<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের আন্তর্জাতিক দরপত্র জমার নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে গেলেও কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দেয়নি। তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে সাতটি বিদেশি কম্পানি দরপত্রের নথি কিনলেও শেষ পর্যন্ত এসব কম্পানি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দরপত্র জমা দেয়নি। দরপত্রে কম্পানির অংশগ্রহণ বাড়াতে তিন মাস সময় বাড়িয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সময় গতকাল সোমবার দুপুর ১টায় শেষ হয়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পেট্রোবাংলার কেউ দরপত্রে অংশ নেয়নি। অংশ না নেওয়ার বিষয়ে কোনো কারণও জানায়নি। এখন ওদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং নিজেরা বসে মূল্যায়ন করে দেখা হবে। এরপর প্রয়োজনীয় সংশোধন করে আবার দরপত্রের প্রস্তুতি নেওয়া হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে জ্বালানি খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বিদেশি কম্পানিগুলো বিনিয়োগে আগ্রহ দেখায়নি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পেট্রোবাংলা সূত্র জানিয়েছে, বহুজাতিক কম্পানিগুলোকে আগ্রহী করে তোলার জন্যই আকর্ষণীয় করা হয় প্রডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট বা নতুন উৎপাদন অংশীদারি চুক্তি (পিএসসি)। আগের পিএসসিগুলোতে গ্যাসের দর স্থির করে দেওয়া হলেও এবার গ্যাসের দর নির্ধারণ করা হয়নি। ব্রেন্ট ক্রুডের আন্তর্জাতিক বাজারদরের সঙ্গে ওঠানামা করবে গ্যাসের দর। প্রতি হাজার ঘনফুট গ্যাসের দাম ধরা হয়েছে ব্রেন্ট ক্রুডের ১০ শতাংশ দরের সমান। অর্থাৎ ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৮০ ডলার হলে গ্যাসের দাম হবে আট ডলার। দামের পাশাপাশি সরকারের শেয়ারের অনুপাতও কমানো হয়েছে। ছয় মাস সময় দিয়ে গত ১০ মার্চ দরপত্র আহ্বান করা হয়। সেপ্টেম্বরে সময় শেষ হওয়ার আগেই নতুন করে তিন মাস বাড়িয়ে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেয় অন্তর্বর্তী সরকার।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পেট্রোবাংলা সূত্র বলছে, বহুজাতিক তেল-গ্যাস কম্পানির মধ্যে মার্কিন কম্পানি এক্সনমবিল ও শেভরন, মালয়েশিয়ার পেট্রোনাস, নরওয়ে ও ফ্রান্সের যৌথ কম্পানি টিজিএস অ্যান্ড স্লামবার্জার, জাপানের ইনপেক্স করপোরেশন ও জোগোম্যাক, চীনের সিনুক, সিঙ্গাপুরের ক্রিস এনার্জি এবং ভারতের ওএনজিসি আগ্রহ প্রকাশ করে বিভিন্ন সময় পেট্রোবাংলার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এর মধ্যে সমুদ্রে বহুমাত্রিক জরিপের তথ্য কিনেছিল শেভরন, এক্সনমবিল, ইনপেক্স, সিনুক ও জোগোম্যাক। শেষ পর্যন্তু তাদের কেউ আসেনি দরপত্রে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা গেছে, ২০১২ সালে ভারতের সঙ্গে এবং ২০১৪ সালে মায়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি হয়। সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে এরপর ২০১৯ সালে নতুন পিএসসি করা হলেও দরপত্র ডাকা হয়নি। এরপর তিন বছর সময় নিয়ে নতুন পিএসসি-২০২৩ চূড়ান্ত করা হয়। সমুদ্রে বহুমাত্রিক জরিপ চালিয়ে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় বিদেশি কম্পানি আগ্রহ দেখাচ্ছিল। দরপত্রে অংশ নিতে ৫৫টি কম্পানিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এর আগে সর্বশেষ দরপত্র ডাকা হয়েছিল ২০১৬ সালে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দরপত্র আহ্বানের পর গত মে মাসে একটি সেমিনারের আয়োজন করে পেট্রোবাংলা। এতে ১৫টির বেশি আন্তর্জাতিক কম্পানি অংশ নেয়। সমুদ্রে ১২ হাজার কিলোমিটার লাইন এলাকায় টিজিএস ও স্লামবার্জার মিলে পরিচালিত বহুমাত্রিক ভূকম্পন (টুডি) জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করা হয় সেমিনারে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের অংশে গভীর সমুদ্রে ১৫টি ও অগভীর সমুদ্রে ১১টি ব্লকসহ ২৬টি ব্লক রয়েছে। এর মধ্যে ২০১০ সালে গভীর সমুদ্রে দুটি ব্লকে কাজ নেয় কনোকোফিলিপস। দ্বিমাত্রিক জরিপ চালালেও পরে গ্যাসের দাম বাড়ানোর দাবি পূরণ না হওয়ায় কাজ ছেড়ে চলে যায় তারা। একইভাবে চুক্তির পর কাজ ছেড়ে চলে যায় অস্ট্রেলিয়ার সান্তোস ও দক্ষিণ কোরিয়ার পস্কো দাইয়ু। এখন একমাত্র কম্পানি হিসেবে অগভীর সমুদ্রের দুটি ব্লকে অনুসন্ধান চালাচ্ছে ভারতের কম্পানি ওএনজিসি। এই দুটি বাদ দিয়ে বাকি ২৪টি ব্লকে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>