<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাজধানীর আজিমপুরে বাসায় ডাকাতির পর আট মাসের শিশু জাইফাকে অপহরণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করেছে র‌্যাব-১০। ওই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ফাতেমা আক্তার শাপলাকে (২৭) শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিং এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ছাড়া ঘটনা তদন্তের স্বার্থে নজরদারিতে রাখা হয়েছে শিশুর বাবা আবু জাফরকে। মুক্তিপণের জন্যই জাইফাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে র‌্যাব। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল শনিবার দুপুরে কারওয়ান বাজারের র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি জানান, অপহৃত শিশু জাইফাকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ফাতেমা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতি ও অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস জানান, অপহৃত শিশু আরিসা জান্নাত জাইফার মা ফারজানা আক্তার সরকারি চাকরি করেন এবং বাবা বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তাঁরা তিন বছর ধরে ওই বাসায় থাকছেন। তবে চার মাস ধরে পারিবারিক কলহের জেরে বাবা আলাদা রয়েছেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মুনীম ফেরদৌস আরো জানান, অপহরণের এক সপ্তাহ আগে ফারজানা আক্তারের সঙ্গে গ্রেপ্তারকৃত শাপলার পরিচয় হয়। এ সময় শাপলা ফারজানার কাছে তাঁর ভুয়া নাম-ঠিকানা-পরিচয় দিয়ে থাকার জন্য সাবলেট হিসেবে একটি রুম চান। এতে ফারজানা রাজি হলে গত বৃহস্পতিবার ফাতেমা বাসায় এসে দুই হাজার টাকা অগ্রিম ভাড়া দিয়ে থাকতে শুরু করেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পরের দিন সকালে ফাতেমা তাঁর চাচাতো ভাই পরিচয়ে তিন ব্যক্তিকে বাসায় নিয়ে আসেন। বাসায় আসার পর এক পর্যায়ে ফাতেমা এবং তাঁর কথিত চাচাতো ভাইয়েরা ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগীর মাকে ওড়না দিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলেন। এ সময় তাঁরা বাসার স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থসহ মূল্যবান মালপত্র লুট করে শিশু জাইফাকে নিয়ে যান।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার এই পরিচালক আরো বলেন, অপহরণের পর ফাতেমা এবং তাঁর সহযোগীরা মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু ঘটনাটি বিভিন্ন মিডিয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার কারণে তাঁরা মুক্তিপণ দাবি করতে পারেননি।</span></span></span></span></p>