রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতার নামে চাঁদাবাজির মামলা

  • নারায়ণগঞ্জে ইয়াবাসহ সংগঠক আটক
নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর এবং গঙ্গাচড়া ও নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর এবং গঙ্গাচড়া ও নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতার নামে চাঁদাবাজির মামলা

চাঁদা দাবির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগরের সদ্য অব্যাহতি পাওয়া মুখপাত্র নাহিদ হাসান খন্দকারের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে। রংপুরের গঙ্গাচড়া থানার অধীন গ্রিন সিটি ইকো পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বাদী হয়ে গত শুক্রবার মামলাটি করেন। গতকাল রবিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গঙ্গাচড়া মডেল থানার ওসি আল এমরান।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুরের ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের স্টাফদের হুমকি-ধমকি দেওয়াসহ অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির এক সংগঠকসহ দুজনকে গতকাল আটক করেছে যৌথ বাহিনী।

এ সময় তাঁদের কাছ থেকে চার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গঙ্গাচড়া মডেল থানার ওসি জানান, মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা নাহিদ হাসান খন্দকারের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো সাত-আট জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে এক লাখ টাকা এবং প্রতিদিন ২০ হাজার টাকা করে চাঁদা দাবির অভিযোগ আনা হয়েছে।

এ বিষয়ে মামলার বাদী আতিকুল ইসলাম ভূঁইয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, গঙ্গাচড়ার খলেয়া ইউনিয়নে তিনি ও তাঁর এক বোন গ্রিন সিটি ইকো পার্ক নির্মাণের কাজ শুরু করেন। পার্ক নির্মাণে পুকুর থেকে বালু উত্তোলনের প্রয়োজন দেখা দেয়। এই বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা নাহিদ হাসান খন্দকার চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। এ ঘটনায় নাহিদ হাসানের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা সাত-আটজনকে আসামি করে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।

এদিকে মামলার এক দিন পর শনিবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুর মহানগরের আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহম্মদ ইমতি ও সদস্যসচিব রহমত আলীর স্বাক্ষর করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নাহিদ হাসান খন্দকারকে সংগঠনটির মুখপাত্রের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।

এর আগে চাঁদা দাবির অভিযোগ ওঠায় শনিবার রাতে নাহিদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশে স্বাক্ষর করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগর শাখার মুখ্য সংগঠক আলী মিলন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি নাহিদ হাসান খন্দকারের এক লাখ টাকা চাঁদা দাবির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় শুরু হয়। তবে নাহিদ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

ভিডিওতে দেখা যায়, একটি পুকুর খনন করে বালু উত্তোলন ও পার্ক নির্মাণের বিষয়ে নাহিদের সঙ্গে কথা হচ্ছিল সেখানে থাকা এক ব্যক্তির (ভিডিওতে দেখা যায়নি) নাহিদ ওই ব্যক্তির উদ্দেশে বলেনব্যবসা আপনি বন্ধ করবেন কেন, ব্যবসা আপনিই চালান। আমি বলছি না আজকেই দিতে হবে। ভাইয়ের সাথে কথা বলেন। প্রয়োজনে সময় নেন। আপনি তো দেখছেন বিষয়টি কোথায় গেছে। ইউএনও-ডিসিকে সামলাতে হচ্ছে। যদি মনে হয় কিছু কমাবেন, তাহলে ভাইয়ের সাথে কথা বলেন। আমি চাই না আপনাদের কোনো সমস্যা হোক। জানেন তো, সংগঠন চালাতে হলে কী কী করতে হয়।

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠকসহ দুজন আটক

নারায়ণগঞ্জে আটক হওয়া দুজন হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সংগঠক মো. জিদান হোসেন ও তাঁর সহযোগী ইকবাল হোসেন।

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে মো. জিদান হোসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা পরিচয় দিয়ে হাসপাতালের স্টাফদের হুমকি-ধমকিসহ বিভিন্নভাবে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে আসছিলেন। তিনি হাসপাতালের ভেতরে ইয়াবা সেবনসহ বিক্রিও করতেন। এ বিষয়ে কয়েকজন ভুক্তভোগী সেনাবাহিনীর কাছে অভিযোগ জানান। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল দুপুরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে হাসপাতালের অভ্যন্তর থেকে জিদান ও ইকবাল হোসেনকে আটক করা হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির আহ্বায়ক নিরব রায়হান বলেন, মো. জিদান হোসেন জেলা কমিটির সংগঠক ছিলেন। তাঁকে আটকের বিষয়টি আমরাও জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে তাঁর বিরুদ্ধে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।

নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (সুপার) ডা. এম এ বাশার বলেন, যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করে নিয়ে গেছে। তাঁদের মধ্যে একজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক বলে জানতে পেরেছি।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি নাসির উদ্দিন জানান, মো. জিদান আগে রংমিস্ত্রি হিসেবে ইন্টেরিয়রের কাজ করতেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি পিঠে ছররা গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। এর পর থেকে তিনি সমন্বয়ক বনে যান। তিনি নিজে ইয়াবা সেবন করতেন ও বিক্রি করতেন। খানপুরের ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে দালালিও করতেন। জিদান ও ইকবালকে আটক করার সময় তাঁদের কাছ থেকে চার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সবিশেষ

দুই আমিরাতি জেন-জির বই সাড়া জাগাল

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
দুই আমিরাতি জেন-জির বই সাড়া জাগাল

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক প্রকাশনা সংস্থা ক্রিয়েটিভ করপোরেশন মিডিয়া থেকে প্রকাশিত দ্য আর্ট অব মিরাকলস বইটি এরই মধ্যে বিশ্বের জেন-জি প্রজন্মকে বেশ নাড়া দিতে পেরেছে। বইটির লেখক দুই বোন আয়েশা হাসান ও ইউমুনা হাসান। দুজনই আমিরাতি জেন-জি। যুক্তরাষ্ট্রেই থাকেন।

তাঁরা শুধু বইটির মাধ্যমে বিশ্বের জেন-জি প্রজন্মকে কাছে টানছেন না, জেন-জিদের চিন্তাধারায়ও বিবর্তন আনার সক্ষমতা দেখাতে পেরেছেন।

ভাবতে অবাক লাগে, এই দুই বোনের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে যা বলা হচ্ছে, তার সংক্ষিপ্ত রূপ হলো : এই দুই আমিরাতি জেন-জি প্রমাণ করতে পেরেছেন, তাঁদের পক্ষেও নতুন প্রজন্মের আইকনে পরিণত হওয়া অবাস্তব কিছু নয়। কারণ তাঁরা এখন স্বাপ্নিক, চিন্তক, যেকোনো বয়সী চেঞ্জমেকারদের আগ্রহ বাড়াতে পেরেছেন। বিশেষ করে নিজে খাঁটি থাকা সত্ত্বেও আধুনিকতার বিশৃঙ্খলার মধ্যে পড়ে যারা হা-পিত্যেশ করছেন, তাদের হতাশা কাটানোর এক উজ্জীবিত মন্ত্র হতে পারে দ্য আর্ট অব মিরাকলস বইটি।

আয়েশা ও ইউমুনা তাঁদের বইতে এটা বিমূর্ত করার চেষ্টা করেছেন, মানুষের বয়স একটা সংখ্যা ছাড়া আর কিছুই নয়। অর্থাত্ তাঁরা বোঝাতে চাইছেন, এমন কোনো আইন নেই, যার মাধ্যমে দাবি করা যেতে পারে, জ্ঞানী বিবেচিত হতে হলে অন্তত মাথার চুল আগে পাকাতে হবে। তাঁদের চিন্তাধারার ইতিবাচকতা হচ্ছে, এই দুই বোনের চিন্তাধারায় শুধু জেন-জি প্রজন্মই আকৃষ্ট হচ্ছে না, সব বয়সী মানুষই প্রভাবিত হচ্ছে।

টিকটক ফিড আর ইনস্ট্রাগ্রাম স্টোরিজুড়ে এখন দ্য আর্ট অব মিরাকলস বইটির প্রশংসা।

কোটিপতি ইনফ্লুয়েন্সার, হলিউড আইকন, বিভিন্ন বহুজাতিক কম্পানির সিইও, স্পোর্টস লিজেন্ড, এমনকি সাধারণ চিন্তকরাও মেনে নিচ্ছেন, বইটির চিন্তাধারার প্রভাব বেশ গভীর ও বাস্তব। সূত্র : খালিজ টাইমস

 

 

মন্তব্য

ভোজ্যতেলের সরবরাহে স্বস্তি, দাম কমেছে মুরগির

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ভোজ্যতেলের সরবরাহে স্বস্তি, দাম কমেছে মুরগির

রাজধানীসহ সারা দেশের বাজারগুলোতে তিন মাস ধরে চলা ভোজ্যতেলের সংকট এখন অনেকটাই কেটে গেছে। ভোজ্যতেল সরবরাহকারী কম্পানিগুলো তেলের সরবরাহ বাড়ানোয় দোকানগুলোতে পর্যাপ্ত তেল পাওয়া যাচ্ছে। চাহিদামতো এক লিটার, দুই লিটার ও পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের বোতল কিনতে পারছেন ভোক্তারা। বাজারে চাহিদা কমায় কমেছে মুরগির দামও।

তবে মৌসুম না হওয়ায় বাজারগুলোতে পটোল, করলা, ঢেঁড়সসহ কয়েকটি সবজি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এই তিনটি সবজি ১০০ টাকার নিচে কেনা যাচ্ছে না। আগের বাড়তি দরেই বাজারে বেগুন বিক্রি হলেও শসা ও লেবুর দাম কিছুটা কমেছে। এর পরও লেবুর দাম ক্রেতার নাগালের বাইরে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মহাখালী কাঁচাবাজার, বাড্ডাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারের প্রতিটি দোকানেই পর্যাপ্ত তেলের সরবরাহ আছে। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল সরকার নির্ধারিত দর ১৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বোতলজাত তেলের সরবরাহ বাড়ায় খোলা তেলের দামও কিছুটা কমেছে।

কারওয়ান বাজারের মেসার্স হাজী স্টোরের বিক্রেতা মো. কামাল গাজী গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, বাজারে এখন তেলের অভাব নেই, কিন্তু বিক্রির জন্য কাস্টমার পাচ্ছি না। কারণ রোজার প্রথম দিকে বোতলজাত তেল না পেয়ে অনেকে খোলা তেল কিনে নিয়েছে। এতে বাজারে এখন পর্যাপ্ত বোতলজাত তেল থাকলেও সে তুলনায় চাহিদা নেই। এখন একসঙ্গে প্রতিটি কম্পানির ডিলাররা তেল দিয়ে যাচ্ছেন বলেও তিনি জানান।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সোনালি মুরগির দাম দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে মানভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কমেছে।

সোনালি মুরগি মানভেদে প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা। তবে সোনালি মুরগির দাম যে হারে কমেছে, ব্রয়লার মুরগির দাম সে অনুপাতে কমেনি। কেজিতে ২০ টাকা কমে ব্রয়লার মুরগি ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. শহিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, বাজারে মুরগির চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় দাম কমেছে। ব্রয়লার মুরগির চেয়ে সোনালি মুরগির দাম বেশি কমেছে।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মৌসুম না হওয়ার কারণে কয়েকটি সবজি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। পটোল কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি।

ইফতারে শরবতে লেবুর বাড়তি চাহিদা থাকার সুযোগে রোজার প্রথম দিকে অস্বাভাবিক দাম বেড়ে যায়। পরে ক্রেতা কমে যাওয়ায় বাজারে লেবুর বিক্রি কিছুটা কমে আসে। এখন হালিতে দাম কিছুটা কমে মাঝারি সাইজের লেবুর হালি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। তবে বড় সাইজের লেবুর হালি এখনো ৮০ থেকে ১০০ টাকা। বেগুন মানভেদে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, দেশি শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, হাইব্রিড শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। রোজার শুরুতে দেশি শসার দাম কেজিতে ১০০ থেকে ১২০ টাকায় ওঠে। ভালো মানের বেগুন কেজি ছিল ১২০ টাকা। টমেটো ৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা কেজি। লম্বা লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। ফুলকপি প্রতি পিস ৩০ থেকে ৪০ টাকা।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি মানভেদে ৩৫ থেকে ৫০ টাকা, ছোলা মানভেদে ১০০ থেকে ১১৫ টাকা, বেসন মানভেদে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, চিনি ১২০ টাকা, আলু ২০ টাকা, দেশি আদা কেজি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, দেশি নতুন রসুন ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, আমদানীকৃত রসুন ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি।

 

 

মন্তব্য

বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের উদ্যোগ

জরুরি ভিত্তিতে বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডা. সায়েদুর রহমান এ কথা জানান।

ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, হাইকোর্ট প্রিফিক্স হিসেবে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করার বিষয়ে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে চলা রিটের রায় প্রদান করেছেন, যা এ সম্পর্কিত সব ধরনের বিভ্রান্তি, দ্বিধা ও অস্বস্তি দূর করতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। এ ছাড়া ৪৫, ৪৬ এবং ৪৭ বিসিএসে যথাক্রমে ৪৫০, এক হাজার ৬৮২ ও এক হাজার ৩৩১ জন চিকিৎসক নিয়োগের উদ্যোগ চলমান আছে।

ডা. সায়েদুর বলেন, তিনটি বিসিএস চলমান থাকা সত্ত্বেও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসকের ঘাটতি প্রকট আকার ধারণ করায় একটি বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গত ৯ মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

সব ক্যাডারের জন্য বয়সসীমা ৩২ করা হলে আনুপাতিক হারে বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের ক্ষেত্রে তা ৩৪ হওয়ার কথা থাকলেও সেটি এবার করা হয়নি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি নিয়ে অনুরোধ জানালেও সেটি গৃহীত হয়নি বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ এই সহকারী।

স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনটি সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে জানিয়ে অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, সেটিতে সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্তি, বর্জন বা পরিমার্জনে কমিশনের চূড়ান্ত রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে, যা শিগগির পাওয়া যাবে।

চিকিৎসকসহ অন্যান্য সেবাদানকারীদের দীর্ঘদিনের বঞ্চনা ও বৈষম্যেরও অবসান করার চেষ্টা করা হয়েছে জানিয়ে ডা. সায়েদুর আরো বলেন, প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ পদে বঞ্চিত ও বৈষম্যের শিকারদের মধ্য থেকে দক্ষতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পদায়ন করা হয়েছে। পদোন্নতিযোগ্য বিশেষজ্ঞদের পদোন্নতি দানের জন্য বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চসংখ্যক সুপারনিউমারি পদ সৃষ্টির কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। চিকিৎসকদের জন্য নেওয়া উদ্যোগগুলোর পাশাপাশি আমরা নার্সসহ অন্যান্য সব সহায়ক জনশক্তির নিয়োগের প্রক্রিয়াকেও গতিশীল করেছি যেন সম্ভাব্য স্বল্পতম সময়ে সব শূন্যপদ পূরণ করা যায়।

 

মন্তব্য

১৩ মাসে ২৬০১ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে বিএসএফ

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
১৩ মাসে ২৬০১ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে বিএসএফ

ভারতে প্রবেশের চেষ্টার সময় গত ১৩ মাসে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা থেকে দুই হাজার ৬০১ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। বুধবার ভারতের সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই।

লিখিত প্রশ্নের জবাবে ভারতের এই মন্ত্রী রাজ্যসভায় বলেন, ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সীমান্তে মোট দুই হাজার ৬০১ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, কেবল গত জানুয়ারিতেই সীমান্ত থেকে অনুপ্রবেশকারী ১৭৬ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে বিএসএফের মিশন অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বলেন, গত বছরের ডিসেম্বরে ২৫৩, নভেম্বরে ৩১০, অক্টোবরে ৩৩১, সেপ্টেম্বরে ৩০০, আগস্টে ২১৪, জুলাইতে ২৬৭ ও জুনে ২৪৭ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে বিএসএফ।

তবে গত বছরের মে মাসে সবচেয়ে কমসংখ্যক বাংলাদেশি ভারতে প্রবেশের চেষ্টার সময় গ্রেপ্তার হয়েছে। ওই মাসে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে ৩২ জন বাংলাদেশি গ্রেপ্তার হয়।

এ ছাড়া ওই বছরের এপ্রিলে ৯১, মার্চে ১১৮, ফেব্রুয়ারিতে ১২৪ এবং গত বছরের জানুয়ারিতে ১৩৮ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করে বিএসএফ। সূত্র : এনডিটিভি

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ