কুমিল্লায় তিনজনসহ চার জেলায় সাত লাশ উদ্ধার

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
কুমিল্লায় তিনজনসহ চার জেলায় সাত লাশ উদ্ধার

কুমিল্লার তিন উপজেলায় ইনস্যুরেন্সকর্মীসহ এক দিনে তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত রবিবার রাত থেকে গতকাল সোমবার সকাল পর্যন্ত জেলার সদর দক্ষিণ, লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়।

এ ছাড়া নোয়াখালী, নরসিংদী ও ঢাকার সাভার থেকে আরো চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কালের কণ্ঠের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :

কুমিল্লা : সদর দক্ষিণ উপজেলায় কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশের খাল থেকে গতকাল সকালে এক ব্যক্তির ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সদর দক্ষিণ থানার ওসি মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানান, লাশটির গায়ে একটি জ্যাকেট ছিল। শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন কিংবা রক্ত দেখা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি মৃগী রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

লাকসাম উপজেলার ড্রিমল্যান্ড হোটেল থেকে আলতাফ হোসেন (৩৭) নামের একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি প্রগতি ইনস্যুরেন্সে চাকরি করতেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লাকসাম থানার ওসি নাজনীন সুলতানা।

অপরদিকে মনোহরগঞ্জ উপজেলার বান্দুয়াইন গ্রামের সড়কের পাশ থেকে স্থানীয় এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি উপজেলার বান্দুয়াইন গ্রামের মৃত আয়ুব আলীর স্ত্রী।

রবিবার রাত দেড়টার দিকে বান্দুইয়ান গ্রামের সড়কের পাশ থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মনোহরগঞ্জ থানার এসআই ইমন হোসেন। তিনি বলেন, ওই নারী বাড়িতে একাই থাকতেন। এত রাতে তিনি কেন এখানে এলেন, কিভাবে তাঁর মৃত্যু হলো তা তদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না।

নোয়াখালী : বেগমগঞ্জ উপজেলায় নিখোঁজের সাত দিন পর ১৮ মাস বয়সী এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে বেগমগঞ্জ থানার পুলিশ।

সোমবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জাহানাবাদ গ্রামের মনির হোসেনের বাড়ির পুকুর থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত মেয়াদুল ইসলাম একই গ্রামের মনির হোসেনের বাড়ির রনির ছেলে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২১ জানুয়ারি সকালে বাড়ির উঠান থেকে মেয়াদুল নিখোঁজ হয়। গতকাল বিকেলে বাড়ির পাশে পাশাপাশি দুটি পুকুরের একটির মধ্যে মেয়াদুলের খালা ভাগ্নের মরদেহ ভাসতে দেখেন।

নরসিংদী : রায়পুরা উপজেলার নিলক্ষা এলাকাসংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে নিখোঁজের সাত দিন পর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত রবিবার সন্ধ্যার পর করিমপুর নৌ পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে রাতে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন করিমপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুব্রত কুমার পোদ্দার।

নিহত হাবি মিয়া (৪৫) নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের মুরাদনগর গ্রামের মালেক মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন ট্রলারচালক।

সাভার (ঢাকা) : শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় পৃথক স্থান থেকে দুই নারীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার সকালে আশুলিয়ার কুমকুমারী এবং বিকেলে ডেণ্ডাবর উত্তরপাড়া এলাকা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে আশুলিয়া থানার পুলিশ।

নিহতদের মধ্যে একজনের নাম নারগিছ (৩০)। তিনি ঠাকুরগাঁওয়ের সদর থানার কালিতলা চৌদ্দহাত গ্রামের জালাল উদ্দিনের মেয়ে ও বিদ্যুৎ মণ্ডল হারুনের স্ত্রী। অপরজনের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা।

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ ঘোষণা তিতুমীর শিক্ষার্থীদের

গুলশান-১ অবরোধ
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ ঘোষণা তিতুমীর শিক্ষার্থীদের
তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো অনশন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। ছবি : কালের কণ্ঠ

রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রাষ্ট্রীয় ঘোষণার দাবি পূরণের আল্টিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার বিকেল ৪টার মধ্যে দাবি মেনে নেওয়া না হলে বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি (উত্তর সিটি করপোরেশনের অধীন এলাকা) নামের অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের অনশনও চলবে। গতকাল শুক্রবার রাত সোয়া ১১টার দিকে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের সংগঠন তিতুমীর ঐক্যর পক্ষ থেকে এই কর্মসূচির কথা জানানো হয়।

শিক্ষার্থীরা বলেন, শনিবার বিকেল ৪টার মধ্যে আমরণ অনশনরত শিক্ষার্থীদের সাত দফা দাবি মেনে নিয়ে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে হবে। তা না হলে বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি কর্মসূচি অনির্দিষ্টকালের জন্য পালন করা হবে। রেল ও সড়কপথ কর্মসূচির আওতায় থাকবে। একই সঙ্গে আমাদের আমরণ অনশনও চলমান থাকবে।

এ ছাড়া বিশ্ব ইজতেমার কথা বিবেচনা করে ভোর ৬টা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত ব্যারিকেড শিথিল থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।

এর আগে একই দাবিতে শিক্ষার্থীরা গুলশান-১ নম্বর মোড় প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন। ফলে পুরো সময়জুড়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। তৈরি হয় দীর্ঘ যানজটের।

গত বুধবার বিকেল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার দাবিতে অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁরা সাত দফা দাবি জানান। দাবিগুলো হচ্ছে :

১. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হবে; ২. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে; ৩. শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ নতুবা অনতিবিলম্বে শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসিক খরচ বহন করতে হবে; ৪. ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ন্যূনতম দুইটি বিষয় আইনজার্নালিজম বিষয় সংযোজন করতে হবে; ৫. একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন পিএইচডিধারী শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে; ৬. শিক্ষার গুণগত মান শতভাগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আসনসংখ্যা সীমিত করতে হবে; ৭. আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার বিনির্মাণের লক্ষ্যে জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ করতে হবে।

 

মন্তব্য
গোলটেবিল আলোচনা

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনে লাগবে না অন্তর্বর্তী সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনে লাগবে না অন্তর্বর্তী সরকার

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনব্যবস্থা চালু হলে অন্তর্বর্তী বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়বে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলেছেন, শুধু উচ্চকক্ষ নয়, নিম্নকক্ষেও সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনব্যবস্থা চালু করতে হবে। এই আনুপাতিক নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রত্যাশিত ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব। আর সেটি হলে নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রয়োজনীয়তা না-ও থাকতে পারে।

গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাপ্তাহিক একতা পত্রিকার আয়োজনে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ কোন পথে শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তাঁরা। পত্রিকাটির সম্পাদক আফরোজা নাহারের সভাপতিত্বে সভায় রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচনী সংস্কার বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতিসংঘের উন্নয়ন গবেষণার সাবেক প্রধান অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম। আর বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও আর্থ-সামাজিক সংস্কার শীর্ষক আরেকটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক গবেষণা ব্যুরোর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম এম আকাশ।

মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক নজরুল ইসলাম তাঁর প্রবন্ধে বলেন, সংবিধানের প্রস্তাবনা নতুন করে লেখার প্রয়োজন আছে কি না সন্দেহ আছে।

তবে পরিমার্জন করতে হলে ২০২৪-এর জুলাইয়ের অভ্যুত্থান ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে প্রকাশিত গণতন্ত্র, সাম্য ও মানবিক মর্যাদার জন্ম জন-আকাঙ্ক্ষার কথা নিশ্চয়ই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। অপর প্রবন্ধে অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, শুধু ভালো নীতি প্রণয়ন নয়, তার বাস্তবায়নের জন্য সুশাসন প্রতিষ্ঠা, আর্থিক ও জ্বালানি খাত, আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা এবং বাজার ব্যবস্থাপনায় জরুরি নীতিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার প্রয়োজন।

তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ ও বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ওপর ভিত্তি করে বাহাত্তরের সংবিধান রচিত হয়েছে। কিন্তু এটি সংস্কার করা যাবে না, ব্যাপারটি তা নয়।

এ সংবিধানে সমস্যা আছে।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মো. শাহ আলম বলেন, চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের মূলে ছিল বেহাত গণতন্ত্র রক্ষার জন-আকাঙ্ক্ষা। আমরা সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হয়েছি।

আলোচনাসভায় আরো বক্তৃতা করেন ড. মোস্তাফিজুর রহমান, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান, ডাকসুর সাবেক জিএস ডা. মুশতাক হোসেন, ড. শরমিন্দ নিলোর্মি, সাংবাদিক মোজাম্মেল হোসেন মঞ্জু, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ডা. মিজানুর রহমান প্রমুখ।

মন্তব্য
জামায়াতের আমির

হঠকারিতা, ফ্যাসিজম দুনিয়া-আখিরাতে কারো জন্য কল্যাণকর নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
হঠকারিতা, ফ্যাসিজম দুনিয়া-আখিরাতে কারো জন্য কল্যাণকর নয়
শফিকুর রহমান

হঠকারিতা, ফ্যাসিজম দুনিয়া ও আখিরাতে কারো জন্য কল্যাণকর নয় উল্লেখ করে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, একটি সময় আপনজনকে বিদায় দিতে পারব না, বিদায় নিতে পারব না, সবার সঙ্গে দোয়াও করতে পারব নাএমন ভয়াবহ পরিস্থিতি করা হয়েছিল। এমন পরিবেশ যেন আর ফিরে না আসে।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর মগবাজারের আল ফালাহ মিলনায়তনে সাবেক এমপি জামায়াতের কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগের সাবেক সেক্রেটারি হাফেজা আসমা খাতুনের স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন।

স্মৃতিচারণায় জামায়াতের আমির বলেন, হাফেজা আসমা খাতুন আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান ছিলেন।

মাত্র ১০ জনকে নিয়ে কেন্দ্রীয় সংগঠনের কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। এখন এই সংখ্যা ৪৩ হাজার। তিনি একজন আদর্শ মা ছিলেন। একজন ভাগ্যবতী স্ত্রী ছিলেন, তিনি আদর্শ বোন ছিলেন এবং লাখ লাখ মানুষের আদর্শ ছিলেন।
তাঁর পরিবারের যে যেখানে আছেন, সবাই দাঈ ইলাল্লাহ হিসেবে আছেনএটা বিরল।

মরহুমার বড় ছেলে নিয়াজ মাখদুমের সভাপতিত্বে এবং ছোট ছেলে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সাইফুল্লাহ মানছুরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্টির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার, ড. মামুন আল আযমী, হেমায়েত হোসেন, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন প্রমুখ।

 

স্বৈরাচারী হাসিনার পতনে ভারত দিশাহারা : আবদুল্লাহ মো. তাহের

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি জানান, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, স্বৈরাচারী হাসিনার পতনে তাঁর মিত্র ভারত দিশাহারা হয়ে পড়েছে। এ জন্য তারা সীমান্ত উত্তেজনা তৈরি করে এবং তাদের এ দেশীয় দোসরদের মাধ্যমে নানা চক্রান্তে লিপ্ত হয়।

দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সব দল ও মতের লোকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদের সব চক্রান্ত রুখে দিতে হবে।

গতকাল  শুক্রবার সকালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে শ্রীপুর ইউনিয়নের চৌমুহনী মডার্ন স্কুল অ্যান্ড মাদরাসার হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ি প্রদান উপলক্ষে স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

ডা. তাহের আরো বলেন, আমরা আগামী দিনে এমন একটি জাতীয় সরকার চাই, যে সরকার দেশ থেকে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, লুটপাট ও সব অন্যায় দূর করে মানুষের মৌলিক অধিকার ও চাহিদাগুলো পূরণে সক্ষম হবে। এ জন্য দেশের নেতৃত্ব থেকে অসৎ লোকদের সরিয়ে সৎ, যোগ্য ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তিদের আগামী দিনের রাষ্ট্রক্ষমতায় বসাতে হবে।

কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির বলেন, সংস্কারবিহীন নির্বাচন যেমন অর্থবহ হবে না, তেমনি নির্বাচন না হলে দেশের পরিবেশও স্থিতিশীল হবে না।

তাই প্রয়োজনীয় সংস্কারকাজ শেষ করে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।

মাহফিলে প্রধান আলোচক হিসেবে তাফসির পেশ করেন প্রখ্যাত মুফাসসির মুফতি আমির হামজা। বিশেষ আলোচক হিসেবে তাফসির পেশ করেন সাভার বাসস্ট্যান্ড কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা ইয়াহিয়া তাকী।

 

মন্তব্য

বাণিজ্যমেলার শেষ দিনে বিভিন্ন পণ্যে ছাড়ে কেনাবেচার ধুম

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
শেয়ার
বাণিজ্যমেলার শেষ দিনে বিভিন্ন পণ্যে ছাড়ে কেনাবেচার ধুম

মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা গতকাল শুক্রবার শেষ হয়েছে। গতকাল দেখা গেছে, বিভিন্ন ছাড়ের অফারে রাত পর্যন্ত চলেছে কেনাবেচার ধুম। ফলে বেশির ভাগ দোকানের পণ্য বিক্রি শেষ হয়ে যায়।

এবারের বাণিজ্যমেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির ৩৪৩টি দেশি-বিদেশি স্টল, মিনি প্যাভিলিয়ন ও প্যাভিলিয়ন অংশ নেয়।

বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, হংকং ও মালয়েশিয়ার ১১টি প্রতিষ্ঠান এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে।

মেলায় বিভিন্ন ধরনের কাপড়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, টয়লেট্রিজ, গৃহসজ্জা ও গৃহস্থালি সামগ্রী, ক্রোকারিজ, সৌন্দর্যবর্ধক সামগ্রী, ইলেকট্রনিকস সামগ্রী, হারবাল, ফার্নিচার, ইমিটেশনের গয়না, কসমেটিকস, প্লাস্টিক ও মেলামাইন সামগ্রী, সিরামিক, প্রেসার কুকার, রুটি মেকার, ফ্রাইপ্যান, স্পোর্টস গুডস, খেলনা, চামড়াজাত পণ্য, খাদ্যপণ্য, হস্তশিল্পজাত পণ্যসহ নানাবিধ পণ্য প্রদর্শন করা হয়েছে। এ ছাড়া কয়েদিদের তৈরি কারা পণ্য, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় এমআরটিএফের প্যাভিলিয়ন, প্রতিবন্ধীদের তৈরি পণ্যের স্টল, সেনাকল্যাণ সংস্থার স্টল, তুরস্কের কার্পেট ঘরের প্রতি ছিল দর্শনার্থীদের বিশেষ আকর্ষণ।

গতকাল মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের মাল্টিপারপাস হলে।

এতে সভাপতিত্ব করেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুারোর ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক হাফিজুর রহমান ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুর রহিম। সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন ক্যাটাগরির ৫১টি প্রতিষ্ঠানকে ট্রফি প্রদানের মাধ্যমে সেরার স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।

সমাপনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন বলেন, পণ্যের বহুমুখী উৎপাদন ও বাজার সৃষ্টি করতে হবে। শিল্পবিপ্লব ঘটাতে হবে। রপ্তানি আয় আরো বাড়াতে হবে। হস্তশিল্পকে একটি গ্রাম, একটি পণ্যে পরিণত করতে হবে। লাখো কারিগরকে তুলে আনতে হবে।

উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে।

বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সচিব বিবেক সরকার বলেন, মেলার আয়োজন সার্থক হয়েছে। সফল হয়েছেন ব্যবসায়ীরাও।

উল্লেখ্য, গত ১ জানুয়ারি পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা-২০২৫-এর উদ্বোধন করেন আন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন ও উৎপাদনে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ সাল থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার আয়োজন করা হচ্ছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ