<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গাজীপুরের শ্রীপুরে স্ত্রী ও শ্যালিকাকে উত্ত্যক্তকালে বাধা দেওয়ায় এক ওষুধ ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। বাসার প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে তারা ওই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। স্বজনরা অভিযোগ করেছে, আট থেকে দশজন কিশোর ওই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। নেতৃত্বে ছিল রুবেল নামের এক কিশোর। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত বুধবার রাত আড়াইটার দিকে শ্রীপুর পৌর শহরের কেওয়া পশ্চিম খণ্ড মসজিদ মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে পুলিশ সেখানে পৌঁছার আগেই কিশোর গ্যাং পালিয়ে যায়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নিহত ওষুধ ব্যবসায়ীর নাম হাসিবুল ইসলাম বাদশা (৪০)। তিনি বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার ইলোহার গ্রামের আবদুল হাইয়ের ছেলে। তিনি এক যুগ আগে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর শহরের কেওয়া পশ্চিম খণ্ড মসজিদ মোড় এলাকায় জমি কিনে বাড়ি বানিয়ে স্ত্রী, তিন মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে বসবাস করছিলেন। ওই এলাকায় </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মামনি</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> নামে তাঁর একটি ওষুধের দোকান রয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে জড়িত দুজনকে আটক করেছে। তারা হলেন শ্রীপুর পৌর শহরের দারগারচালা এলাকার আলী আকবরের ছেলে অন্তর (২০) ও মৃত নিজাম উদ্দিনের ছেলে রুমান (২০)।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাদশার শ্যালক ও মাইক্রোবাসচালক জাহিদুল ইসলাম শিমুল জানান, তাঁর দুই বোন, ভগ্নিপতিসহ তাঁদের সন্তানরা ঢাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। বুধবার রাতে মাইক্রোবাসযোগে সেখান থেকে তারা ফিরছিলেন। রাত প্রায় আড়াইটার দিকে বাসার সামনে পৌঁছার পর গাড়িটি ঘিরে ধরে কিশোর গ্যাংয়ের আট থেকে দশজন সদস্য। তারা প্রত্যেকেই নেশায় মত্ত ছিল।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জাহিদুল ইসলাম শিমুল অভিযোগ করেন, গাড়ি থেকে নামার পর তাঁর দুই বোনকে উত্ত্যক্ত করছিল তারা। ওই সময় তাঁর ভগ্নিপতি বাদশা সামনে এসে দাঁড়ালে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা তাঁকে মারধর করে। মারধরের এক পর্যায়ে ওই দলটির নেতৃত্বে থাকা রুবেল তাঁর ভগ্নিপতি বাদশাকে হুমকি দেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভাইসা আইছস তোরা। তগোরে উড়াইয়া দেয়াম।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ওই সময় বাদশা </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রুবেলকে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভাগিনা, বাবা</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বলে সম্বোধন করে চলে যাওয়ার অনুরোধ জানান। কিন্তু রুবেলসহ তাঁর সহযোগীরা আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে তারা তার দুই বোনের শরীর স্পর্শ করে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাদশার স্ত্রী মাহমুদা আক্তার জানান, তারা ভয়ে বাসার ভেতর ঢুকে প্রধান ফটক বন্ধ করে দেন। পরে প্রধান ফটক ভেঙে বাসার ভেতর ঢুকে পড়ে সন্ত্রাসীরা। সেখানে তার স্বামীকে দ্বিতীয় দফা মারধর করে। এক পর্যায়ে ছোট বোনসহ তার গলা থেকে সোনার চেইন ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা। তাঁর ছোট বোনের স্বামী হানিফকেও (১৯) মারধর করে। তা দেখে বাধা দেওয়ায় তাঁর স্বামীকে নির্মমভাবে পেটায় তারা। ওই সময় ইটের টুকরা দিয়ে বুকে আঘাত করে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কান্নায় ভেঙে পড়ে মাহমুদা আক্তার বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নির্যাতনের এক পর্যায়ে আমার স্বামী প্রস্রাব করে দিয়েছিলেন। এর পরও তারা থামেনি। নির্যাতনে আমার স্বামী নিস্তেজ হয়ে পড়লে তা দেখে সন্ত্রাসীরা প্রায় ১০ মিনিট সেখানে উল্লাস করে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মাহমুদা আক্তারের ছোট বোন সালমা আক্তার জানান, তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা টের পেলেও সন্ত্রাসীদের ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে তারা ৯৯৯-এ ফোন করেন। সন্ত্রাসীরা চলে যাওয়ার পর নিস্তেজ অবস্থায় তাঁর ভগ্নিপতিকে প্রথমে মাওনা চৌরাস্তা আলহেরা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শ্রীপুর থানার ওসি মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন মণ্ডল কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঘটনার পর রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করেছে। ঘটনায় জড়িত রুবেলসহ অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান ওসি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"> </p>