মাদরাসা শিক্ষার্থী সাইফুল, বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউসার মাহমুদসহ বেশ কয়েকজন। আহতও হয়েছেন আড়াই শতাধিক মানুষ। যার মধ্যে বেশির ভাগই গুলিবিদ্ধ। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অভিযোগ রয়েছে কমপক্ষে ২০ জন অস্ত্রধারী আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে। তাঁদের সঙ্গে চট্টগ্রামের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতাদেরও অবস্থান করতে দেখা গেছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৬ জুলাই মুরাদপুর এলাকায় অস্ত্র হাতে দেখা গেছে যুবলীগকর্মী ফিরোজ, এইচ এম মিঠু, জাফর এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের দেলোয়ারকে। তাঁদের সঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনিকেও অবস্থান করতে দেখা গেছে। সেখানে তাঁদের গুলিতে ওয়াসিম আকরামসহ তিনজন শহীদ হন।  </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১৮ জুলাই বহদ্দারহাটে শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মহিউদ্দিন ফরহাদ, দেলোয়ার, তৌহিদ, আওয়ামী লীগ কর্মী জালাল, যুবলীগকর্মী ফরিদ, এইচ এম মিঠু ও ফিরোজ। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত ৪ আগস্ট চট্টগ্রামের নিউ মার্কেট, তিনপুলের মাথা, স্টেশন রোড ও আসকারদিঘি এলাকায় কমপক্ষে আট-দশজন অস্ত্রধারীকে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি করতে দেখা গেছে। আসকারদিঘি পার এলাকায় জামালখানের ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমনের নেতৃত্বে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দিতে দেখা গেছে। ওই সময় কাউন্সিলরের পাশে এক যুবককে শর্টগান হাতে দেখা গেছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ছাত্র-জনতার ওপর অস্ত্র হাতে হামলাকারী যুবলীগকর্মী ফয়সাল, ফিরোজ, হাবিবুর রহমান আহনাফসহ পাঁচজনকে  গ্রেপ্তার করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। আর কোনো অস্ত্রধারীকে ধরার তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে এসব আসামি ও তাঁদের গডফাদাররা গ্রেপ্তার না হলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁদের সরব উপস্থিতি রয়েছে বলে জানা গেছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব নাজিমুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যারা অস্ত্র নিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করেছেন ও হামলার নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কিন্তু এত দিনেও তাঁরা গ্রেপ্তার না হওয়াটা হতাশাজনক। এত দিন পুলিশের জনবল সংকট ছিল। আমরা আশা করব, এখন এসব অপরাধীকে দ্রুত ধরে আইনের আওতায় আনবে পুলিশ।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span>  </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) কাজী তারেক আজিজ কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আন্দোলনের ছবি ও ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে শিক্ষার্থী-জনতার ওপর গুলিবর্ষণকারী ২০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। সবাইকেই গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। অস্ত্রধারীরা যদি দেশে থাকে, তাহলে অবশ্যই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"> </p>