<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিদ্যমান আইন অনুসারে আগামী ২ মার্চ চলতি বছরের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করার পর আবারও বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে দেশের ১৪তম ইসির প্রথম সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার বি. জে. (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভোটার তালিকা আইন-২০০৯</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> অনুসারে কম্পিউটার ডাটাবেইসে সংরক্ষিত বিদ্যমান সব ভোটার তালিকা প্রতিবছর ২ জানুয়ারি থেকে ২ মার্চ পর্যন্ত নির্ধারিত পদ্ধতিতে হালনাগাদ করা হয়। ২ মার্চ জাতীয় ভোটার দিবসে হালনাগাদ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল সভা শেষে আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, আগামী বছরের ২ মার্চের পর থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাদ পড়া ও নতুন ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসব ভোটার ২০২৬ সালের তালিকায় যুক্ত হবেন। আর ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী নিয়মতান্ত্রিকভাবেই নির্বাচন কমিশনের সংগ্রহে থাকা তথ্যের ভিত্তিতে আগামী ২ জানুয়ারি থেকে ২ মার্চের মধ্যে হালনাগাদ ভোটার তালিকার খসড়া ও চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এবার নতুন ভোটার হিসেবে যুক্ত হওয়ার জন্য আমাদের কাছে ১৭ লাখ নাগরিকের তথ্য (তথ্য সংগ্রহের সময় ১৮ বছরের কম ছিল) সংগ্রহে রয়েছে। এসব নাগরিক আগামী ১ জানুয়ারি ভোটার তালিকায় যুক্ত হবেন। এই ১৭ লাখ নাগরিকের মধ্যে ১৩ লাখের তথ্য নির্বাচন কমিশন ২০২২ সালে সংগ্রহ করেছিল। বাকি নাগরিকরা নিজেরা নিবন্ধিত হয়েছেন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চলতি বছরের হালনাগাদ থেকে বাদ পড়েছেন এমন ভোটারদের তালিকায় যুক্ত করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৪৫ লাখের মতো নাগরিকের নতুন ভোটার হিসেবে যুক্ত হওয়ার কথা। সেই হিসাবে ২৭-২৮ লাখ নাগরিক নিবন্ধিত হননি, কিন্তু তারা ভোটার হওয়ার যোগ্য। এ কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এ বছরের হালনাগাদ ২ জানুয়ারি থেকে ২ মার্চের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এরপর আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করব। বাদ পড়াসহ ২০২৬ সালে ভোটার হওয়ার উপযুক্ত হবেন বা ২০২৬ সালের ১ জানুযারি যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে তাদের তথ্যও আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করব। একই সঙ্গে যেসব ভোটার মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে কর্তন করার জন্য তথ্য নেওয়া হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ আরো বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দ্বৈত ভোটার বা অন্য কোনো জটিলতা আছে কি না সে বিষয়েও তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এর মাধ্যমে আমরা শুদ্ধ ও পূর্ণাঙ্গ তথ্যের ভিত্তিতে শতভাগ সঠিকতা নিশ্চিত করতে পারব। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহসহ সব কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ছয় মাসের মতো সময় লাগবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদ কবে শুরু হবে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা যত দ্রুত সম্ভব এটা করব</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:Vrinda">৷</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ২ মার্চের পরেই শুরু করতে পারব বলে আশা করি। তবে বিস্তারিত সময়সূচি ইসি সচিবালয় ঠিক করবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রসঙ্গত, গত ২ মার্চ ভোটার দিবসে দেশের ভোটারসংখ্যা ছিল ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ৮৭৯। নিয়ম অনুসারে নির্বাচনের সময় ছাড়া যেকোনো সময় ভোটার হওয়ার যোগ্য নাগরিকরা ভোটার হতে পারেন। তবে ভোটার হওয়ার বিষয়টি সহজ করতে নির্বাচন কমিশন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ভোটারের তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সভায় ইসির কার্য সম্পাদনে চার নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে চারটি কমিটি গঠন করা হয়। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ বিষয়ে আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানান, চারটি কমিটির মধ্যে এনআইডি, ভোটার তালিকা, নির্বাচনব্যবস্থা ও তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক কমিটির প্রধান তিনি নিজে। আইন ও বিধিমালা সংস্কার কমিটির প্রধান আবদুর রহমানেল মাসুদ। সীমানা পুনর্নির্ধারণ, জাতীয় ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন প্রস্তুতি, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুত ও তদারকি কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার এবং নিয়োগ, পদোন্নতি, প্রশাসনিক সংস্কার ও দক্ষতা উন্নয়ন কমিটির প্রধান বেগম তহমিদা আহমদ।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"> </p>