<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বেক্সিমকো গ্রুপের কম্পানিগুলোর মোট বকেয়া ঋণ ৫০ হাজার ৯৮ কোটি টাকা। কম্পানিগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২৫ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা। আর শ্রেণিবদ্ধ ঋণের পরিমাণ ৩১ হাজার ৭৫ কোটি টাকা।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গতকাল রবিবার হাইকোর্টে দেওয়া প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর দ্বৈত বেঞ্চে এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুনীরুজ্জামান। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও আইনজীবী আনিসুল হাসান। রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাসুদ আর সোবহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন। আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন আইনজীবী মুনীরুজ্জামান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আদালত আগামী ২২ জানুয়ারি এ বিষয়ে শুনানির পরবর্তী তারিখ রেখেছেন।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করলে অচিরেই শ্রেণিবদ্ধ ঋণের বেশির ভাগই খেলাপি ঋণে পরিণত হবে। বেক্সিমকো গ্রুপের ১৮৮টি কম্পানির মধ্যে ৭৮টি কম্পানি ১৬টি তফসিলি ব্যাংক ও সাতটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে এই ঋণ পেয়েছে। ৭৮টি কম্পানির মধ্যে কিছু নামকাওয়াস্তে কম্পানিও থাকতে পারে। ঋণ নেওয়ার জন্যই এই কম্পানিগুেলো তৈরি করা হয়ে থাকতে পারে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জনতা ব্যাংক বেক্সিমকো গ্রুপের ২৯টি কম্পানিকে, আইএফআইসি ব্যাংক ২৯টি কম্পানিকে, ন্যাশনাল ব্যাংক ৯টি কম্পানিকে, সোনালী ব্যাংক চারটি কম্পানিকে, অগ্রণী ব্যাংক চারটি কম্পানিকে, এবি ব্যাংক ছয়টি কম্পানিকে এবং এক্সিম ব্যাংক পাঁচটি কম্পানিকে ঋণ দিয়েছে। অন্যান্য ব্যাংকও বেক্সিমকো গ্রুপের একাধিক কম্পানিকে ঋণ দিয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ঋণ গ্রহণকারী কম্পানিগুলো প্রকৃত সুবিধাভোগী মালিকদের আড়াল করতে চেয়েছিল, যা দেশের প্রচলিত আইনে অর্থপাচার এবং কর ফাঁকি।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এই ঋণ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে সোনালী ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংককে বাংলাদেশ ব্যাংক পরামর্শ দিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বেক্সিমকো গ্রুপ আর আর গ্লোবাল ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পণ্য রপ্তানি করে। আর আর গ্লোবাল বেক্সিমকো গ্রুপের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ ব্যাংক আশঙ্কা করেছে, অতিরিক্ত রপ্তানি আয় দেখিয়ে সহযোগী প্রতিষ্ঠানটি দেশের বিদ্যমান আইনে অর্থপাচারের অপরাধ করেছে। যে কারণে পাঁচ হাজার ৮২৭ কোটি টাকার রপ্তানি আয় দেশে ফেরত না আসায় জনতা ব্যাংকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর এই অর্থপাচার হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে বেক্সিমকো গ্রুপের কম্পানিগুলো বেতন-ভাতা দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই। এই অবস্থা ঋণ পরিশোধে গ্রুপের অক্ষমতাকেই প্রকাশ করে। এমন পরিস্থিতিতে আদালতের আদেশে বেক্সিমকো গ্রুপের কম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনায় রিসিভার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ১০ জন পরিচালক রয়েছেন, যাঁরা গ্রুপের অন্য ৬০ কম্পানিরও পরিচালক। যদিও সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সিআইবি (ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো) ঋণখেলাপিদের তালিকা পাঠানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তার পরও কিছু ব্যাংক ঋণের তথ্য গোপন করে বেক্সিমকো গ্রুপের কম্পানিগুলোকে আবারও ঋণ দিয়েছে। বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কম্পানি লিমিটেড (বেক্সিমকো) গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা। ২০০৯ সাল থেকে তিনি পূর্ণ মন্ত্রীর পদমর্যাদা নিয়ে এ দায়িত্ব পালন করেছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সালমা ইসলামকে হারিয়ে ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসনে পুনর্নির্বাচিত হন তিনি।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p>