<p>ফলটির ইংরেজি নাম ড্রাইড লাইম। বাংলায় তর্জমা করলে দাঁড়ায় ‘শুকনো চুন’। কিন্তু এটি মোটেও চুন নয়। ইংরেজিতে ফলটির আরেক নাম হচ্ছে ব্ল্যাক লেমন, মানে ‘কালো লেবু’। ফলটি শুকালে কালো রং ধারণ করে বলে বাংলায় এর নাম ‘কালো লেবু’ হতে বাধা নেই। এই ফলকে ইরাকিরা বলে ‘নুমি বসরা’ (বসরার লেবু), ইরানিরা বলে ‘লিমু আমানি’ আর সৌদি ও ওমানিরা বলে ‘লুমি’। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন খাবারে এটি একটি উপাদেয় মসলা।</p> <p>স্বাদে টক, তবে কিছুটা মিষ্টিও লাগে। শুকনো ফলটি আস্ত, স্লাইস করে অথবা পিষে পাউডার বানিয়ে খাবারে প্রয়োগ করা হয়। মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার প্রতিটি রান্নাঘরে ফলটির দেখা মিলবেই। এ অঞ্চলের রন্ধনশিল্পে কালো লেবুর ঐতিহ্য হাজার বছরের পুরনো। গাছ থেকে ফলগুলো পেড়ে লবণ মেখে সূর্যের তাপে শুকানোর পর এটি কালো রং ধারণ করে। শুধু খাবারের স্বাদই নয়, ফ্লেভার বাড়াতেও কালো লেবু অতুলনীয়।</p> <p>প্রাচীনকাল থেকেই কালো লেবু পার্সিয়ান ও মধ্যপ্রাচ্যের খাবারের মূল ভিত্তি ছিল। বেদুইন নারীরা সুতা রঙিন করতে লুমি বা কালো লেবু ব্যবহার করত। সৌদি আরবে কালো লেবু কাবসা, মাতাজিজ, জরিশ ও কুরসানজাতীয় খাবারের প্রধান উপাদান এবং লুমি চা তৈরিতেও ব্যবহূত হয়। সৌদি আরবের কাতিফ এলাকার শেফ সাদিয়া আল-বায়াত বলেন, ‘রন্ধনশিল্পে ফলটি রীতিমতো গেমচেঞ্জার। খাবারের স্বাদ আর সুঘ্রাণ বাড়াতে এটি অনন্য। উপসাগরীয় অঞ্চলের সি-ফুড, গ্রিলড মিট আর টেস্টি স্টু তৈরিতে এটি পছন্দের মসলা। কালো লেবু যোগ করলে চায়ের ফ্লেভার আর স্বাদ দ্বিগুণ হয়ে যায়।’</p> <p>কালো লেবু যোগ করলে গরম স্যুপ বেশ উপাদেয় হয়। এটা রান্নার সময় যেমন খাবারে মেশানো যায়, তেমনি খাবার পরিবেশনের আগেও মেশানো যায়। তবে আগে মেশালে খাবারের স্বাদ বেশ হূদয়গ্রাহী হয়, এমনটা বলা হয়ে থাকে। শরবতেও এটা মেশানো যায়। বিশেষ করে ‘লিমোনানা’য় (লেবু ও পুদিনার শরবত) যোগ করলে প্রাণভরে গ্লাসের পর গ্লাস পান করা যায়। বর্তমানে অ্যালকোহলেও এর প্রয়োগ শুরু হয়েছে। মাংসের মেরিনয়েডেও এটা যোগ করা হয়। মাছের কারিতেও এটা অতুলনীয়। সূত্র : অ্যারাব নিউজ</p>