<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">যুক্তরাষ্ট্রে যেসব অভিবাসীর থাকার বৈধ অনুমতি নেই তাদের বিতাড়িত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দেশটির নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রিপালিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প। অভিবাসীদের তাড়ানো ছাড়া তাঁর প্রশাসনের কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এদিকে হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ হিসেবে সুসি উইলসকে বেছে নিয়েছেন ট্রাম্প। সুসি উইলসই হচ্ছেন হোয়াইট হাউসের প্রথম নারী চিফ অব স্টাফ। অন্যদিকে বিদায়ি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বিবিসি গতকাল শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানায়, এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অবৈধ অভিবাসীদের তাড়ানো প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তাদের বিতাড়িত করা ছাড়া আমাদের সত্যিই কোনো বিকল্প নেই। মানুষ খুন হচ্ছে, মাদক সম্রাটরা দেশের পর দেশ ধ্বংস করছে। এখন তাদের ওই সব দেশেই ফিরে যেতে হবে। কারণ এখানে তারা আর থাকতে পারবে না।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প নির্বাচনে জয়ের কারণ হিসেবে অভিবাসন ইস্যুর কথা উল্লেখ করে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মার্কিনরা সীমানা অটুট রাখতে চায়। তারা বাইরে থেকে এ দেশে লোক আসা পছন্দ করে, কিন্তু দেশের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে আসতে হবে তাদের। আর আসতে হবে আইনগতভাবে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অভিবাসীদের প্রতি তীব্র বিরোধী হিসেবেই পরিচিত ট্রাম্প। এর আগে আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সবচেয়ে বড় নির্বাসন অভিযান</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> চালানোর প্রতিশ্রতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণায় বরাবরই অভিবাসনবিরোধী কড়া বক্তব্য দিয়ে এসেছেন ট্রাম্প। তার প্রচারণার অন্যতম প্রধান ইস্যু ছিল ব্যাপকসংখ্যক অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়া। তাই দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট হয়েই অনুপ্রবেশ আর অভিবাসন রুখতে কড়া নীতি গ্রহণ করতে চলেছেন তিনি। রিপাবলিকান প্রার্থীদের নির্বাচনী ওয়েবসাইটে লেখা রয়েছে, দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনেই একটি নির্দেশিকায় সই করবেন ট্রাম্প। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সেই নির্দেশিকায় বলা থাকবে, আমেরিকায় জন্মালেই কোনো শিশুকে আর নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। সন্তানের মা-বাবার মধ্যে যেকোনো একজনকে মার্কিন নাগরিক হতে হবে। অথবা থাকতে হবে গ্রিন কার্ড। তাহলেই তাদের সন্তানরা আগামী দিনে আমেরিকার নাগরিক হতে পারবে। ট্রাম্পের রানিং মেট জেডি ভ্যান্সের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর ১০ লাখ অভিবাসীকে বের করে দেওয়া হতে পারে।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">হোয়াইট হাউসের প্রথম নারী চিফ অব স্টাফ সুসি উইলস</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ হিসেবে তার নির্বাচনী প্রচারের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা সুসি উইলসকে বেছে নিয়েছেন। ট্রাম্প গত বৃহস্পতিবার ৬৭ বছর বয়সী সুসির নাম ঘোষণা করেন, যিনি হচ্ছেন হোয়াইট হাউসের প্রথম নারী চিফ অব স্টাফ। আগামী ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউসে ফেরার প্রস্তুতি হিসেবে প্রথম তিনি কোনো কর্মীর নাম ঘোষণা করলেন। হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ মূলত প্রেসিডেন্টের প্রশাসনিক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি হোয়াইট হাউসের কর্মীদের সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বও সামলান। এ ছাড়া প্রেসিডেন্টের প্রতিদিনের কর্মসূচি ঠিক করার পাশাপাশি সরকারি বিভাগ ও আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নাম ঘোষণার সময় ট্রাম্প বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সুসি কঠোর পরিশ্রমী, স্মার্ট, উদ্ভাবনী এবং সর্বজনীনভাবে প্রশংসিত। আমি জানি দেশের জন্য সুসি তাঁর সর্বোচ্চ শ্রম দেবেন।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> দীর্ঘদিন ধরে ফ্লোরিডাভিত্তিক রাজনৈতিক কৌশলবিদ সুসি উইলস এবং তাঁর সহকর্মী ক্রিস লাসিভিতা এবারের নির্বাচনে বেশ দায়িত্বশীলতার সঙ্গে প্রচার চালানোয় তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ট্রাম্প।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের অঙ্গীকার বাইডেনের</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রিপাবলিকান ট্রাম্প জয়ী হওয়ার পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল ক্ষমতা হস্তান্তরের অঙ্গীকার করেছেন বিদায়ি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেন থেকে তিনি এ ভাষণ দেন। বক্তব্যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">উত্তাপ কমানোর</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> আহ্বান জানান এবং ট্রাম্পের বিস্ময়কর প্রত্যাবর্তনে উদ্বিগ্ন ডেমোক্র্যাটদের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পিছিয়ে পড়াটা অনিবার্য হতে পারে। তবে হাল ছেড়ে দেওয়া অমার্জনীয়। একটা পরাজয়ের মানে এই নয় যে আমরা পরাজিত হয়ে গেছি। আমরা এই যুদ্ধে পরাজিত হয়েছি; কিন্তু আপনাদের স্বপ্নের আমেরিকাই আপনাদের ডাকছে আবার উঠে দাঁড়ানোর জন্য। আমি আশা করি আমরা এটা করতে পারি। আপনি কাকে ভোট দিয়েছেন সেটি কোনো ব্যাপার না। আমরা অপরপক্ষকে প্রতিপক্ষ হিসেবে নয় বরং একজন আমেরিকান হিসেবে দেখতে পারি। উত্তাপ কমিয়ে আনুন।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> সূত্র : বিবিসি, এএফপি</span></span></span></span></span></p> <p> </p>