<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্কুলে ভর্তি লটারিতে নানা ফাঁকফোকর বেরিয়ে আসছে। কিছু শিক্ষার্থীর অভিভাবক নাম-ঠিকানা বদল করে একাধিকবার আবেদন করেন। এতে দু-একজন শিক্ষার্থীর নাম লটারিতে একাধিকবার এসেছে। এ ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে ভর্তি কমিটি। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বনশ্রী শাখায় এক ছাত্রী লটারিতে তিনবার সুযোগ পায়। বিষয়টি সামনে আসার পর তদন্তে নামে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তদন্তে দেখা গেছে, ওই ছাত্রীর একই জন্ম সনদ দিয়ে বিভিন্ন তথ্য পরিবর্তন করে মোট ৩০ বার আবেদন করা হয়েছে। একেক আবেদনে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দেওয়া হয়। এতে আবেদনপ্রক্রিয়ায় দুর্বলতার কারণে ওই ছাত্রী তিনবার ভর্তির সুযোগ পায়। স্কুলটির দ্বিতীয় শ্রেণিতে মর্নিং শিফটে ইংলিশ ভার্সনে দুইবার ও বাংলা ভার্সনের মর্নিং শিফটেও ওই শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ব্যাপারে মাউশি অধিদপ্তরের উপপরিচালক (মাধ্যমিক) ও ঢাকা মহানগর ভর্তি কমিটির সদস্যসচিব মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ওই ছাত্রীর নামে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়ে মোট ৩০ বার আবেদন করা হয়েছে। উদ্দেশ্য ছিল ফাঁকফোকর দিয়ে ভর্তি হওয়া। সে জন্য তার নাম তিনবার এসেছে। কিন্তু স্কুল তথ্য যাচাই করেই ভর্তি করবে। তথ্যের গরমিল হলে স্কুল ভর্তি নেবে না। এ ধরনের বেশ কিছু আবেদনকারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন আরো বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যেহেতু আমাদের আবেদনের লিঙ্কের সঙ্গে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ বা জাতীয় ভোটার তালিকার লিঙ্ক করা নেই, তাই একই জন্মসনদ দিয়ে একাধিক আবেদন করতে পারে। সে ক্ষেত্রে হয়তো ভিন্ন মোবাইল নম্বরসহ ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিতে পারে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা যায়, এবার স্কুলে ভর্তিতে মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা বাদ দিয়ে শুধু মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় ভর্তির সুযোগ রাখা হয়েছে। এতে প্রচুর আবেদনও পড়েছে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের ৫৩ বছর পর মুক্তিযোদ্ধার এত সন্তান পাওয়া অস্বাভাবিক বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মাউশির কর্মকর্তারা বলছেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল হলেও অনেকেই নাতি-নাতনিকে সন্তান হিসেবে আবেদন করেছেন। এটা অনেকে না জেনে করেছেন। আবার অনেকেই জেনে-বুঝে করেছেন। যাচাই-বাছাইয়ে এসব প্রার্থী ভর্তির অযোগ্য হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভর্তিতে যেসব কাগজপত্র যাচাই করতে হবে : ভর্তির সময় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই হবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের জন্মসনদের মূল কপি, জন্মসনদের অনলাইন কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অনলাইনে যাচাই করতে হবে), মা-বাবার জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি ভালো করে দেখতে হবে।</span></span></span></span></p>