<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস থাকছেন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায়। সরকারের ২১ জন উপদেষ্টার মধ্যে এ পর্যন্ত মন্ত্রিপাড়ার সরকারি বাংলোতে উঠেছেন ১২ জন। বাকি ৯ জনের মধ্যে তিনজন বাংলো বরাদ্দ পেলেও এখনো উঠতে পারেননি। তাঁরা হলেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ, সাখাওয়াত হোসেন ও ফরিদা আখতার। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><img alt="সরকারি বাংলোয় ১২ উপদেষ্টা" height="477" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/11.November/13-11-2024/Untitled-1ttt.jpg" style="float:left" width="344" />অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূর জাহান বেগম ও সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ তাঁদের নিজ বাড়িতেই থাকছেন। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি আবাসন পরিদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টাসহ এই সরকারের সদস্যসংখ্যা ছিল ২১। রবিবার নতুন তিনজন উপদেষ্টা শপথ নেন। তাঁরা হলেন শিল্পগোষ্ঠী আকিজ-বশির গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেখ বশির উদ্দিন, চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম। এখন নতুন এই তিনজন উপদেষ্টা মিলিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যসংখ্যা ২৪।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">জানতে চাইলে সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের পরিচালক শহীদুল ইসলাম ভূঞা কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">প্রধান উপদেষ্টার জন্য রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া উপদেষ্টাদের মধ্যে যাঁরা সরকারি বাংলো/বাসা বরাদ্দ চেয়েছেন, তাঁদের দেওয়া হয়েছে। অনেকে এর মধ্যে সরকারি বাংলো বা মিনিস্টার্স অ্যাপার্টমেন্টে উঠেছেন। বরাদ্দ পাওয়া দু-তিনটি বাসার মেরামত ও সাজসজ্জার কাজ চলছে। সংস্কার শেষে সেখানে উপদেষ্টারা উঠবেন। তবে সাত-আটজন উপদেষ্টা সরকারি বাংলো বরাদ্দ চাননি। তাঁরা হয়তো নিজ বাড়িতেই থাকবেন।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অনুসন্ধানে জানা গেছে, মন্ত্রিপাড়ার মোট ২০টি সরকারি বাংলো নতুন উপদেষ্টাদের জন্য বরাদ্দ দেওয়ার প্রস্তুতি ছিল আবাসন পরিদপ্তরের। এসব বাংলোয় ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের মন্ত্রীরা থাকতেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর জাতীয় সংসদও বিলুপ্ত হয়েছে। সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও ভিআইপিরাও সবাই বাসভবন ছেড়ে দিয়েছেন। এরপর নতুন উপদেষ্টাদের জন্য বাংলো সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করার পর নতুন উপদেষ্টা ও বিশেষ সহকারীদের চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ দেয় আবাসন পরিদপ্তর।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আবাসন পরিদপ্তর সূত্র জানায়, এরই মধ্যে হেয়ার রোডের ৩৫ নম্বর বাংলোতে উঠেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। হেয়ার রোডের ছায়াবীথি-৩-এ উঠেছেন সদ্য পদোন্নতি পাওয়া উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, ছায়াবীথি-৪-এ উঠেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, ছায়াবীথি-৫-এ উঠেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং ছায়াবীথি-৬-এ উঠেছেন শ্রম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। পাশাপাশি বেইলি রোডের ২১ নম্বর বাংলোতে উঠেছেন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সংযুক্ত উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। বেইলি রোডের ৩৩ নম্বর বাংলোতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা থাকেন বলে তাঁর দপ্তর সূত্র নিশ্চিত করেছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সূত্র জানায়, মিন্টো রোডের ৪ নম্বর বাংলোয় থাকছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, ৫ নম্বর বাংলোয় থাকেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, ৭ নম্বর বাংলোয় স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা হাসান আরিফের নামে বরাদ্দ হলেও তা মেরামতের কাজ চলছে। তিনি এখনো তাঁর ধানমণ্ডির বাসায় থাকছেন। মিন্টো রোডের ৩৩ নম্বর বাংলো বরাদ্দ হয়েছে বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনের নামে। কিন্তু তিনি এখনো দখল বুঝে নেননি। তবে এ রোডের ৩৫ নম্বর বাংলোটিতে এরই মধ্যে বসবাস শুরু করছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এ ছাড়া মিনিস্টার্স অ্যাপার্টমেন্টের তৃতীয় তলায় (পশ্চিম) বসবাস করছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীরপ্রতীক। একই ভবনের চতুর্থ তলা (পশ্চিম) বরাদ্দ হয়েছে মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের নামে। তবে তিনি ওই অ্যাপার্টমেন্টে এখনো ওঠেননি। সেখানে দুজন তরুণ উপদেষ্টা বর্তমানে অফিস করছেন বলে সূত্র নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়া গুলশানের একটি সরকারি বাংলোতে উঠেছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। তিনি সেখানে অফিস কাম আবাসিক ভবন হিসেবে ব্যবহার করছেন। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের জন্য রাজধানীর ইস্কাটনের ৩৭ বিআইডিসি হাউস বরাদ্দ দিলেও তিনি তা নিতে রাজি হননি। বর্তমানে তিনি তাঁর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার নিজ অ্যাপার্টমেন্টেই বসবাস করছেন। হেয়ার রোডের ২০ নম্বর বাংলোতে সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনি থাকতেন। সেই বাড়িটি সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদকে বরাদ্দ দেওয়া হলেও তিনি সেখানে উঠতে রাজি হননি। বর্তমানে তিনি তাঁর বারিধারার অ্যাপার্টমেন্টেই থাকেন। এ ছাড়া শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বারিধারায় নিজ বাসায়, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান তাঁর সেন্ট্রাল রোডের নিজ বাসায় থাকছেন। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সংবিধান ও আইনে কী বলা আছে : বিদ্যমান সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টাদের বেতন ও সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলা নেই। তবে প্রধান উপদেষ্টা প্রধানমন্ত্রীর সমান পদমর্যাদায় দায়িত্ব পালন করবেন। মন্ত্রীর সমমর্যাদায় দায়িত্ব পালন করবেন উপদেষ্টারা। সেই হিসেবে </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাদেশ, ২০২৪</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">-এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। তবে তা এখনো অধ্যাদেশ আকারে জারি হয়নি। ওই খসড়ায় বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সমমর্যাদার সুযোগ-সুবিধা পাবেন প্রধান উপদেষ্টা এবং মন্ত্রীদের মতো সুবিধা পাবেন উপদেষ্টারা।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দ্য প্রাইম মিনিস্টারস (রেমুনারেশন অ্যান্ড প্রিভিলেজ) (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০১৬ অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেতন মাসে এক লাখ ১৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া তিনি মাসিক বাড়িভাড়া পান এক লাখ টাকা, দৈনিক ভাতা পান তিন হাজার টাকা। যাতায়াত খরচ, বাড়িভাড়া, ডেইলি অ্যালাউন্স, ইনস্যুরেন্স সুবিধা, কূটনৈতিক পাসপোর্ট, নিজের দপ্তরের এবং অন্য টেলিফোন ব্যয়, চিকিৎসা সেবাসহ আরো অনেক সুবিধা পেয়ে থাকেন। বর্তমান প্রধান উপদেষ্টাও একই সুবিধা পাবেন এবং এসব খরচ পুরোটাই দেবে রাষ্ট্র।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী একটি সরকারি বাসভবন পান। তবে কেউ চাইলে নিজের বাড়িতে অথবা অন্য কোথাও বাড়িভাড়া নিয়েও থাকতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে সেই বাড়িও সরকারি টাকায় অত্যাধুনিক বিলাসবহুল করে সাজিয়ে দেওয়া হবে। তাঁর বাড়ির নিরাপত্তায় থাকেন স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের সদস্যরা। বর্তমান প্রধান উপদেষ্টাও একই সুবিধা পান। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দায়িত্বে আসার পর সব মন্ত্রীই সরকারি ব্যয়ে সুসজ্জিত বাসভবন পান বিনা ভাড়ায়। তবে মন্ত্রী সরকারি বাড়িতে না থেকে যদি নিজবাড়ি বা ভাড়া বাড়িতে থাকেন, সে ক্ষেত্রে আলাদা বাসাভাড়া দেওয়া হয়। সরকার থেকে পূর্ণ মন্ত্রীদের বাসাভাড়া হিসেবে দেওয়া হয় ৮০ হাজার টাকা। এ ছাড়া নিজবাড়ি বা ভাড়া বাড়িতে থাকলে সেটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্যও তিন মাসের বাড়িভাড়ার সমান টাকা পাবেন। সরকারি বাড়ি সাজসজ্জার জন্য প্রতিবছর পাঁচ লাখ টাকা পান একজন মন্ত্রী। সেই হিসাবে উপদেষ্টারাও একই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।</span></span></span></span></span></p> <p> </p>