<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাজধানীর বিনোদনকেন্দ্রগুলোর অন্যতম জাতীয় চিড়িয়াখানা। সেখানকার খাঁচায় রাখা প্রাণী কাছ থেকে দেখতে প্রতিদিন হাজারো দর্শনার্থী ঘুরতে আসে। তবে কিছুদিন ধরে চিড়িয়াখানায় পরিচ্ছন্নতা ও প্রাণী তদারকি কর্মী সংকটে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। যততত্র ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকায় দুর্গন্ধে প্রাণীর খাঁচার পাশে যেতে পারছে না দর্শনার্থীরা। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দর্শনার্থীদের। সরেজমিনে গিয়ে সম্প্রতি এমন দৃশ্য দেখা গেছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, সম্প্রতি ৩৬ জন প্রাণী তদারকি কর্মী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীর পদোন্নতি হওয়ায় প্রবল কর্মী সংকটে পড়েছে চিড়িয়াখানা। যাঁরা পদোন্নতি পেয়েছেন, তাঁরা বিভিন্ন উপজেলায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগ দিয়েছেন। ফলে অন্য কর্মীরা অতিরিক্ত কাজ করেও পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি সামাল দিতে পারছেন না। এ কারণে পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। তবে যাঁরা পদোন্নতি পেয়ে বিভিন্ন উপজেলায় যোগ দিয়েছেন, তাঁদের বড় একটি অংশ রিলিজ নিয়ে অল্প সময়ের মধ্যেই ফিরে আসবেন। তখন সংকট অনেকটা কেটে যাবে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নতুন কর্মী নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে চিড়িয়াখানার পরিচালক  মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা চাইলেই হঠাৎ করে নতুন কর্মী নিয়োগ দিতে পারব না। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়া গেলে আউটসোর্সিং হোক কিংবা চুক্তিভিত্তিক হোক নিয়োগ দেওয়া যাবে। তবে সেটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। বর্তমানে যাঁদের পদোন্নতি হয়েছে, তাঁদের একাংশকে ফিরিয়ে এনে কাজ চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শীতে কিছু পশুপাখি জবুথবু মেরে বসে আছে। এর মধ্যে রয়েছে বানর, উটপাখি, ময়ূর, বাজরিগরসহ নানা রকমের পাখি। এসব পশুপাখিকে শীত থেকে রক্ষায় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ খাঁচার সামনে চট, ভেতরে খড় ও বালুর ব্যবস্থা করেছে। পাশাপাশি ছোট বাক্স তৈরি করে দেওয়া হয়েছে খাঁচার ভেতর। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পরিচালক  মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পশুপাখিরা যাতে কষ্ট না পায়, রোগবালাই না হয়, সে জন্য এবার শীত শুরুর আগে থেকেই নানা ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ফলে শীতে এখন পর্যন্ত কোনো পশুপাখি অসুস্থ হয়নি। পশুপাখির শরীর গরম রাখতে খাবারের মান বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি নানা ধরনের ভিটামিন খাওয়ানো হচ্ছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span>  </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঠাকুরগাঁও সদরের একটি মাদরাসার শিক্ষার্থী ফাহিম হাসান (১২)। মাদরাসা ছুটির ফাঁকে সে তার বোনের জামাইয়ের সঙ্গে পাঁচসহপাঠীসহ চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসেছে। ফাহিম জানায়, জীবন্ত বাঘ, সিংহ, অজগর দেখে তার খুব ভালো লেগেছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চিড়িয়াখানায় জিরাফের খাঁচার সামনে কথা হয় চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার মমতাজ বেগমের সঙ্গে। তিনি জানান, ৪০ বছর আগে তিনি চিড়িয়াখানায় এসেছিলেন। আর এবার নাতি-নাতনিদের নিয়ে ঘুরতে এসেছেন। ওরা সবাই বেশ আনন্দ নিয়ে প্রতিটি খাঁচার পশুপাখি দেখছে। বাঘ দেখে বাচ্চারা দারুণ আনন্দ পেয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ছাড়া চিড়িয়াখানায় সাপ, ময়ূর, ইমু পাখি, জিরাফ ও হাতির খাঁচার সামনে শিশুদের বেশ ভিড় দেখা গেছে। আর চিড়িয়াখানার ভেতর মিনি শিশু পার্কেও ছিল শিশুদের ভিড়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কোনো দর্শনার্থী যাতে বাইরে থেকে আর পলিথিনসহ ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে, কিছুদিনের মধ্যে তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া যততত্র যাতে ময়লা-আবর্জনা ফেলতে না পারে, সে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। কারণ দর্শনার্থীরা সচেতন হলে চিড়িয়াখানার যেখানে সেখানে আর ময়লা ফেলবে না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বর্তমানে প্রতিদিন সাধারণ সময়ে ৩০ হাজার দর্শনার্থী এবং ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার অন্তত ৬০ হাজার দর্শনার্থী চিড়িয়াখানায় আসছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"> </p>