<p>মোবাইল চার্জ দেওয়ার মতো তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। পরে দুই গ্রামের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। রীতিমতো মাইকিং করে হওয়া এই সংঘর্ষে আহত হয়েছে অন্তত দেড় শ মানুষ। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর।</p> <p>সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় শনিবার রাতে প্রায় চার ঘণ্টা এবং গতকাল রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় এসব সংঘর্ষ হয়।</p> <p>জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় বাজারের ফার্মেসিতে মোবাইল ফোন সেট চার্জে লাগিয়ে যান বর্ণি গ্রামের জনৈক বাবুল। কিছুক্ষণ পর সেই ফোন সেট নিতে আসেন আরেকজন। ফার্মেসি কর্তৃপক্ষ অন্যের হাতে ফোন সেট দিতে অস্বীকৃতি জানালে বাকবিতণ্ডা শুরু। পরে তা রূপ নেয় দুই গ্রামের সংঘর্ষে।</p> <p>শনিবার রাত ১০টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। পরে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রাতের সংঘর্ষে আহত ৭৫ জন স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয়। তবে আহতের সংখ্যা শতাধিক বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। সংঘর্ষ চলাকালে দুটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়।</p> <p>শনিবার রাতে পরিস্থিতি শান্ত হলেও গতকাল সকাল থেকে বর্ণি ও কাঠালগ্রামের লোকজন জড়ো হতে থাকে। সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তারা মাইকিং করে নিজেদের লোকজনকে সংঘর্ষে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানায়। সকাল ১১টার দিকে উপজেলার থানাবাজার পয়েন্টে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় দফায় দফায় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। দুপুর ২টার দিকে বেশ কয়েকটি গাড়ি নিয়ে সেনাবাহিনী ও র্যাব ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই পক্ষকে সরিয়ে দিলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেনাবাহিনী সেখানে অবস্থান করছিল।</p> <p>সংঘর্ষে আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গতকাল বিকেল পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েছে ৭০ জনের মতো। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান রাসেল। তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত ৭৫ জনের বেশি আহত লোক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’</p> <p>সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর স্থানীয় সালিশ ব্যক্তিদের মাধ্যমে বিষয়টি শেষ করা হয়েছে। সংঘর্ষে আহতদের সংখ্যা নিশ্চিত করে বলা কঠিন। কারণ এ ধরনের সংঘর্ষের পর বেশির ভাগই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যায় না।’</p>