<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ব্যক্তিস্বার্থে কেউ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেনি উল্লেখ করে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যাঁরা লড়াই-সংগ্রাম করেছেন, তাঁরা কেউ ব্যক্তিস্বার্থে করেননি, দেশের জন্য করেছেন। তাই ফ্যাসিবাদের থাবায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, সেই সব শহীদ পরিবারের অন্তত একজনকে সরকারি চাকরি দিতে হবে। পরবর্তী প্রজন্মকে জানাতে তাঁদের সবার ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল রবিবার রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর (উত্তর) আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় তিনি আরো বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একটি সন্তানকে নিয়ে পরিবারের অনেক স্বপ্ন থাকে। সেই স্বপ্ন মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে ফ্যাসিবাদ। তাই রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে চাকরির ক্ষেত্রে শহীদ পরিবারের সদস্যদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। সুযোগ পেলে তাঁরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যেভাবে লড়াই করেছেন, একইভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোকে শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, চিকিৎসার অভাবে যাঁরা হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন, তাঁদের পাশে রাষ্ট্রকে দাঁড়াতে হবে। তাঁদের সুুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জামায়াত আমির বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হলে আওয়ামী লীগের পাঁচ লাখ নেতাকর্মী মারা যাবেন। এত বড় বিপ্লব, অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগের কতজন নেতাকর্মী মারা গেছেন? পাঁচ হাজার, ৫০০, ৫০ জন, পাঁচজন? কিছুই হয়নি। আওয়ামী লীগ দানব হতে পারে, কিন্তু এ দেশের জনগণ মানব। তিনি বলেন, কথা দিচ্ছি, সব বৈষম্য অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে তত দিন পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যাবে, যত দিন এসব মুছে না যায়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নেতাদের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যারা খুনি, যারা অপরাধ-দুর্নীতি করে সম্পদের পাহাড় গড়েছে, তারাই দেশ থেকে পালিয়েছে। তারা যতগুলা মানুষ খুন করেছে, সব কয়টির বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আমরা প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। ন্যায়বিচারে বিশ্বাস করি। এ দেশে ন্যায়বিচার কায়েম হলে ভবিষ্যতেও কোনো দল স্বৈরশাসক হওয়ার সাহস করবে না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ দেশে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে অভিযোগ করে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংবিধানের সংকট যদি হয়, রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক সংকট যদি হয়, সেই সংকটের পেছনে কোন শক্তি আছে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তা আগেই অ্যানালিসিস করতে হবে। বিপ্লবের পর বিপ্লবের ফসল ছিনতাই হয়ে যেতে পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক সংকটের সুযোগ যাতে পতিত ফ্যাসিবাদ নিতে না পারে, সে বিষয়ে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ছাত্রলীগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এটা নিয়ে আমাদের প্রতিক্রিয়া নেই। ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা ছিল জনতার দাবি। এই সিদ্ধান্ত জনগণ স্বাগত জানিয়েছে, সারা দেশে প্রশংসিত হয়েছে। এখন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে কি না, তা জনগণ বুঝবে, আদালতে সিদ্ধান্ত হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একটি সংশোধনী আনার কথা শুনছি। সংগঠন হিসেবে, রাজনৈতিক দল হিসেবে যদি গণহত্যার সঙ্গে জড়িত হয়, তাহলে ওই রাজনৈতিক দলের ও দলীয় প্রধান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর বিচার হবে। সেই সংশোধনী যদি আইনে আনে এবং ট্রাইব্যুনালে যদি বিচার হয়, সেই বিচারের ফলাফল কী হয়, তখন দেখা যাবে। গণহত্যাকারী কোনো দল বাংলাদেশের রাজনীতি করতে পারবে কি না, তা আদালত ও দেশের জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে হাজারো প্রাণের বিনিময়ে দেশ স্বৈরশাসনমুক্ত হয়েছে। এখনো চিকিৎসা চলা অবস্থায় আন্দোলনে আহত অনেকের মৃত্যু হচ্ছে। ওই সব শহীদের নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সভাপতির বক্তব্যে জামায়াত নেতা মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন জুলাই আন্দোলনে শহীদদের মুক্তিযোদ্ধা ও জাতীয় বীর ঘোষণা করার দাবি জানান। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের পরিচালনায় সভায় বত্তৃদ্ধতা করেন সংগঠনের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, ১২ দলীয় জোটের প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের, এনপিপি চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম ফরহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব ফারুক হাসান, গণ অধিকার পরিষদের (নুর) সদস্যসচিব রাশেদ খান প্রমুখ।</span></span></span></span></p>