<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গাজীপুর মহানগরীর মোগরখাল এলাকার টিএনজেড গ্রুপের পাঁচ কারখানা ২৩ দিন পর খুলেছে। বেতন-ভাতা পরিশোধের পর গতকাল শনিবার সকাল থেকে শ্রমিকরা কাজে যোগদান করেছেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অপরদিকে বকেয়া বেতনের দাবিতে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা গতকাল সকালে মহানগরীর কাশিমপুরে চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করেন। তাঁদের বিক্ষোভে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">টিএনজেড অ্যাপারেলস গ্রুপের চেয়ারম্যান হেদায়েতুল হক গতকাল বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত বৃহস্পতিবার শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। কিছু অংশ বাকি রয়েছে, যা চলতি মাসের ৩০ তারিখের মধ্যেই পরিশোধ করা হবে। আজ সকাল থেকে শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণভাবে কাজে যোগদান করেছেন। এই সংকট সমাধানের জন্য আমি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, সচিবসহ সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উল্লেখ্য, গাজীপুরের মোগরখাল এলাকায় টিএনজেড অ্যাপারেলসের পাঁচটি কারখানা আছে। এসব কারখানায় সাড়ে ছয় হাজার শ্রমিক কাজ করেন। বকেয়া বেতনের দাবিতে গত শনিবার সকাল ৯টা থেকে সোমাবার রাত ১০টা পর্যন্ত টানা বিক্ষোভ ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন তাঁরা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বেক্সিমকোর শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল সকালে চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খবর পেয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। সন্ধ্যা ৬টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শ্রমিকরা সড়কেই অবস্থান করছিল বলে পুলিশ জানায়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> শ্রমিক ও শিল্প পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গাজীপুর মহানগরীর সারাবো এলাকায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ভেতর বেশ কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব কারখানায় কাজ করেন ৪১ হাজারের বেশি শ্রমিক। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গ্রেপ্তার হন প্রতিষ্ঠানের মালিক সালমান এফ রহমান। তারপর থেকে নিয়মিত বেতন হচ্ছে না শ্রমিকদের।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কয়েক মাস ধরে শ্রমিকরা আন্দোলন করে বেতন আদায় করছেন।  চলতি মাসের পর অর্ধেক হলেও বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা অক্টোবর মাসের বেতন পাননি। তাই গতকাল সকাল থেকে কয়েক হাজার শ্রমিক কারখানার ফটকে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তারা মিছিল করতে করতে চক্রবর্তী এলাকায় গিয়ে চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে। এতে ওই সড়কের দুইদিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত যানজটের তৈরি হয়। আন্দোলনরত শ্রমিকরা অক্টোবর মাসের বেতন ছাড়া সড</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:Vrinda">়</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ক থেকে সরে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শিল্প পুলিশ জানায়, বেক্সিমকো পার্কে স্টাফসহ ৪১ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। প্রতি মাসে তাঁদের বেতনের পরিমাণ হয় ৮০ থেকে ৮২ কোটি টাকা। মাসের ৭ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে তাঁদের বেতন দেওয়া হতো। কিন্তু মালিকদের কেউ না থাকায় এখন ঠিকমতো বেতন  হচ্ছে না, যার কারণে তাঁরা গত বৃহস্পতিবার থেকে আন্দোলন শুরু করেন।</span></span></span></span></p>