<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার গাজীর বাজারে ঘটে যাওয়া শারমীন বেগম ওরফে হরমুজা বেগমকে (৪৭) গলা কেটে হত্যার পর লাশ পোড়ানোর ঘটনায় গতকাল বুধবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ঘাতক ফারহান (২৭)।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আখাউড়া থানার উপপরিদর্শক মো. আব্দুল আলীম জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জহিরুল ইসলামের আদালতে ফারহান ভূঁইয়া রনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। প্রায়ই ওই নারী তাঁকে শাসন করতেন বলে ক্ষিপ্ত থাকার কথাও জানিয়েছেন ফারহান। তবে হত্যার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শারমীন বেগমকে হত্যার ঘটনায় তাঁর বড় মেয়ে রুমা আক্তার মঙ্গলবার রাতে থানায় মামলা করেছেন। তবে মামলায় হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ফারহান উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহনেওয়াজ ভূঁইয়ার ছেলে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মাদকাসক্ত ছেলে ফারহানের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিল তাঁর পরিবারও। মাদকের জন্য টাকা দিতে প্রায়ই মা-বাবাকে মারধর করতেন ফারহান। তাঁর অত্যাচারে অতিষ্ঠ মা-বাবা দুই দিন আগে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যান।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এলাকাবাসীও জানত ফারহানের মাদকাসক্তির কথা। তিনি যে চুরি ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত, সেটিও ছিল তাদের জানা। তবে তাঁর দ্বারা লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এলাকাবাসীও থ হয়ে গেছে। পুলিশের কাছে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে ফারহান জানিয়েছেন, প্রথমে ছুরি দিয়ে গলা কেটে শারমীনকে হত্যা করা হয়। এরপর পাশের একটি জমিতে মাথা পুঁতে রাখা হয়। সব শেষে শরীরের অংশ একটি কম্বলে পেঁচিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ফারহানের দাবি, এক মেয়েকে বিয়ে দিতে শারমীন বেগম তাঁকে তাবিজ করেন। এ কারণে তিনি ওই নারীর কথা মতো চলতেন। তিনি মনে করতেন মেয়েকে বিয়ে দিয়ে তাঁদের সম্পত্তি শারমীন বেগমের পরিবারের কবজায় নিয়ে যাওয়া হবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অবশ্য স্থানীয় লোকজন, পরিবার ও পুলিশ এ ধরনের বক্তব্যকে খুব একটা আমলে নিচ্ছে না। বরং ফারহানই চাইতেন শারমীনের এক মেয়েকে  মেয়েকে বিয়ে করতে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এমনটাই আলোচনা আছে এলাকায়। কিন্তু ফারহান মাদকাসক্ত হওয়ায় শারমীনের পরিবার এতে রাজি ছিল না। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শারমীনের বড় মেয়ে রুমার দাবি, চুরি করা হাঁস রান্নার জন্য তাঁর মাকে ডেকে নিয়ে যান ফারহান। মা হয়তো এতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ কারণে তিনি হত্যা করেন। একই দাবি করেন তাঁর মেজো মেয়ে ঝিমা বেগম। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আখাউড়া থানার ওসি মো. ছমিউদ্দিন গতকাল দুপুরে জানান, ঘাতক ফারহান হত্যাকাণ্ডের কারণ নিয়ে অসংলগ্ন কথা বলছেন। তবে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।</span></span></span></span></span></p>