হঠকারিতা, ফ্যাসিজম দুনিয়া ও আখিরাতে কারো জন্য কল্যাণকর নয় উল্লেখ করে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘একটি সময় আপনজনকে বিদায় দিতে পারব না, বিদায় নিতে পারব না, সবার সঙ্গে দোয়াও করতে পারব না—এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি করা হয়েছিল। এমন পরিবেশ যেন আর ফিরে না আসে।’
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর মগবাজারের আল ফালাহ মিলনায়তনে সাবেক এমপি জামায়াতের কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগের সাবেক সেক্রেটারি হাফেজা আসমা খাতুনের স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন।
স্মৃতিচারণায় জামায়াতের আমির বলেন, ‘হাফেজা আসমা খাতুন আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান ছিলেন।
মাত্র ১০ জনকে নিয়ে কেন্দ্রীয় সংগঠনের কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। এখন এই সংখ্যা ৪৩ হাজার। তিনি একজন আদর্শ মা ছিলেন। একজন ভাগ্যবতী স্ত্রী ছিলেন, তিনি আদর্শ বোন ছিলেন এবং লাখ লাখ মানুষের আদর্শ ছিলেন। তাঁর পরিবারের যে যেখানে আছেন, সবাই দা’ঈ ইলাল্লাহ হিসেবে আছেন—এটা বিরল।’
মরহুমার বড় ছেলে নিয়াজ মাখদুমের সভাপতিত্বে এবং ছোট ছেলে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সাইফুল্লাহ মানছুরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্টির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার, ড. মামুন আল আযমী, হেমায়েত হোসেন, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন প্রমুখ।
স্বৈরাচারী হাসিনার পতনে ভারত দিশাহারা : আবদুল্লাহ মো. তাহের
চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি জানান, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, স্বৈরাচারী হাসিনার পতনে তাঁর মিত্র ভারত দিশাহারা হয়ে পড়েছে। এ জন্য তারা সীমান্ত উত্তেজনা তৈরি করে এবং তাদের এ দেশীয় দোসরদের মাধ্যমে নানা চক্রান্তে লিপ্ত হয়।
দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সব দল ও মতের লোকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদের সব চক্রান্ত রুখে দিতে হবে।
গতকাল শুক্রবার সকালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে শ্রীপুর ইউনিয়নের চৌমুহনী মডার্ন স্কুল অ্যান্ড মাদরাসার হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ি প্রদান উপলক্ষে স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
ডা. তাহের আরো বলেন, ‘আমরা আগামী দিনে এমন একটি জাতীয় সরকার চাই, যে সরকার দেশ থেকে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, লুটপাট ও সব অন্যায় দূর করে মানুষের মৌলিক অধিকার ও চাহিদাগুলো পূরণে সক্ষম হবে। এ জন্য দেশের নেতৃত্ব থেকে অসৎ লোকদের সরিয়ে সৎ, যোগ্য ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তিদের আগামী দিনের রাষ্ট্রক্ষমতায় বসাতে হবে।’
কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির বলেন, সংস্কারবিহীন নির্বাচন যেমন অর্থবহ হবে না, তেমনি নির্বাচন না হলে দেশের পরিবেশও স্থিতিশীল হবে না।
তাই প্রয়োজনীয় সংস্কারকাজ শেষ করে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
মাহফিলে প্রধান আলোচক হিসেবে তাফসির পেশ করেন প্রখ্যাত মুফাসসির মুফতি আমির হামজা। বিশেষ আলোচক হিসেবে তাফসির পেশ করেন সাভার বাসস্ট্যান্ড কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা ইয়াহিয়া তাকী।