<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং সরকারি কর্মকমিশনের সুপারিশ পাওয়ার পরও নিয়োগ পাননি ৪৩তম বিসিএসের ২৬৭ জন চাকরিপ্রার্থী। গত ৩০ ডিসেম্বর ৪৩তম বিসিএসে এক হাজার ৮৯৬ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগ দিয়ে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ওই প্রজ্ঞাপনে বাদ পড়া চাকরিপ্রার্থীরা গতকাল বুধবার আব্দুল গণি রোডে সচিবালয়ের ১ ও ২ নম্বর গেটের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রজ্ঞাপন থেকে বাদ পড়ার কারণ জানতে চেয়ে বিক্ষোভ করেন। এ ছাড়া প্রজ্ঞাপনে আবারও তাঁদের অন্তর্ভুক্তির দাবি জানান। পরে চাকরিপ্রার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তাঁর দেখা না পেয়ে ফিরে আসেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জনপ্রশাসনের প্রজ্ঞাপন থেকে বাদ পড়া চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, তাঁরা প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে পুলিশ ভেরিফিকেশন হয়ে নিয়োগ পেয়েছিলেন। কিন্তু এখন তাঁদের কেন বাদ দেওয়া হলো তা তাঁরা জানতে চান। তাঁরা প্রজ্ঞাপনে নিজেদের অন্তর্ভুক্তির দাবি জানান।  </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাদ পড়া একজন চাকরিপ্রার্থী কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খেয়ে না খেয়ে কষ্ট করে টিউশনি করে বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছি। নিয়মিত পড়ালেখা করে চার বছর পর সেই স্বপ্ন হাতের মুঠোয়, পিএসসির সুপারিশ পেলাম। নতুন চাকরিতে যোগ দেওয়ার আনন্দে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ দেখি গেজেট থেকে বাদ পড়েছি। আমাদের বাদ পড়ার কোনো কারণ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেনি। এতে আমাদের সারা জীবনের স্বপ্ন ধুলিসাৎ হয়ে গেছে। আমাদের কী অপরাধ, তা জানি না। আমরা আমাদের নিয়োগ চাই।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেকজন চাকরিপ্রার্থী জানান, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার কথা বলা হচ্ছে, অথচ নতুন চাকরিতে ঢোকার আগেই বৈষম্যের শিকার হলাম। আমাদের নামে মামলা না থাকলে শুধু শুধু কেন আমাদের বাদ দিল! আমরা এই বৈষম্য থেকে রেহাই চাই। দ্রুত আমাদের বাদ পড়াদের সবার প্রজ্ঞাপন চাই।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৪৩তম বিসিএসে নিয়োগের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গত ১৫ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে গত ৩০ ডিসেম্বর নতুন করে আবার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। নতুন প্রজ্ঞাপনে বাদ পড়েন ১৬৮ জন। ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সুপারিশপ্রাপ্ত এক হাজার ৮৯৬ জন প্রার্থীকে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের বিভিন্ন ক্যাডারের প্রবেশ পদে নিয়োগ দেওয়া হলো। এসব প্রার্থীকে ১৫ জানুয়ারি চাকরিতে যোগ দিতে হবে। পরবর্তী সময়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের পক্ষ থেকে প্রজ্ঞাপন বাতিল করে পুনঃ তদন্ত করার দাবি জানানো হলে ওই প্রজ্ঞাপন বাতিল করে সরকার। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৪৩তম বিসিএস থেকে দুই হাজার ১৬৩ জনকে ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর সুপারিশ করেছিল সরকারি কর্ম কমিশন। সুপারিশের দীর্ঘ ১০ মাস পর ১৫ অক্টোবর যে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছিল, সেখানে বিভিন্ন ক্যাডারে বাদ পড়েছিলেন ৯৯ জন। সব মিলিয়ে ৪৩তম বিসিএস থেকে বাদ পড়েছেন মোট ২৬৭ জন। এর আগে ৪১তম বিসিএসের গেজেট থেকে বাদ পড়েন ৬৭ জন, ৪০তম বিসিএস থেকে ৩৪ জন, ৩৭তম বিসিএস থেকে ৬১ জন, ৩৮তম থেকে ৭৫ জন এবং ৩৬তম বিসিএস থেকে ৩৮ জন বাদ পড়েছিলেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>