<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রাচীন জীব কিভাবে ক্ষতিকর মিউটেশন (একটি কোষের ডিএনএ অনুক্রমের কোনো পরিবর্তন) থেকে তার জিনোম (বংশানুক্রম) রক্ষা করত, তা বুঝতে পেরেছেন গবেষকরা। তাঁরা দাবি করেছেন, তাঁদের গবেষণার ফল দিয়ে জীবটির শুধু বয়সই নির্ধারণ করা যাবে না, জীবটি কিভাবে বিবর্তিত হয়েছে, সে সম্পর্কিত তথ্যসূত্র পাওয়া যাবে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশ্বের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে বয়সী উদ্ভিদ হিসেবে পরিচিত পপলারজাতীয় একটি গাছের (বৈজ্ঞানিক নাম </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">Populus tremuloides</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">) ডিএনএ পরীক্ষণের মাধ্যমে একদল গবেষক এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন। আমেরিকার উটাহ রাজ্যে এই গাছটি পেনডু নামে পরিচিত। শত শত পেনডুগাছ থেকে ডিএনএ সংগ্রহের পর গবেষকরা বুঝতে পারেন, এসব গাছের বয়স ১৬ হাজার থেকে শুরু করে ৮০ হাজার বছর পর্যন্ত হতে পারে। তাঁরা এই গাছের জেনেটিক প্রকরণ সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন। এর মাধ্যমে তাঁরা বলে দিতে পারছেন, এসব গাছ সময়ের ব্যবধানে কিভাবে অভিযোজিত ও বিবর্তিত হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গবেষকদের গবেষণার এই ফল এখনো গভীরভাবে বিশ্লেষিত হয়নি। তবে এই গবেষণাপত্রের সহ-লেখক শিকাগো ইউনিভার্সিটির উদ্ভিদ বিবর্তনীয় জেনেটিসিস্ট রুজিন পিনিয়াউ বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে লিখেছেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমি মনে করি, বিশ্বের প্রাকৃতিক বিস্ময় সম্পর্কে এই গ্রহবাসীর মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারাটা একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। লাতিন ভাষায় পেনডু মানে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমি ছড়িয়ে যাই</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">। উটাহ রাজ্যের ফিশলেক ন্যাশনাল ফরেস্টের পেনডুগাছ নিয়ে গবেষকরা এই গবেষণা করেন। ৪২.৬ হেক্টর আয়তনজুড়ে তাঁরা প্রায় ৪৭ হাজার কাণ্ড দেখতে পান। এই গাছ ট্রিপ্লয়েড (তিন সেট ক্রোমোজোম বিশিষ্ট)। অর্থাৎ এই গাছের দেহকোষে ক্রোমোজমের দুটির পরিবর্তে তিনটি কপি থাকে। এই কারণে গাছটি অঙ্গজ প্রজননের মাধ্যমে বংশবিস্তার ঘটাতে পারে না। এই গাছের ডিএনএও অন্য গাছের সঙ্গে মিশে যেতে পারে না। এ কারণে গাছটি ক্লোন প্রক্রিয়ায় তার বিস্তার ঘটায়। এই বিষয়টি জীববিজ্ঞানীদের মাঝে বেশ আগ্রহ জন্মিয়েছে। সূত্র : নেচার</span></span></span></span></span></p>