<p>বিদ্যুৎসংকটকে <span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পুঁজি করে ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা একটি চক্র নির্বিচারে হাতিয়ে নিয়েছিল রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকা। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে রেন্টাল-কুইক রেন্টালের আড়ালে অস্বাভাবিক দরে বিদ্যুৎ কেনার নামে বলতে গেলে দেশের বিপুল অঙ্কের টাকা তুলে দেওয়া হয়েছিল ওই চক্রের হাতে, যারা এর বড় অংশই আবার বিদেশে পাচার করেছে। ক্যাপাসিটি চার্জের নামে এরা হাতিয়ে নিয়েছিল ২৯ হাজার কোটি টাকা। অন্তর্বর্তী সরকার এসব অনিয়ম খতিয়ে দেখার উদ্যোগ নিয়েছে ঠিকই, তবে তার আগেই দেশের টাকা চলে গেছে বিদেশে। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><img alt="রেন্টাল-কুইক রেন্টালে লুটপাট" height="147" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/11.November/10-11-2024/666.jpg" style="float:left" width="400" />গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ সরকার জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুতের ঘাটতি মেটাতে রেন্টাল-কুইক রেন্টাল (ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র) বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করে। ২০১০ সালে বিনা টেন্ডারে দায়মুক্তি আইন বা বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন করে এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। শুরুতে তিন বছরের জন্য এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের লাইসেন্স দেওয়া হলেও দফায় দফায় বাড়ানো হয়েছে মেয়াদ। কোনোটি চলছে ১০ বছর, আবার কোনোটি এখন পর্যন্ত চলছেই। এসব তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ব্যয়ও বেশি। এর পরও এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ কয়েক দফায় বাড়ানো হয়েছে। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জও নির্ধারণ করা হয় অতি উচ্চ হারে। এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ খাত থেকে লুটে নেওয়া হয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ, যা বিভিন্ন সময়ে উঠে এসেছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অন্তর্বর্তী সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেন্টাল ও কুইক রেন্টালের আর কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি নবায়ন করবে না। এরই মধ্যে স্থগিত করা হয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের দায়মুক্তির আইনটিও, যার মাধ্যমে বিনা দরপত্রে কাজ পাওয়ার সুযোগ নিত বিশেষ একটি মহল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের চুক্তিগুলো পর্যালোচনাসংক্রান্ত জাতীয় পর্যালোচনা কমিটি এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ে কয়েক দফা বৈঠকও করেছে।   </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) কর্মকর্তারা বলছেন, রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ সক্ষমতায় ব্যবহার করা হবে</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এমন শর্তে লাইসেন্স দেওয়া হলেও বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো গড়ে চলেছে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ। অর্থাৎ এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বছরের ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ সময় বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়নি, বরং অলস বসে ছিল। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ তিন মেয়াদে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে এক লাখ ছয় হাজার কোটি টাকার বেশি ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩২টি রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ দেওয়া হয়েছে ২৯ হাজার কোটি টাকা। বিদ্যুৎ না কিনলেও চুক্তি অনুসারে সরকারকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে হয় কেন্দ্র মালিকদের, এটি ক্যাপাসিটি চার্জ। গত ছয় অর্থবছরে এসব রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ২১ হাজার কোটি টাকার বিদ্যুৎ কিনেছে বিপিডিবি। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিদ্যুৎ খাতে হরিলুটের অন্যতম উৎস ছিল কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র। তখন বিনা টেন্ডারে প্রয়োজনের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন দেওয়া হয়। আর বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জের নামে আওয়ামী লীগ সরকার ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার দেশের বাইরে পাচার করেছে। আর এ কাজটি করেছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা তৎকালীন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপদেষ্টা, বিদ্যুৎ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিবসহ বিদ্যুৎ বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট বিশেষ আইনে, বিনা দরপত্রে প্রতিযোগিতা ছাড়াই তৎকালীন সরকারের ঘনিষ্ঠ ও আওয়ামী লীগ সমর্থক ব্যবসায়ীদের রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সুবিধা দেয়।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিষয়ে কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বিনা টেন্ডারে পছন্দের লোকদের বিদ্যুৎকেন্দ্র দিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। এটা এক ধরনের লুণ্ঠন ছাড়া আর কিছু নয়। এ খাতে কোথায় কত টাকা খরচ করেছে, কত লাভ করছে তা নিয়ে প্রশ্নও তোলার সুযোগ রাখেনি। আইন করে দায়মুক্তি দিয়েছে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তিনি বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এসব রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ানোর আর কোনো প্রয়োজন নেই, কারণ এসব কেন্দ্রে জ্বালানি খরচ অত্যধিক বেশি হয়। রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ খাত উন্নয়নে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়, জনগণ এতে জ্বালানির অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নো ইলেকট্রিসিটি নো পেমেন্ট নীতির বিষয়টিও কারিগরিভাবে গ্রহণযোগ্য হওয়ার কথা নয়।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এই দায়মুক্তি আইনের অধীনে ৭২টি রেন্টাল ও ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার (আইপিপি) কেন্দ্রের অনুমতি দেওয়া হয়। বিনা দরপত্রে প্রতিযোগিতা ছাড়াই এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের বড় অংশই পেয়েছেন তৎকালীন সরকারের ঘনিষ্ঠ ও প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে সামিট, ওরিয়ন, দেশ এনার্জি, ডরিন পাওয়ার, ইউনাইটেড, এনার্জিপ্যাক অন্যতম। সে সময় বিনা দরপত্রে বিদ্যুৎকেন্দ্র পাওয়ার শীর্ষে ছিল সামিট গ্রুপ।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বিপিডিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর ক্যাপাসিটি চার্জ ছিল প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকা, যার বড় একটি অংশ গেছে রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে। এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ২৮ হাজার কোটি টাকা, যা ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ছিল পাঁচ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">২০০৯-১০ সালের বিদ্যুৎ খাত এবং এখনকার বিদ্যুৎ খাত এক নয়। তখন জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছিল। চুক্তিগুলো ছিল তিন থেকে পাঁচ বছরের, কিন্তু এরপর এগুলোর সঙ্গে একই শর্তে কেন চুক্তি নবায়ন করা হলো তা আমি বুঝতে পারছি না। দেশ এখন একটি অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এখন এগুলোকে বসিয়ে বসিয়ে ভাড়া দেওয়া অর্থনীতির বড় বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নতুন করে কুইক রেন্টাল চুক্তি নবায়ন করা হবে না। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে করা চুক্তিগুলো দুটি কমিটি পর্যালোচনা করছে। কমিটির পরামর্শের ভিত্তিতে আমরা কাজ করব। এ বিষয়ে যথাযথ চিন্তা করেই বিপিডিবিকে সিদ্ধান্ত বলে দিয়েছি।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span> </span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ছয় অর্থবছরে রেন্টাল-কুইক রেন্টাল থেকে ২১ হাজার কোটি টাকার বিদ্যুৎ ক্রয় : ২০১৮-১৯ থেকে ২০২৩-২৪</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এই ছয় অর্থবছরে রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ২১ হাজার ৮১ কোটি ৫১ লাখ টাকার বিদ্যুৎ কিনেছে বিপিডিবি। এর মধ্যে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ক্রয় করেছে পাঁচ হাজার ১৩ কোটি টাকার, ২০১৯-২০ অর্থবছরে তিন হাজার ২১৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকার, ২০২০-২১ অর্থবছরে তিন হাজার ৩২৮ কোটি ২৩ লাখ টাকার, ২০২১-২২ অর্থবছরে দুই হাজার ৭৮৯ কোটি ৪২ লাখ টাকার, ২০২২-২৩ অর্থবছরে তিন হাজার ৭৮৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকার এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুই হাজার ৯৫০ কোটি টাকার (প্রাক্কলন) বিদ্যুৎ ক্রয় করেছে বিপিডিবি। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">১৫ বছরে ক্যাপাসিটি চার্জ ২৯ হাজার কোটি টাকা নেয় রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র : আওয়ামী লীগ সরকারের গত তিন মেয়াদে যে ১০টি রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র সবচেয়ে বেশি ক্যাপাসিটি চার্জ নিয়েছে, সেগুলো হলো অ্যাগ্রেকো ইন্টারন্যাশনাল প্রজেক্টস (পাঁচটি ইউনিট)। কেন্দ্রটি ছয় হাজার ৪১১ কোটি ২২ লাখ টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে নিয়েছে। অ্যাগ্রেকো ইন্টারন্যাশনাল প্রজেক্টস নিয়েছে দুই হাজার ৩৪১ কোটি ২৮ লাখ টাকা। কেপিসিএল (ইউনিট-২) নিয়েছে এক হাজার ৯২৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। সামিট নারায়ণগঞ্জ পাওয়ার লিমিটেড নিয়েছে এক হাজার ৫৬৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা। অ্যাগ্রেকো ইন্টারন্যাশনাল প্রজেক্টস (৮৫ মেগাওয়াট) নেয় এক হাজার ৫৫৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা। ডাচ বাংলা পাওয়ার অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড নিয়েছে এক হাজার ৫৩০ কোটি ৯ লাখ টাকা। অ্যাক্রন ইনফ্রাস্ট্রাকচার সার্ভিসেস লিমিটেড নেয় এক হাজার ৪৮৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা। অ্যাগ্রেকো ইন্টারন্যাশনাল প্রজেক্টস (৯৫ মেগাওয়াট) নিয়েছে এক হাজার ৪৩৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা। দেশ এনার্জি সিদ্ধিরগঞ্জ নিয়েছে এক হাজার ৩৯১ কোটি ২১ লাখ টাকা এবং ম্যাক্স পাওয়ার ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে নিয়েছে এক হাজার ৩০৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রেন্টাল থেকে কার কত মুনাফা : সামিটের মদনগঞ্জ কেন্দ্রটি উৎপাদনে আসে ২০১১ সালের এপ্রিলে। পাঁচ বছর মেয়াদি কেন্দ্রটির প্রথম দফায় মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়ানো হয়। এই ১০ বছরে পাঁচ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা আয় করে কেন্দ্রটি। এর মধ্যে এক হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ। ২০২২ সালের মার্চ থেকে চলতি মার্চ পর্যন্ত </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নো ইলেকট্রিসিটি নো পেমেন্ট</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> ভিত্তিতে চলছে। এর মধ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩২৭ কোটি টাকা আয় হয় এই কেন্দ্রের। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এভাবে ওরিয়নের সিদ্ধিরগঞ্জ কেন্দ্র ১২ বছর ধরে ব্যবসা করছে। ২০১১-১২ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত আয় হয়েছে ছয় হাজার ৬৩০ কোটি টাকা। গ্রুপটির মেঘনাঘাট রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র আয় করেছে ছয় হাজার ৪০৪ কোটি টাকা। কেপিসিএলের খুলনা ১১৫ মেগাওয়াট ২০২২-২৩ পর্যন্ত ১৩ বছরে আয় করেছে ছয় হাজার ৫১৫ কোটি টাকা। কেপিসিএলের নোয়াপাড়ার কেন্দ্রটির গত অর্থবছর পর্যন্ত আয় দুই হাজার ৪৬৮ কোটি টাকা। সিনহা গ্রুপের কেন্দ্রের আয় গত অর্থবছর পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার ২০০ কোটি টাকা। গত অর্থবছর পর্যন্ত পাওয়ার প্যাকের কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রের আয় চার হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা। এই কেন্দ্রের মেয়াদ রয়েছে আগামী বছরের এপ্রিল পর্যন্ত। ভেঞ্চার গ্রুপের ভোলা কেন্দ্রের আয় গত অর্থবছর পর্যন্ত ৮৮২ কোটি টাকা। ২০১২ সালে উৎপাদনে আসা এই কেন্দ্রের চুক্তির মেয়াদ তিন দফা বেড়েছে। বর্ধিত মেয়াদ শেষ হবে ২০২৬ সালের জুলাইয়ে। এনার্জি প্রিমার ফেঞ্চুগঞ্জ কেন্দ্রের আয় ২০২২-২৩ পর্যন্ত এক হাজার ৬৫ কোটি টাকা। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রেখে নিচ্ছে ভাড়া : সরকারি নির্দেশনা না মেনে বিদ্যুৎকেন্দ্র বসিয়ে রেখে জরিমানার পরিবর্তে উল্টো কেন্দ্রের ভাড়া নিচ্ছে বেসরকারি খাতের ফার্নেস তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো। জানা গেছে, চুক্তি অনুসারে মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বছরে ১০ শতাংশ সময় নিজেরা বন্ধ রাখতে (আউটেজ) পারে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র। তার মানে ১০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বছরে ৮৩৬ ঘণ্টা (৩৬.৫ দিন) বন্ধ রাখতে পারে। এর বাইরে বন্ধ রাখার সময় কেন্দ্রভাড়া পাবে না; বরং জরিমানা দিতে হবে তাদের। কিন্তু আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখা হলেও এর হিসাব করছে না বিপিডিবি। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বিপিডিবির কর্মকর্তারা বলছেন, বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের বকেয়া বিল জমতে থাকায় তারা বিদ্যুৎকেন্দ্র চালাতে অস্বীকৃতি জানাতে থাকে। তাদের দাবির মুখে বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখার সময় হিসাব না করেই ২০২২ সালের জুলাই থেকে বিদ্যুৎ বিল দিচ্ছে পিডিবি। বিদ্যুৎ বিভাগের অনুমোদন ছাড়াই বিপিডিবির বোর্ডে এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে নেন তৎকালীন চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান। পরে সরকার বন্ড ছেড়ে বকেয়ার বেশির ভাগ শোধ করেছে। বর্তমানে বকেয়া অনেক কমে এসেছে। অথচ ওই নিয়মে এখনো সুবিধা পাচ্ছে বেসরকারি তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো।</span></span></span></span></span></p>