<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার ঢাকা মহানগর পুলিশের মিরপুর জোনের সাবেক উপকমিশনার (ডিসি) জসীম উদ্দীন মোল্লাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত ১৪ আগস্ট পুনর্গঠনের পর এই প্রথম কোনো অভিযুক্তকে হাজিরের পর কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিলেন ট্রাইব্যুনাল।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল বুধবার বিকেলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জসীম উদ্দীন মোল্লাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ডিএমপির মিরপুর জোনের উপকমিশনার জসীম উদ্দীন মোল্লাকে গত ১৩ আগস্ট রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে যুক্ত করা হয়। গতকাল ভোরে তাঁকে রংপুর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁর স্থায়ী ঠিকানা গোপালগঞ্জ হওয়ায় গ্রেপ্তারের পর গোপালগঞ্জ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। গোপালগঞ্জ পুলিশ তাঁকে গতকাল দুপুরের পর ট্রাইব্যুনালে হাজির করে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আদেশে ট্রাইব্যুনাল বলেন, প্রসিকিউশনের আবেদনে গত ২৭ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল যাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন, অভিযুক্ত জসীম উদ্দীন তাঁদের একজন। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তদন্তের স্বার্থে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হলো। এই</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> আদেশের পর চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, জসীম উদ্দীন মোল্লার অধীনে মিরপুর জোনে সাতটি থানা পরিচালিত হতো। সেই সাতটি থানার অধীনে পুলিশ কয়েক শ ছাত্রকে গুলি করে হত্যা (জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে) করেছে এবং নানা ধরনের নৃসংশতা হয়েছে। এসবে তাঁর সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। বিভিন্ন থানায় জসীম মোল্লাসহ পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ৩৫টি মামলা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা প্রাথমিক তদন্ত শেষে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির জন্য প্রসিকিউশনকে অনুরোধ করেছিল। গত ২৭ অক্টোবর জসীম মোল্লাসহ ১৭ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। সেই পরোয়ানা মূলে তাঁকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ট্রাইব্যুনাল তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।</span></span></span></span></span></p> <p> </p>