<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পের </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শীর্ষ মাদক কারবারি</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ভূঁইয়া সোহেল ওরফে বুনিয়া সোহেলসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গত বৃহস্পতিবার রাতে সিলেটের কোতোয়ালি এবং হবিগঞ্জের মাধবপুর এলাকা থেকে র‌্যাব-২ ও র‌্যাব-৯-এর যৌথ অভিযানে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় বোমার আঘাতে রাজা নামের একজন নিহত হন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমে র‌্যাব-২-এর পাঠানো এক বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়। বুনিয়া সোহেল ছাড়াও গ্রেপ্তার হওয়া অন্যরা হলেন আমীর হোসেন হীরা, জামাল হোসেন, শাহীনুর বেগম, আনোয়ার হোসেন, মিঠুন, সাহিল, নাঈম, আজিম, নূর বেগম, ভানু বেগম ও সাকিব হাসান। তাঁরা সবাই সোহেলের সহযোগী বলে র‌্যাব জানায়। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">র‌্যাব আরো জানায়, সম্প্রতি মোহাম্মদপুর থেকে ডাকাত ও ছিনতাইকারী দলের ৩০ থেকে ৪০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-২। তাঁরা র‌্যাবকে জানান, বুনিয়া সোহেলের নেতৃত্বে মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্প এবং এর আশপাশ এলাকার মার্কেট, বাসস্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি, অপহরণ, ছিনতাই, মাদক ব্যবসা, খুন, ধর্ষণসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গোয়েন্দা নজরদারির ধারাবাহিকতায় সোহেলসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোহেলের বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানায় হত্যা, অবৈধ অস্ত্র, মাদকসহ ১৮টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জেনেভা ক্যাম্পের বাসিন্দারা জানিয়েছে, একসময় পুরো ক্যাম্পের মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ ছিল নাদিম হোসেন ওরফে পাঁচ্চিশ ও ইশতিয়াক নামের দুই যুবকের হাতে। দুজনই মাদকের কারবার করে বিপুল অর্থের মালিক হয়েছিলেন। পালতেন ব্যক্তিগত সন্ত্রাসী বাহিনী। এরপর ২০১৮ সালের জুলাইয়ে পূর্বাচলে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন পাঁচ্চিশ। বিদেশে পালিয়ে যান ইশতিয়াক। তবে কভিড-১৯ মহামারির সময় করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান বলে ক্যাম্পে জনশ্রুতি রয়েছে। এর পর থেকেই ইশতিয়াক আর পাঁচ্চিশের মাদক সাম্রাজ্য দখলের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। বুনিয়া সোহেল গ্রেপ্তার হওয়ার খবরের পর তাঁর প্রতিপক্ষ </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চুয়া সেলিম</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> পুরো এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করলে সোহেলের লোকজন বাধা দেয়। এ পরিস্থিতিতে গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় বোমার আঘাতে রাজা নামের একজন নিহত হন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সূত্র জানায়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে জনসাধারণের জান-মাল ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার সার্বিক নিরাপত্তা এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বিচারবহির্ভূত কর্মকাণ্ড রোধ ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী নিরপেক্ষতা ও পেশাদারির সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ অক্টোবর থকে বিশেষ অভিযানে বেশ কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ গ্রেপ্তার হওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় নিমজ্জিত মোহাম্মদপুরবাসীর মনে স্বস্তি ফিরে আসছে। সন্ত্রাস দমন এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সেনাবাহিনীর কঠোর অবস্থান অব্যাহত থাকবে বলে আইএসপিআর জানিয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পুলিশ বলছে, যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে এ পর্যন্ত দেড় শতাধিক সন্দেহভাজন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে মাদক কারবারিসহ হত্যা মামলার আসামিও রয়েছেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"> </p>