<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বেগম খালেদা জিয়া তাঁর দীর্ঘ আপসহীন লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জাতীয় ঐক্যের প্রতীকে পরিণত হয়েছেন। তিনি চান বা না চান অর্থাৎ সক্রিয় রাজনীতিতে তাঁকে জনগণ পাক বা না পাক তাঁর প্রতীকী তাৎপর্য আগামী রাজনীতিকে অনেকাংশেই প্রভাবিত করতে পারে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> গতকাল শনিবার সকালে ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে এই মন্তব্য করেন লেখক ও বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহার।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্ট্যাটাসে ফরহাদ মজহার বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান দেখা করেছেন। হয়তো তা নিছকই সৌজন্য সাক্ষাৎকার। কিন্তু তার ইতিবাচক তাৎপর্য রয়েছে। ইতিবাচক রাজনৈতিক বার্তা পরিষ্কার। সেটা হচ্ছে, ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পরিবেশ তৈরির আন্তরিক প্রয়াস।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি বলেন, উপদেষ্টা সরকারের রাজনৈতিক ও আইনি বৈধতার অভাব গভীর রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। বৈরী ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতায় তা অত্যন্ত বিপজ্জনক। সম্প্রতি ছাত্র-তরুণরা জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র রাজধানীতে সভা করে পাঠ করতে চেয়েছে। সেটা তারা করতে পারেনি কিংবা করতে দেওয়া হয়নি। উপদেষ্টা সরকারের মধ্যে তা নিয়ে তীব্র মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দীর্ঘ স্ট্যাটাসটিতে তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল প্রস্তাবিত ঘোষণার সরাসরি বিরোধিতা করেন। এতে পরিষ্কার, গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে জাতীয় রাজনীতিতে দুটো পরস্পরবিরোধী ধারা গড়ে উঠেছে এবং তাদের পার্থক্য ও বিরোধ আগামী দিনে আরো তীব্র ও ব্যাপ্ত হবে। যে প্রতিবিপ্লবী শক্তি আইন ও সংবিধানের দোহাই তুলে প্রতিবিপ্লব ঘটিয়েছে এবং আইন ও রাজনীতি উভয় দিক থেকে একটা সেনাসমর্থিত উপদেষ্টা সরকার কায়েম করেছে, আগামী দিনে এই গণবিরোধী প্রতিবিপ্লবী ধারাকে আরো পরিষ্কার চেনা যাবে। দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার দায়িত্ব পালনের দিক থেকে সেনাবাহিনীকে আগামী দিনে হিমশিম খেতে হবে। বলাবাহুল্য, অবশ্যই সেনাবাহিনী জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই গৌরবজনক অবস্থানেই দেখতে চাইবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি বলেন, বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণের ফল কী দাঁড়াবে সেটা নির্ভর করবে মোটাদাগে রাজনীতির তিন পক্ষের মধ্যে সমঝোতা কিংবা বিরোধের মাত্রা দ্বারা। এই তিন পক্ষ হলো এক. গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী ছাত্র-জনতার শক্তি, দুই. বিএনপি এবং তার জোট ও সমর্থক, তিন. সেনাবাহিনী।</span></span></span></span></p>